২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


একজন পথিকৃৎ শিল্পোদ্যোক্তার প্রতিকৃতি

-

রুশ অর্থনীতিবিদ এসএস বারানভের লেখা ‘পূর্ব বাংলা অর্থনৈতিক উন্নয়নের বৈশিষ্ট্য (১৯৪৭-১৯৭১)’, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় গবেষণা সংস্থা প্রকাশিত এবং অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফারুক ও রেজাউল করিম সম্পাদিত ‘বাংলাদেশের কয়েকজন শিল্পোদ্যোগীর জীবনকাহিনী’ (১৯৮৪) বইয়ে পূর্ববাংলার শিল্প গ্রুপের তালিকার প্রথম নামটি ছিল এ কে খান গ্রুপের। এসএস বারানভ জানান, এ গ্রুপের প্রধান আবুল কাসেম খান (জন্ম : ৫ এপ্রিল, ১৯০৫, মৃত্যু ৩১ মার্চ, ১৯৯১)। গ্রুপের অধীনে ছিল ১২টি কোম্পানি, আর মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকা।
এ কে খান ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের তদানীন্তন প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের মন্ত্রিসভায় শিল্প, পূর্ত, সেচ, বিদ্যুৎ ও খনিজ বিভাগের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে যোগদান করেন। কেন্দ্রীয় সরকারের শিল্পমন্ত্রী হিসেবে তিনি তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানে শিল্পায়নে বিশেষ কার্যক্রম নেন। চট্টগ্রাম ইস্পাত কারখানা ও কর্ণফুলী রেয়ন মিল স্থাপন করেন। বাঙালি উদ্যোক্তাদের সীমিত মূলধনের কারণে এ দেশে ছোট ও মাঝারি শিল্প স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি ঢাকায় পাকিস্তানের দ্বিতীয় রাজধানী স্থাপনের প্রস্তাব করেন, যাতে সংসদের অধিবেশন ও কেন্দ্রীয় সরকারের কার্যক্রম পূর্ববাংলা থেকেও পরিচালনা করা যায়। এর ফলে শেরেবাংলা নগরে দ্বিতীয় রাজধানী স্থাপিত হয়। বর্তমান জাতীয় সংসদ ভবন তার সাক্ষ্য বহন করছে।
মন্ত্রী পদে থাকাকালীন এ কে খান বাংলাদেশী বিত্তবানদের শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠায় উৎসাহিত করনে। ফলে এদেশীয় মালিকানায় অন্যূন ৩০টি বস্ত্রকল ও ৪৫টি পাটকল গড়ে ওঠার সুযোগ পায়। মন্ত্রী পদে তার নিযুক্তির আগে পাকিস্তানের সাবেক পূর্বাঞ্চল অর্থাৎ বর্তমান বাংলাদেশে এ দেশী মালিকানায় একটি মাত্র পাটকল ছিল। তার মন্ত্রী পদ পরবর্তীকালে এতগুলো পাট ও বস্ত্রকল অবশ্য খুব সহজে গড়ে ওঠেনি। এ জন্য তার উপর দিয়ে পশ্চিমাদের অনেক ঝড়ঝঞ্ঝা বয়ে গেছে। এ কে খান সাহসিকতার সাথে অত্যন্ত কৌশলে এ সব ঝড়তুফান সামলে বিজয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে গেছেন।
সেসময় জুট মিলের সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি সরবরাহ করত যুক্তরাজ্য। জুটমিল স্থাপনের ঋণ সরাসরি না দিয়ে দিত পিআইডিসির মাধ্যমে। কিন্তু পিআইডিসির প্রচলিত নিয়মে অন্যূন ৭৫ লাখ টাকা পুঁজির জোগান যারা দিতে পারবে না, সেসব উদ্যোক্তাকে ঋণ দেয়া হতো না। ফলে এ অঞ্চলের উদ্যোক্তারা বরাবর বাদ পড়ে যেত শিল্প প্রতিষ্ঠা থেকে। শিল্প প্রতিষ্ঠার একচেটিয়া দখলদারিত্ব ছিল পশ্চিমাদের। প্রথম বাঙালি মালিকানাধীন ব্যাংকসহ বিভিন্ন শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠা করে জাতীয় শিল্পায়নের ক্ষেত্রে তিনি অনন্য অবদান রেখেছেন। ১৯৫৮-৬২ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের শিল্পমন্ত্রী থাকাকালে বাঙালি উদ্যোক্তাদের জন্য পাকিস্তান শিল্প উন্নয়ন করপোরেশনকে ভাগ করে পূর্বপাকিস্তানের আলাদা একটি সংস্থা পূর্বপাকিস্তান শিল্প উন্নয়ন করপোরেশন (ইপিআইডিসি) গঠন করেন। তিনি যখন মন্ত্রিত্ব শুরু করেছিলেন, তখন এ অঞ্চলে বাঙালি মালিকানাধীন জুটমিল ছিল একটি। তার চেষ্টায় এটি তিরিশে দাঁড়ায়। তখন এ অঞ্চলে বাঙালি মালিকানাধীন কোনো ব্যাংক ছিল না। তিনি মন্ত্রী থাকাকালে বাঙালি মালিকানায় ব্যাংক প্রতিষ্ঠার অনুমতি নিয়ে আসেন। ফলে বাঙালি মালিকানায় প্রথম ব্যাংক ইস্টার্ন মার্কেন্টাইল ব্যাংক (বর্তমানে পূবালী ব্যাংক) প্রতিষ্ঠিত হয়।
অনুরূপ অবস্থা ছিল বস্ত্রশিল্পের বেলাতেও। স্বাভাবিকভাবে বস্ত্রশিল্প এদেশীয়দের কোনো দখলদারিত্ব ছিল না। বস্ত্রকলের প্রায় সব ছিল পশ্চিমাদের দখলে। শিল্পমন্ত্রী হয়ে এ কে খান এ দেশীয় মালিকদের বস্ত্রশিল্প গড়ে তোলার সুযোগ করে দেন। গড়ে ওঠে ৩০টি নুতন বস্ত্রশিল্পের কারখানা। এমতাবস্থায় পশ্চিম পাকিস্তানি সুতাকল মালিকরা শঙ্কিত হয়ে প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের কাছে ডেপুটেশন পাঠান। তাদের যুক্তি ছিল, যেহেতু পূর্বাঞ্চলে তুলা উৎপাদিত হয় না, সেহেতু সে অঞ্চলে বস্ত্রশিল্পের কারখানা প্রতিষ্ঠার কোনো যুক্তি নেই। কিন্তু এ কে খান বস্ত্রশিল্পে অগ্রণী ব্রিটেন ও জাপানের উল্লেখ করে অকাট্য যুক্তি দিলেন। তা ছাড়া তিনি প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানকে এ দেশীয় বেকার সমস্যা সমাধানের ব্যাপারটিও বুঝাতে সক্ষম হলেন। ফলে, তিনি জয়লাভ করে এ দেশে পাট ও বস্ত্রশিল্পের বিপ্লবী পতাকা উড়ালেন।

এ কে খানের শিল্প ও শিল্পোদ্যোক্তা সৃষ্টির দর্শন বিধৃত হয়েছে ১৯৫১-৫২ সালের বাজেট বিলের ওপর ১৯৫১ সালের ২৪ মার্চ তদানীন্তন পাকিস্তানের জাতীয় সংসদে দেয়া এ কে খানের একটি বক্তব্যে- ‘বর্তমান যুগটি বিকেন্দ্রীকরণ ও আঞ্চলিক স্বয়ংসম্পূর্ণতার যুগ। আমরা দেখতে পাচ্ছি, ছয়-শালা পরিকল্পনায় পূর্ব বাংলায় যেখানে মোট জনগোষ্ঠীর ৫৬ শতাংশ লোক বাস করে, সেখানে বরাদ্দের পরিমাণ রাখা হয়েছে ২৩ শতাংশের কম। কৃষি খাতে ৮২ কোটি টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছে এবং পূর্ব বাংলায় পরিকল্পিত প্রকল্পগুলোয় সাকুল্য বরাদ্দ দেখানো হয়েছে ৫.৬ কোটি টাকা। পানি-বিদ্যুৎ শক্তি উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৪৫ কোটি টাকা। সেখানে পূর্ব বাংলার অংশ মাত্র ৫ কোটি টাকা। শিল্প খাতে বস্ত্রশিল্পে (পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য) বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৩০ কোটি টাকা এবং পাটশিল্পে (পূর্ব বাংলার জন্য) ধরা হয়েছে মাত্র ১১ কোটি টাকা। এ থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়, শুধু অতীতে নয়, বর্তমানে নয়, ভবিষ্যতেও দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনায় পূর্ব বাংলা তার ন্যায্য অংশীদারত্ব পাবে না। কেন্দ্রীয় সচিবালয়ে পূর্ব বাংলার কদাচিৎ প্রতিনিধিত্ব এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ে কোনো প্রতিনিধিত্ব না থাকার মতো দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতিই কি এ জন্য দায়ী? গত চার বছরে আপনার বৈদেশিক মুদ্রার ৮০ শতাংশ অর্জন করেছে পূর্ব বাংলা। আমরা আমাদের প্রতিরক্ষা খাতে প্রায় ৮০ কোটি টাকা ব্যয় করছি, অথচ এ খাতে পূর্ব বাংলার জন্য ব্যয় করা হচ্ছে দুই কোটি টাকার সামান্য বেশি।...পাকিস্তানকে নিশ্চিত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলে দেশের প্রতিটি অংশের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিয়ে গড়ে তুলতে হবে সে ভিত্তি। বাঙালি হোক, বালুচ হোক, সিন্ধি বা পাঞ্জাবি; যা-ই হোক, দেশের প্রতিটি লোকের জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা থাকতে হবে।’
এ কে খান ১৯৬১ সালে প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের সাথে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে তিনি প্রেসিডেন্টকে বলেন, পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানকে একই অর্থনীতির অধীনে শাসন করা যাবে না। কারণ এ দুই অংশের অর্থনীতি ভিন্ন। তাই পররাষ্ট্র, দেশরক্ষা ও মুদ্রানীতি বাদে আর সব মন্ত্রণালয় প্রদেশের হাতে ন্যস্ত করা উচিত। তা ছাড়া সেনাবাহিনীতে সমতা আনতে হবে অথবা পূর্বপাকিস্তানের সেনাবাহিনী বাঙালিদের দিয়ে গঠন করতে হবে। প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান এসব বিষয়ে যথাযথ গুরুত্ব না দেয়ায় তিনি ১৯৬২ সালে ক্যাবিনেট থেকে পদত্যাগ করেন। একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি আইয়ুব খানের নয়, দেশের সেবা করতে মন্ত্রিপরিষদে যোগ দিয়েছি এবং যতদিন এটি করতে পারবো ততদিন থাকবো।’ তিনি ১৯৬৩ সালে পাকিস্তান পার্লামেন্টে একজন বিরোধীদলীয় সদস্য হিসেবে ভূমিকা পালন করেন।

