‘ভিজিএফ কার্ডধারীদের ধর্ষণের হুমকি’ শিরোনামে একটি অনলাইন পত্রিকায় খবর প্রকাশের প্রতিবাদে শনিবার বিকালে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনিছুল ইসলাম আনিছ তার নিজ অফিস কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘গত ৪ জুন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কর্তৃক কিছু সংখ্যক ব্যক্তি নামবিহীন ১০টি করে কার্ড নিয়ে চাল নিতে আমার পরিষদে আসে। আমি প্রকৃত কার্ডধারী ছাড়া চাল দিতে না চাইলে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মিনহাজুল ইসলাম, সদস্য মোস্তাইন বিল্লাহ, রুবেল হোসেন, সোহেল হোসেন আমার সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে তারা টেবিল চাপড়িয়ে বলে আমরা কোনো কার্ডধারীকে স্ব-শরীরে নিয়ে আসতে পারবো না। চাল আপনাকে দিতেই হবে। আমার সিদ্ধান্তে আমি অটল থাকায় তারা কিছু নারী কার্ডধারীদের দিয়ে রাস্তায় হট্টগোল শুরু করে এবং আমার অফিস কক্ষে আক্রমণ করে। এ সময় আমি পুলিশের সাহায্য নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। কিন্তু একটি অনলাইন পত্রিকা নিজস্ব প্রতিবেদক দিয়ে ওই দিনই ঘটনার বিষয় পুরোপুরি বিকৃত করে একটি বানোয়াট খবর পরিবেশন করে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিকৃত খবরের আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আলতানুর রহমান ও ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা পরমেশ্বর রায়।
এ ব্যাপারে যুবলীগ সদস্য মিনহাজুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি মোবাইলে কোনো কথা বলব না। আমি নীলফামারী বাদিয়ার মোড়ে আছি। সামনাসামনি হয়ে কথা বলব।’
কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হারুন অর রশীদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘ঘটনাস্থলে গিয়ে আমি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জানতে পারি সুবিধাভোগীদের অনেকের কাছে ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটোকপি ছিল না। সে কারণে তিনি ভিজিএফ’র চাল দেয়া বন্ধ করেন। তবে চেয়ারম্যান মহিলাদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে লিখিত অভিযোগ করতে বলা হয়েছে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা