২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রমাদান : মুসলিম সমাজে বিপ্লবের মাস

-


রমাদান মাস একজন মুসলমানের জীবনে একটি আত্মবিপ্লবের তাগিদ নিয়ে আসে। প্রতিটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানের ব্যক্তিগত আত্মবিপ্লবের মাধ্যমেই হতে পারে একটি সামাজিক বিপ্লব। এই বিপ্লবের মাধ্যমে প্রতি বছরই সমাজের সব কালিমা-অশান্তি ধুয়ে-মুছে আমাদের সমাজটা হতে পারে একটি সুখী-শান্তির সমাজ। কিন্তু সত্যিকারার্থে কী এমনটি ঘটছে? আমরা রমজানে মাসব্যাপী রোজা রেখেও কি নিজের আত্মার বিপ্লব ঘটাতে পারছি? আমাদের কাছে রমজানের যে আবেদন তা কি আমরা নিজেদের জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে পারছি? যে রোজা থেকে আমি পৃথিবীতে কিছু নিতে পারছি না সেই রোজা মৃত্যুর পর আমার কতটুকু কাজে আসবে?

রোজা কী বোঝায় : ‘রোজা’ একটি ফার্সি শব্দ। এর অর্থ উপবাস। কুরআনে বলা হয় ‘রমাদান’। রমাদানের মূল শব্দ হলো ‘রমজ’। ‘রমজ’ অর্থ হলো ‘দহন’ করা বা পোড়ানো। অর্থাৎ বলা যায় সঠিকভাবে রোজা রাখতে পারলে রমাদান মাস আমাদের পাপ-পঙ্কিলতা, হিংসা-বিদ্বেষ, প্রবৃত্তি, লোভ-লালসাকে পুড়িয়ে রোজাদারের আত্মাকে খাঁটি করে দেবে। তবে কুরআনে এই ‘উপবাস’ থাকার প্রক্রিয়াকে ‘সউম’ বলা হয়েছে। ‘সউম’ অর্থ বিরত থাকা। ‘সিয়াম’ হলো সাউমের বহুবচন। এজন্যই মাসব্যাপী রোজাকে আমরা সিয়াম সাধনা বলি।
ব্যক্তি সংশোধনের পদ্ধতি : রোজার মূল উদ্দেশ্যই হলো চরিত্রের সংশোধন। একজন মানুষের সর্বাবস্থায়, সর্বক্ষেত্রে এবং সব স্থানে সৎ থাকার একমাত্র শর্ত হলো : তার মধ্যে এই বিশ^াস থাকতে হবে যে, সুপ্রিম ক্ষমতাধর কেউ একজন তাকে সার্বক্ষণিকভাবে (গোপনে-প্রকাশ্যে, দিবালোকে, রাতের অন্ধকারে এবং জলে-স্থলে-অন্তরিক্ষে) নিকটে থেকে দেখছেন। এই বিশ^াস যার মধ্যে কাজ করে সে কোনো অন্যায় কাজ করতে পারে না।

