বাগাতিপাড়ায় সড়কের বেহাল দশা, জনদুর্ভোগ
- আব্দুল আওয়াল, বাগাতিপাড়া (নাটোর)
- ০৩ জুলাই ২০২০, ১১:৩৯
নাটোরের বাগাতিপাড়ার ফাগুয়াড় দিয়াড় ইউনিয়নের সাইলকোনা মহাবিদ্যালয়ের কাছ থেকে জোশাইতোলা মোড় পর্যন্ত প্রধান সড়কটির বেহাল দশায় জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাটি কৃষিপ্রধান হওয়ায় কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করতে গিয়ে প্রতিনিয়তই পড়ছেন বিপাকে। পণ্য পরিবহনে বিকল্প সড়ক হিসেবে ১০ কিলোমিটার ঘুরে গ্রামের মেঠোপথ ব্যবহার করায় বাড়তি ভাড়া গুণতে হচ্ছে কৃষকদের। বর্ষা মৌসুমে এ দুর্ভোগের মাত্রা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে জনগণের মাঝে দানা বেঁধেছে ক্ষোভের।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার ১৪ হাজার মানুষের জেলা শহরে যাতায়াতের প্রধান সড়কের প্রায় চার কিলোমিটার অংশে এমনই বেহাল অবস্থা যে কোথাও কোনো পিচের চিহ্ন পর্যন্ত নেই। সড়কজুড়ে অসংখ্য ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেই গর্তে বৃষ্টির পানি জমে থাকছে। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে যানবাহন। ফলে বিকল্প সড়কে প্রায় ১০ কিলোমিটার অতিরিক্ত ঘুরে যেতে হচ্ছে মানুষকে।
এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন সাইলকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ সাইলকোনা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সাইলকোনা ল্যাবরেটরি বালিকা বিদ্যালয়, সাইলকোনা মহাবিদ্যালয়, সাইলকোনা হিফজ মাদরাসা, সাইলকোনা কিন্ডার গার্টেনসহ আটটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও ফাগুয়াড় দিয়াড় ইউনিয়নের হাজার হাজার লোক চলাচল করে।
এ সড়কটি পাকা হওয়ার ১২ বছর পার হলেও একবারও সংস্কার কাজ না হওয়ায় বর্ষাকালে কর্দমাক্ততার কারণে হাঁটাও দায় হয়ে পড়ে। অপরদিকে শুকনা মৌসুমে ধুলার করণে সড়ক দিয়ে যতায়াতকারী স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েন।
এলাকাবাসী আরো বলেন, ‘সড়কটি নিয়ে অভিযোগ করে লাভ হয় না। সংস্কারে এখন আন্দোলনে নামা ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় নেই।’
স্থানীয় স্কুলশিক্ষক নজরুল ইসলাম জানান, ফাগুয়াড় দিয়াড় ইউনিয়নের প্রায় সকল মানুষকে জেলা শহরের সাথে যোগাযোগের জন্য এই প্রধান সড়ক ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু সড়কটি নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই। যত ভোগান্তি চলাচলকারীদের। হঠাৎ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে এবং এই এলাকার গর্ভবতী নারীদের নাটোর সদরে নিয়ে দ্রুত চিকিৎসা সেবা সম্ভব হয় না। ফলে জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান তিনি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাগাতিপাড়ার সাইলকোনা বাজার থেকে জোশাইতোলা মোড় পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন অংশে বড়-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও ইট-সুরকি পর্যন্ত নেই। গভীর গর্তে পানি জমে থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন চলাচলকারীরা। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় রাস্তাটি চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুর রহমান বলেন, সড়কটির অবস্থা সম্পর্কে আমি অবগত ছিলাম না, এখন জানলাম। নতুন এই অর্থবছরেই সড়কটির সংস্কার কাজ করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা