০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫
`


চাটমোহরে পানিতে ডুবছে পাকা ধান, দিশেহারা কৃষক

চাটমোহরে পানিতে ডুবছে পাকা ধান, দিশেহারা কৃষক - ছবি : নয়া দিগন্ত

আমফানের প্রভাব, গুমানী নদীর পানি বৃদ্ধি, নটাবাড়িয়ায় কিনু সরকারের ধরের সুইজগেট খোলা থাকায় ও অতিবৃষ্টিতে পাবনার চাটমোহরের নিমাইচড়া, ছাইকোলা, হান্ডিয়াল ও বিলচলন ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকায় পাকা ধান পানিতে ডুবে গেছে।

চাটমোহর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র ২০ হেক্টর জমির পাকা ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কথা জানালেও সরেজমিন পরিদর্শন ও কৃষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে তলানো ও আক্রান্ত জমির পরিমাণ প্রায় ২০০ হেক্টর। একইসাথে সবাই কাঁচা পাকা ধান কাটতে শুরু করায় শ্রমিক সঙ্কটও প্রকট আকার ধারণ করেছে। বর্তমান একজন ধান কাটা শ্রমিকের মজুরি ৭০০ টাকায় পৌছেছে।

জানা গেছে, চলতি মৌসুমে চাটমোহরে ৯ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে সামান্য কিছু ধান কাটা হয়েছিল। জোয়ারের প্রভাবে বেশ কিছু এলাকার ধান পানিতে আক্রান্ত হবার পর মঙ্গলবার রাতের অতিবর্ষণে তা পানিতে তলিয়ে যায়।

উপজেলার বোয়াইলমারী গ্রামের শামসুল সরকার জানান, পাশের আফরার বিলে তার দুটি অগভীর নলকূপ রয়েছে। এর অধীনে নিজের ২৬ বিঘা ও অন্যদের ২০ বিঘা জমি রয়েছে। সমস্ত জমির ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় তার ৬ লাখ টাকার অধিক ক্ষতি হয়েছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, খরচের পয়সা তুলব্যার পারলি জানডা বাঁচতো।

একই গ্রামের মোসলেম উদ্দিন জানান, তার ১০ কাঠা জমির ধান সম্পূর্ণ পানিতে তলিয়ে গেছে।

কাটেঙ্গা বাওন বাজার এলাকার জামরুল ইসলাম জানান, তার তিন বিঘা জমির ধান পানিতে তলিয়ে গেছে।

মামাখালী গ্রামের ইসরাফিল হোসেন ও বরদানগর গ্রামের রতন হোসেন জানান, কাটাগাঙের পাশের মামাখালী থেকে জিয়েলগাড়ী পর্যন্ত কয়েক’শ বিঘা জমির ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। নিচু এলাকার ধান কেটে নৌকা যোগে বাড়ি নিতে হচ্ছে বলে বাড়ছে ধান কাটার খরচ। জমিতে কেটে রাখা ধান ভেসেও গেছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ. এ. মাসুম বিল্লাহ জানান, ২০ হেক্টর জমির ধান পানিতে তলানো দেখানো হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার মো: রায়হান জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তার সাথে কথা বলে নটাবাড়িয়ায় অবস্থিত কিনু সরকারের ধরের স্লুইজগেট আপাতত বন্ধ করে দেয়ার ব্যবস্থা করছি।


আরো সংবাদ



premium cement