তার স্বাধীনচেতা ও অকুতোভয় জীবন বৈশিষ্ট্যের পরিচয় পাওয়া যায় মুনসেফ হিসেবে চাকরি জীবনে (১৯৩৫-৪৩)। প্রখ্যাত লেখক এবং ইতিহাসবিদ তপন রায় চৌধুরী (১৯২৬-২০১৪) তার আত্মজৈবনিক বই ‘বাঙালনামা’তে-২০০৭ লিখেছেন- এক মাস পর পুলিশ কীর্তিপাশায় এসে বাবাকে (অমিয় কুমার রায় চৌধুরী, কংগ্রেসকর্মী) গ্রেফতার করে নিয়ে গেল। তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হলো- অভিযোগ, সরকারের আদেশ অমান্য করে বাড়ি ছেড়ে যাওয়া। মামলা টিকল না, কারণ বিচারক বললেন, তার অনুপস্থিতিতে হুকুমনামা টাঙিয়ে দেয়া হয়, আর তিনি তখন কোথায় ছিলেন, তা পুলিশের অজানা ছিল না। যে দুঃসাহসী বিচারক সরকারের আনা অভিযোগ নাকচ করলেন, তার নাম আবুল কাসেম খান। ...পরবর্তীকালে তিনি পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী এবং স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধান শিল্পপতি। ফৌজদারি মামলা নাকচ হয়ে গেলে বাবা ভারতরক্ষা আইন অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য রাজবন্দী হলেন।’ (বাঙালনামা, আনন্দ পাবলিশার্স, মে-২০০৭, পৃষ্ঠা : ১০২-০৩) সরকারের আনা অভিযোগ নাকচ করতে খেসারত দিতে হয়েছিল বিচারক আবুল কাসেম খানকে। তাকে বদলি করা হয়েছিল সে সময়ের দুর্গম এলাকা ময়মনসিংহের নি¤œ আদালতে। একপর্যায়ে তিনি বিচারকের চাকরি থেকে ইস্তফা দেন।
১৯৩৩ সালে আবুল কাসেম খান বিয়ে করেন বার্মায় ব্যবসারত চট্টগ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল-বার্মা স্টিম নেভিগেশন কোম্পানির মালিক আবদুল বারী চৌধুরীর বড় মেয়ে শামসুন্নাহার বেগমকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে আবদুল বারী চৌধুরী রেঙ্গুনের ব্যবসায় ছেড়ে চট্টগ্রামে চলে আসেন। রেঙ্গুনে সম্পত্তির বেশির ভাগ তিনি ফেলে এসেছিলেন। সাথে এনেছিলেন মাত্র কয়েক লাখ টাকা। এ মূলধন নিয়ে ১৯৪৫ সালে ব্যবসায় শুরু করেছিলেন এ কে খান, প্রতিষ্ঠা করেন এ কে খান অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড। আবুল কাশেম খান ১৯৫২ সালে প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকায় চট্টগ্রামের কালুরঘাট অঞ্চলে একটি দেশলাই কারখানা এবং আড়াই লাখ টাকায় একটি প্লাইউডের কারখানা নির্মাণ করেন। তবে তার তৈরি সবচেয়ে বড় কারখানা ছিল পাঁচ কোটি টাকা মূলধনের চিটাগাং টেক্সটাইল মিলস।