ইসলামের পরিভাষায় একজনের মনের এই অবস্থাকে ‘তাকওয়া’ বলা হয়। ‘সউম’ বা রোজার বিষয়ে কুরআনে বলা হয়েছে, ‘হে ঈমানদারগণ তোমাদের ওপর সিয়াম পালন ফরজ করা হয়েছে। যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী জাতিসমূহের ওপর। এতে আশা করা যায় যে, তোমরা ‘তাকওয়া’ অর্জন করতে পারবে’ (সূরা বাকারা : ১৮৩)। এই ‘তাকওয়া’ অর্জনের পদ্ধতি অত্যন্ত সহজ। যিনি রোজা রাখেন তিনি ক্ষুধা এবং পিপাসার দারুণ কষ্টের মধ্যেও কারো অগোচরে লুকিয়ে কিছু খাননা বা পান করেন না। কারণ, তিনি জানেন কোন মানুষ না দেখলেও আল্লাহ্ তায়ালা তার গোপনে পান করাকে দেখে ফেলবেন। এভাবে তিনি একটি মাস রোজা রেখে মনের মধ্যে আল্লাহর যে উপস্থিতির চর্চা করেন সেটা বাকি এগারোটি মাস ধরে রাখতে পারলেই তিনি একজন চরিত্রবান সৎ মানুষে পরিণত হতে পারবেন। কারণ মনের সেই অবস্থায় তার দ্বারা কোনো অন্যায় কাজই করা সম্ভব হবে না। তার মনে বদ্ধমূল থাকে যে তাকে সর্বদাই আল্লাহ দেখছেন। কাজেই এভাবে রোজার মাধ্যমে মানুষের চরিত্রের মূল স্তম্ভ ‘তাকওয়াা’ সৃষ্টি করা সম্ভব। হাদিসে আছে, ‘রোজা রেখেও যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা ও কাজ ত্যাগ করে না, তার উপবাস থাকায় আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই।’ (বুখারি : ১৭৮২) কাজেই রোজাদারের পক্ষে মিথ্যা কথা ও কাজ পরিত্যাগ করাও বাধ্যতামূলক। আর রোজা শুধু না খেয়ে থেকে পেটের বা স্টোমাকের অনুশীলন নয়। রোজা রয়েছে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গের। জিহ্বা, কান, নাক, চোখ, হাত, পা ইত্যাদি প্রতিটি অঙ্গকে অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখার নামই হলো সিয়াম সাধনা। এই সিয়াম সাধনার সময় নিজেকে সব অন্যায় কাজ থেকে বিরত রেখে সঠিকভাবে রোজা সম্পন্ন করা হয়েছে কিনা তার জন্য সদা সতর্ক থাকতে হবে। এইভাবে রমাদান মাস শেষে এক মাসের সততার অনুশীলন করা সমাজের মুসলমানগণ যদি ব্যক্তিগতভাবে একজন ভালো মানুষে পরিণত হতে পারে তবে সেই সমাজটি হতে পারে একটি সুন্দর সুখী সমাজ। তবে যে ব্যক্তি এক মাস রোজা রেখেও নিজেকে বদলাতে পারল না বা জাহান্নামের শাস্তি থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারল না তার ধ্বংস অনিবার্য।

সমাজশুদ্ধির অনুশীলন : হাদিসে আছে, ‘তোমাদের কেউ রোজা রাখলে সে যেন গুনাহ, অজ্ঞতা ও জাহিলিয়াতের কাজ না করে। যদি কেউ তাকে গালি দেয় কিংবা তার সাথে লড়তে আসে সে যেন বলে দেয়, আমি রোজা রেখেছি, আমি রোজাদার।’ (বুখারি : ১৭৮৩) অর্থাৎ রোজাদার ব্যক্তি অপরের সাথে কোনোভাবেই ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হতে পারবে না। এই একমাস ঝগড়া-বিবাদ এড়িয়ে চলে তার মাঝে ঝগড়া না করার মননশীলতা সৃষ্টি হতে পারে। আর একটি মুসলিম সমাজের সবাই যদি রোজার উছিলায় মারামারি-কাটাকাটি ভুলে যায় তবে সেই সমাজে শুধুই শান্তির সুবাতাস বইবে। ধনী-গরিব সবাই মিলেই গঠিত হয় একটি সমাজ। এই দু’টি শ্রেণীই একে অপরের পরিপূরক। সমাজে এই দুই শ্রেণীর লোকজনের মধ্যে সহমর্মিতা, সহযোগিতা এবং পারস্পরিক হৃদ্যতা সৃষ্টির জন্য রোজার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রোজার মাধ্যমে একজন ধনী মুসলমানের হৃদয়ে ক্ষুধার কষ্ট অনুভব করে গরিবের প্রতি সহমর্মিতা সৃষ্টি হবে। কুরআনে বলা হয়েছে, রোজা রাখতে কষ্টকর হয়ে পড়লে সে কমপক্ষে কোনো একজন গরিব ব্যক্তিকে তৃপ্তিভরে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করবে এবং কেউ তার চেয়েও বেশি পরিমাণ ভালো করলে সেটা সেই দানশীল ব্যক্তির জন্য অত্যন্ত কল্যাণকর হবে। (সূরা বাকারা : ১৮৪) রোজার মাস শেষে রোজার জানা-অজানা ভুল-ত্রুটির কাফফারা হিসেবে প্রতিজন রোজাদারের জন্য একটি নির্দিষ্ট সহনীয় পরিমাণ মূল্যের খাবার গরিবদেরকে দান করতে হয় ঈদ উদযাপনকে সর্বজনীন করে তোলার জন্য। যেন ধনী-গরিবসহ সমাজের সবাই ঈদের আনন্দে শরিক হতে পারে। তাছাড়াও রোজায় শ্রমিকের অধিকারের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। রোজার জন্য অধীনস্থ শ্রমিকদের কাজ হালকা করে দিতে নির্দেশ রয়েছে। আবার সাধারণ ঘোষণা দেয়া হয়েছে যে, যে ব্যক্তি অপর রোজাদারকে ইফতারি করাবে তার জন্য রয়েছে সওয়াব; এমনকি একটি খেজুর বা এক গ্লাস পানি দিয়ে ইফতারি করালেও। এভাবে সমাজে পারস্পরিক একটি হৃদ্যতাপূর্ণ আবহ সৃষ্টি করবে সিয়াম সাধনা। কুরআনে রোজার বিধান বলার পরপরই আল্লাহ্ তায়ালা একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক নীতিমালার কথা বলেছেন। তাতে বলা হয়েছে, ‘তোমরা নিজেদের মধ্যে তোমাদের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না এবং শাসকদেরকে (ঘুষ) প্রদান করো না, যাতে মানুষের সম্পদের কিয়দংশ অন্যায়ভাবে জেনে বুঝে খেয়ে ফেলতে পারো।’ (সূরা বাকারা : ১৮৮)

