০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫
`


অস্থির বৈশ্বিক পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে : প্রধানমন্ত্রী

জাতীয় সংসদে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। - ছবি : পিআইডি

বর্তমান অস্থির বিশ্ব পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘...পৃথিবীর এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতি কতদিন চলবে তা কেউ বলতে পারে না। হয়তো পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে।’

রোববার (৪ জুন) সংসদে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য আফসারুল আমিনের প্রতি উত্থাপিত শোক প্রস্তাবে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘খাদ্য ঘাটতি, মূল্যস্ফীতি, পরিচালন ও পরিবহন ব্যয় এবং বিদ্যুতের সংকট বিশ্বে সবার জীবনকে অসহনীয় করে তুলেছে।’

সংসদ নেতা বলেন, ‘সরকার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে।’

তিনি উল্লেখ করেন, ‘বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেল, কয়লা বা গ্যাসের সংকট চলছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখন কেনা খুব কঠিন। কেনা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তারপরও আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’

তিনি বলেন, সরকার কাতার ও ওমানের সাথে জ্বালানি ক্রয়ের চুক্তি করেছে।

তিনি আরো বলেন, সরকার জলবিদ্যুৎ আমদানির ব্যবস্থাও নিয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইতোমধ্যে কয়লা কেনার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। যাতে আমরা বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো পুনরায় চালু করতে পারি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ আর্থ-সামাজিকভাবে এগিয়ে যাওয়ায় স্বাধীনতার সুফল জনগণের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে যাচ্ছে।

তিনি উল্লেখ করেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা নিষেধাজ্ঞা, বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি ও জ্বালানি তেলের সংকট যার জন্য শুধু বাংলাদেশ নয়, উন্নত দেশগুলোও হিমশিম খাচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে জ্বালানির ঘাটতি রয়েছে। আছে লোডশেডিং বা বিদ্যুতের সীমিত ব্যবহার। খাবার থেকে শুরু করে সব কিছুর দাম বেড়েছে। এমনকি উন্নত দেশগুলোতেও অনেক মানুষ তাদের চাকরি হারাচ্ছে।’

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি জানি না আগে কখনো এমন হয়েছে কিনা। সম্ভবত প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দুর্ভিক্ষ হয়েছিল।’

শেখ হাসিনা বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়িতা বজায় রাখার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।

এসময় তিনি বলেন, ‘আমাদেরও খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমাদের চেষ্টা করতে হবে। পৃথিবীর এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতি কতদিন চলবে তা কেউ বলতে পারছে না। তবে আমাদের দেশের জনগণের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য আমরা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সবকিছু করছি।’

তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মহামারীর ফলে সারা বিশ্বে খাদ্য সংকট, মূল্যস্ফীতি, পরিচালন ও পরিবহন ব্যয়, বিদ্যুতের ঘাটতি এবং তারপর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ প্রতিটি মানুষের জীবনকে অসহনীয় করে তুলেছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা বাংলাদেশে আমাদের সেরাটা করছি।

আফসারুল আমিনের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্রলীগের সাথে জড়িত ছিলেন।

প্রতিটি সংগ্রামে তিনি ভূমিকা রেখেছেন। তিনি একজন নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। দলের প্রতি তার নিষ্ঠা ও সততা ছিল অতুলনীয়।

তিনি মন্ত্রী হিসেবেও দারুণ সাফল্য দেখিয়েছেন।

শোক প্রস্তাবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী, ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য ওয়াসেকা আয়েশা খান, মোতাহার হোসেন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, মুজিবুল হক চুন্নু ও মসিউর রহমান রাঙ্গা।

পরে হাউসে সর্বসম্মতভাবে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

এক মিনিট নীরবতা পালন ও মোনাজাত করা হয়।

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement
বাংলাদেশ-সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে ইউরিয়া সার কারখানার সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন আগামী ২ বছর উন্নয়নশীল এশীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৪.৯ শতাংশ থাকার আশা এডিবি প্রেসিডেন্টের চুয়াডাঙ্গায় আগুনে পুড়ে পানবরজ ছাই মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ, রিমান্ডে নেয়া হবে : ডিবি বৃহস্পতিবার সারা দেশের স্কুল-কলেজ বন্ধ ভূরুঙ্গামারীতে চিকিৎসকের কপাল ফাটিয়ে দিলেন ইউপি সদস্য ‘পঞ্চপল্লীর ঘটনা পাশবিক, এমন যেন আর না ঘটে’ টি২০ বিশ্বকাপের পিচ পৌঁছেছে নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া কমলাপুর স্টেশনে ট্রেন থেকে লাশ উদ্ধার মোরেলগঞ্জে বৃদ্ধের ফাঁস লাগানো লাশ উদ্ধার

সকল