আবুল কাসেম খান ছিলেন দেশের শিল্পায়নের অন্যতম পথপ্রদর্শক। তার দেখানো পথ ধরে উদ্ভব ঘটেছে আরো অনেক উদ্যোক্তা শ্রেণীর। এ কে খানের ছিল মূলত কর্মসংস্থান সৃষ্টির নেশা। এ কে খান এ দেশে প্রথম অগ্রণী বাঙালি শিল্পপতি। তার দৃষ্টান্ত তরুণ বাঙালি উদ্যোক্তাদের, যারা পাকিস্তানে অনেক বৈষম্যের মুখোমুখি হয়েছিলেন, বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করে এবং তাদের কাছে তিনি কিংবদন্তিতে পরিণত হন। বাংলাদেশের শিল্পায়নের ব্যাপারে তিনি গভীর চিন্তাভাবনা করতেন। বিভিন্ন সংবাদপত্রে সে বিষয়ে অনেক প্রবন্ধ লিখে গেছেন। শিল্প প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি এক প্রবন্ধে লিখেছিলেন ‘আমাদের দেশের গরিব শ্রমিকদের প্রতি মালিকের সহানভূতি ও একাত্মতা গড়ে তুলতে না পারলে আমরা দেশের শিল্পায়নে বড় রকমের সাফল্য অর্জন করতে পারব না। আমি মনে করি, প্রথম থেকে শিল্পের ক্ষেত্রে ন্যায়পরায়ণতা, সৌহার্দ্য ও দূরদর্শিতার মনোভাব নিয়ে আমাদের এগিয়ে যাওয়া উচিত।’
এ কে খানের চিত্ত ও বিত্তের সমন্বয় সাধিত হয়েছিল। তাই দেখা যায়, তিনি যথেষ্ট বিত্তের অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও চিত্তের ঔদার্য, রুচিবোধ, সত্যনিষ্ঠা ও জ্ঞান স্পৃহাকে বিসর্জন দেননি কিংবা কোনোরকম অসততা, ঐদ্ধত্য বা উচ্ছৃঙ্খলকে প্রশ্রয় দেননি। তার জীবনের বিরল অবসর কেটেছে জ্ঞানচর্চায় ও বাগান চর্চায়। তিনি বহু সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত ছিলেন।
শিল্পায়নে ইনডিভিয্যুয়াল এন্টারপ্রাইস Individual Enterprise বা ব্যষ্টিক প্রচেষ্টায় আজকাল আন্তর্জাতিক সহযোগিতার যে সুলভতা আমরা লক্ষ করছি চল্লিকল্পঞ্চাশের দশকে তা তত সহজ ছিল না। কিন্তু সেই সময়ে এ কে খান এর গুরুত্ব উপলব্ধি করেছিলেন যে, দ্রুত শিল্পায়নের মাধ্যমে যদি সমাজকে পরিবর্তন করতে হয় তাহলে পুঁজির সাথে আধুনিক প্রযুক্তিরও একটি ফলপ্রসূ মিলনের প্রয়োজন এবং তার জন্য দরকার বিদেশের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তোলা। এ কে খানের সব সফল শিল্প স্থাপনার পেছনে এই ভাবনার পরিচয় ছিল।
লেখক : উন্নয়ন অর্থনীতির বিশ্লেষক


আরো সংবাদ



premium cement
বোয়ালমারীতে ২ স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ২ কক্সবাজারে ডাকাত-র‍্যাব গোলাগুলি, কৃষক নিহত টুকুর সাজার প্রতিবাদে ফেনীতে যুবদলের বিক্ষোভ জামালপুরের ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র সাময়িক বরখাস্ত পেকুয়ায় হিট স্ট্রোকে একজনেরর মৃত্যু স্কটল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হুমজা ইউসুফের পদত্যাগ মঙ্গলবারও বাড়বে তাপমাত্রা, অসহনীয় হবে গরম ইতিহাসের উষ্ণতম এপ্রিল দেখল মিয়ানমার আইসিসির সম্ভাব্য গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে উদ্বিগ্ন ইসরাইলি কর্মকর্তারা নোয়াখালীতে হিট স্ট্রোকে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যু ভূমি সেক্টরে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে ভূমিমন্ত্রীর নির্দেশ

সকল