২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গভীর রাতে আ’লীগ নেতার বাড়িতে গুলিবর্ষণ, গ্রেফতার ২

রাজশাহীতে আ’লীগ নেতার বাড়িতে গুলিবর্ষণ, গ্রেফতার ২ - ছবি : নয়া দিগন্ত

রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি হাটের ইজারাদার আতিকুর রহমান কালুর মুন্সিডাঙ্গার বাড়িতে গভীর রাতে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। তবে গুলিবর্ষণের কারণ জানাতে পারেনি পুলিশ।

শনিবার দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে একটি প্রাইভেটকারযোগে মুন্সিডাঙ্গা মহল্লায় তার বাড়িতে দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করেন আতিকুর রহমান কালু।

ঘটনার খবর পেয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে গাড়ির পথ অনুসরণ করে অভিযুক্ত ওয়াহিদ মুরাদ ওরফে লিংকনের উপশহরের একটি ফ্ল্যাটে গিয়ে সেখান থেকে ওয়াহিদসহ দুইজনকে আটক করা হয়। কালুর বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ওয়াহিদকে চিহ্নিত করা হয়।

ওই ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় ৩টি ম্যাগজিন, ৩২ রাউন্ড গুলি ও ৬ রাউন্ড গুলির খোসাসহ ১টি বিদেশী পিস্তল এবং ৯০ রাউন্ড শটগানের গুলি ও ১২ রাউন্ড গুলির খোসাসহ ১টি শটগান ও একটি প্রাইভেট কার জব্দ করা হয়।

এ ঘটনায় বোয়ালিয়া মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় গ্রেফতাররা হলেন ওয়াহিদ মুরাদ জামিল ওরফে লিংকন (৫৬) ও সজল আলী (২৪)। এদের মধ্যে ওয়াহিদ নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানাধীন উপ-শহরের মৃত আব্দুল ওহাবের ছেলে। তিনি উপশহরের তিন নম্বর সেক্টরের চার নম্বর সড়কের ১৭৭ নম্বর বাসার চারতলার নিজের ফ্ল্যাটে থাকেন।

গ্রেফতারের পর তিনি নিজেকে এভারেস্ট হোমস লিমিটেড নামে একটি ডেভেলপার কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে পরিচয় দেন। এছাড়া ইতোপূর্বে একটি বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালক পদেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন বলে জানান।

আর সজল নগরীর চন্দ্রিমা থানার শিরোইল কলোনী এলাকার সামসুল হকের ছেলে। তিনি গ্রেফতারকৃত ওয়াহিদের গাড়িচালক বলে জানা গেছে।

তবে কী কারণে আওয়ামী লীগ নেতা কালুকে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে সে সম্পর্কে পুলিশ ও অন্য কোনো সূত্র নিশ্চিত করতে পারেনি।

আওয়ামী লীগ নেতা কালু সাংবাদিকদের জানান, ছয়তলা ভবনের তৃতীয় তলায় পরিবার নিয়ে তিনি বসবাস করেন। অন্যান্য দিনের মতো রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। রাত সোয়া ১টার দিকে বাসার প্রধান ফটকে চিৎকার-চেঁচামেচি ও গালিগালাজ শুনে ঘুম ভাঙে তার। তিনতলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে গেটম্যান আমজাদের কাছে ঘটনা জানতে চান। ওই সময় একদল অস্ত্রধারী তাকে লক্ষ্য করে পর পর তিনটি গুলি ছোড়ে। তবে তিনি দ্রুত মাথা নিচু করায় গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বারান্দার গ্রিলে লাগে। একটি প্রাইভেটকার নিয়ে আসা অস্ত্রধারীরা পরে দ্রুত পালিয়ে যায়।

বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, গ্রেফতারকৃত ওয়াহিদ নিজেকে একটি বেসরকারি ব্যাংকের সাবেক পরিচালক পরিচয় দিয়েছেন। তবে কী কারণে আওয়ামী লীগ নেতা কালুকে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে সে সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।


আরো সংবাদ



premium cement