রোজার স্বাস্থ্যগত অবদান : আধুনিক চিকিৎসাশাস্ত্রে রোজার স্বাস্থ্যগত উপকারের জন্য অনেক ডাক্তার রোগীকে রোজা পালন করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এক মাসের সিয়াম সাধনায় মানবদেহের পরিপাকতন্ত্র বিশ্রাম পেয়ে নতুন শক্তি অর্জন করতে সক্ষম হয়ে ওঠে। শরীরে গ্রহণকৃত গ্লুকোজ বা চিনির কিছু অংশ চর্বিতে পরিণত হয়ে কিডনি, হৃদযন্ত্রের আর্টারি ও চামড়ার নিচে এবং শরীরের অন্যান্য অংশে জমা হয়। উপবাসের ফলে সেই চর্বি ভেঙে পুনরায় গ্লুকোজ হয়ে রক্তে প্রবাহিত হতে থাকে। শরীরে জৈব বিষ বা টক্সিক কণাগুলো দূরীভূত হয়ে রক্ত বিশুদ্ধ হয়। উপবাস রক্তের কোলেস্টেরল কমায়, ঐউখ বৃদ্ধি করে এবং খউখ কমায়। কম খাদ্য গ্রহণ ও দীর্ঘক্ষণ না খাওয়ার ফলে রক্তে শর্করা কমে ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে আমাদের অদ্ভুত খাদ্যাভ্যাসের কারণে আমরা রোজার এসব উপকারিতা থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকি। অথচ বাংলাদেশের ডা: জাহাঙ্গীর কবিরের নফল রোজার মাধ্যমে জীবন-যাপন পদ্ধতি অনুসরণ করে লাখো রোগী ডায়াবেটিক মুক্ত হয়েছে। এমনকি এই লেখক নিজেও এই পদ্ধতিতে সুস্থতা লাভ করেছেন।

সমাজের সম্মিলিত প্রশিক্ষণ : মুসলিম সমাজে সিয়াম সাধনার এই প্রশিক্ষণটি সম্মিলিতভাবে গোটা সমাজের সব মুসলমান একসাথে নিয়ে থাকে। যেন এক মাসের একটি প্রশিক্ষণ ক্যাম্প। সময় ধরে সবাই সাহরিতে খাবার শেষ করেন। আবার একই সময়ে রোজা ভেঙে ইফতার করেন। ইফতার ও মাগরিবের নামাজের পরই লম্বা সময় ধরে তারাবির সালাতে কুরআন তেলাওয়াত শুনেন। আবার একই সময়ে শেষ রাতে ঘুম থেকে উঠে তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করে সাহরির খাবার গ্রহণ করেন। অর্থাৎ রোজাদার পুরো ২৪ ঘণ্টাই একটি রেজিমেন্টেড জীবন যাপন করেন। আল কুরআন হলো এই প্রশিক্ষণের ‘লেসন প্ল্যান বা পাঠ্যসূচি’। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা; মিথ্যা, ঝগড়াঝাঁটি ও সমস্ত অন্যায় কাজ পরিহার করা; শরীরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে আল্লাহর আদেশ মতো নিয়ন্ত্রণ করা ইত্যাদিই হলো প্রশিক্ষণের বিষয়সমূহ। এই প্রশিক্ষণের শ্রেণিকক্ষ হলো সারা বিশে^র মুসলিম সমাজ, আর প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তি মানুষের চরিত্র সংশোধন। প্রশিক্ষণ শেষে পরীক্ষায় পাসের সূচক হলো চরিত্রের উন্নয়ন হয়েছে কিনা। পরীক্ষায় অধিকতর নম্বর অর্জনের বিষয়গুলো হলো দান-খয়রাত, নফল নামাজ, আত্মসমালোচনা এবং বেশি বেশি তাওবা-ইসতেগফার করা। রমাদানের প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে যোগ্যতা অর্জনের লক্ষণ হলো অন্তরে আল্লাহর ভয় এবং ভালোবাসা স্থায়ী হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করা। সবশেষে প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের প্রাপ্ত সম্মানী হলো মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি। হাদিসে আছে, আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘রোজা আমার জন্য। তাই রোজার পুরস্কার আমি নিজ হাতে দেবো।’ (মুসলিম : ২৫৭৫)

