০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


স্মরণ : মৌলভী তমিজউদ্দীন খান

-

মৌলভী তমিজউদ্দীন খানের জন্ম ফরিদপুরের খান খানানপুর গ্রামে ১৮৮৯ সালে। মৃত্যু ১৯৬৩ সালের ১৯ আগস্ট। ১৯১১ সালে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বিএ অনার্স (ইংরেজি) এবং ১৯১৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এমএ পাস করেন। ১৯১৪ সালে বিএল ডিগ্রি নিয়ে ফরিদপুর জেলা আদালতে আইন ব্যবসায় শুরু করেছিলেন। ফরিদপুর কংগ্রেস কমিটির সম্পাদক ছিলেন। খেলাফত কমিটির সহসভাপতি হিসেবে ১৯২০ সালে অসহযোগ ও খেলাফত আন্দোলনে যোগ দেন। পরে আইন পেশা ছেড়ে কলকাতা ন্যাশনাল কলেজে ইংরেজির অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ১৯২১ থেকে ১৯২৩ সাল পর্যন্ত কারাভোগ করেন। ১৯২৬ সালে প্রথমবার ও ১৯২৯ সালে দ্বিতীয়বার কংগ্রেসের মনোনয়নে বঙ্গীয় আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯২৬ সালের নির্বাচনে ফরিদপুরে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম। ১৯৩০ সালে মুসলিম লীগে যোগদান এবং কলকাতা হাইকোর্টে ওকালতি শুরু করেন। ১৯৩৭ সালে মুসলিম লীগের প্রার্থী হিসেবে বঙ্গীয় আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হন।
এবারের নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাহিত্যিক ও কংগ্রেস নেতা অধ্যাপক হুমায়ুন কবির। ১৯৩৭ থেকে ১৯৪১ সাল পর্যন্ত অবিভক্ত বঙ্গে শেরেবাংলার মন্ত্রিসভায় কৃষি, স্বাস্থ্য, শিল্প, বাণিজ্য ও শ্রম দফতরের মন্ত্রী এবং ১৯৪৩ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত খাজা নাজিমুদ্দীন মন্ত্রিসভার শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। পাকিস্তান আন্দোলনে বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করেন এবং ১৯৪৫-৪৬ সালে ভারতীয় আইনসভার সদস্য ছিলেন। ১৯৪৬ সালে চতুর্থবার বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য নির্বাচিত হন। কিছুকাল বঙ্গীয় আইনসভার স্পিকার ছিলেন। ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট ভারত বিভক্তির পর পাকিস্তান গণপরিষদের সহসভাপতি এবং পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর মৃত্যুর পর গণপরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৫৪ সালের ২৪ অক্টোবর গভর্নর জেনারেল গোলাম মোহাম্মদ কর্তৃক গণপরিষদ বাতিলের প্রতিবাদে তমিজউদ্দীন খান সিন্ধু হাইকোর্টে মামলা করেন। হাইকোর্ট সরকারের বিরুদ্ধে রায় প্রদান করেছিলেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে পাকিস্তান সরকার আপিল করলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ১৯৫৫ সালের জুন মাসে নতুন গণপরিষদ গঠিত হয়। ১৯৫৮ সালের অক্টোবর মাসে দেশে সামরিক শাসন জারির আগে তমিজউদ্দীন পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৬২ সালে ফরিদপুর-ঢাকা আসন থেকে পার্লামেন্ট বা জাতীয় পরিষদের সদস্য এবং ৮ জুন ১৯৬২ ওই পরিষদের স্পিকার নির্বাচিত হন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিবাহে রাজনীতি ও গাঁয়ের গোলাপ তার রচিত উপন্যাস। ব্রিটিশ শাসনামলে পয়গাম ও মদীনা নামে দু’টি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশ ও সম্পাদনা করেছিলেন। বঙ্গীয় প্রজা সমিতির অন্যতম নেতা ছিলেন এবং জমিদারি প্রথা উচ্ছেদের জন্য সংগ্রাম পরিচালনা করেন।


আরো সংবাদ



premium cement
একক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ফরিদপুরে শ্রেষ্ঠ নুসরাত ক্রিস্টাল প্যালেসের কাছে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত ইউনাইটেড জুলাই থেকে স্থায়ী দোকানের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করবে টিসিবি ভ্যান চালক হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল গঠনে নতুন অংশীদার খুঁজুন : আইওএমের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী দু’টি পরিবর্তন নিয়ে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক-নিরাপত্তা-অভিবাসন অংশীদারিত্ব জোরদারে ঢাকায় যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রী জনগণকে বাদ দিয়ে পাতানো উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে : রিজভী একটি ভ্যানের জন্য হত্যা : জয়পুরহাটে ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড উগান্ডার বিশ্বকাপ দলে ৪৩ বছর বয়সী ক্রিকেটার রাফায় অভিযান নিয়ে নেতানিয়াহুকে আবারো সতর্ক করলেন বাইডেন

সকল