বিপ্লবের মাসের ফসল তুলতে ব্যর্থতা কেন : দীর্ঘ একটি মাস একজন মুসলমান তার জীবনে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে এলেও সেই বিপ্লবের ফসল মুসলিম সমাজ ঘরে তুলতে পারবে কি না তা নির্ভর করে তারা এই পরিবর্তিত জীবনাচার ধরে রাখবে না রমাদান মাসের পর আগের মতোই জীবনযাত্রায় ফিরে যাবে কিনা তার ওপর। সিয়াম পালনরত অবস্থায় যেমনটি মনে হতো আল্লাহ আমার সাথে আছেন, তিনি সার্বক্ষণিকভাবে আমাকে দেখছেন; রোজার পর সেটি ভুলে গিয়ে পুনরায় আমরা অন্যায় কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ি, মিথ্যা বলি, ঝগড়াঝাঁটি করি, অন্যায়ভাবে অন্যের সম্পদ দখল বা গ্রাস করে নেই, দান খয়রাত বন্ধ করে দেই। অর্থাৎ পুষ্টিকর খাবার মুখে দিয়ে হজম না করে যদি বমি করে ফেলে দেই তাহলে সেই খাবার যেমন আমাদের স্বাস্থ্যের কোনো উন্নয়ন ঘটাতে পারবে না তেমনি সিয়াম পালনকালীন আচরণসমূহকে যদি রোজার পরপরই ঝেড়ে ফেলে দেই তাহলে সেই মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা আমার জীবনের কোনো উন্নয়ন ঘটাতে পারবে না। তেমনিভাবে সমাজেরও কোনো পরিবর্তন এই সামাজিক বিপ্লবের মাসের মাধ্যমে আসা সম্ভব নয়। অর্থাৎ মুসলিম সমাজ রমাদান মাসের পূর্বে যেমন ছিল রমাদানের পর সেই একই রকম পাপ-পঙ্কিলতায় পূর্ণ একটি অস্থির এবং অসুখী সমাজই রয়ে যাবে। একইভাবে সিয়াম কম খাদ্য গ্রহণের শিক্ষা দিলেও আমরা ইফতারির এবং সাহরির সময় যেমন অতিরিক্ত এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করে থাকি তাতে সিয়ামের স্বাস্থ্যগত উপকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে গোটা মুসলিম সমাজ। রাসূল সা: বলেছেন, ‘পেট ভর্তি করে খাওয়া অপেক্ষা মানুষের জন্য মন্দ দ্বিতীয় কোনো কাজ নেই।’ (ইবনে মাজাহ, আহমাদ, হাকাম)
তবে একটি মাত্র পদক্ষেপের মাধ্যমে আমরা রমাদান নামক বৈপ্লবিক মাসের কল্যাণ হাসিল করতে সমর্থ হবো ইনশাআল্লাহ। সেটা হলো কুরআনের কাছে যাওয়া। রমাদান মাস প্রকৃতপক্ষে কুরআনের মাস। এই মাসে কুরআন নাজিল হয়েছিল বলেই মাসব্যাপী রোজা রাখার মাধ্যমে সেলিব্রেট করতে হয়। কাজেই এই মাস উপলক্ষে যদি আমরা কুরআন পড়ি, বুঝি এবং সে মতে জীবন গঠন করতে পারি তবেই ‘শাহরু রমাদান’ মুসলমানের ব্যক্তিজীবনে এবং সামাজিক জীবনে দিতে পারবে অনাবিল শান্তি, সুখ এবং আত্মতৃপ্তি।
লেখক : নিরাপত্তা বিশ্লেষক
Email : maksud2648@yahoo.com

 

 

 

 


আরো সংবাদ



premium cement