২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বাবরি মসজিদের স্থানে মন্দির নির্মাণে জামায়াতের উদ্বেগ প্রকাশ

বাবরি মসজিদের স্থানে মন্দির নির্মাণে জামায়াতের উদ্বেগ প্রকাশ - ফাইল ছবি

বাবরি মসজিদের স্থানে মন্দির নির্মাণ কাজ শুরু করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা: শফিকুর রহমান শনিবার এক বিবৃতিতে প্রদান করেছেন।

এতে তিনি বলেন, “৪৬০ বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদের স্থানে মন্দির নির্মাণ কাজ শুরু করায় ভারতের মুসলমানসহ মুসলিম উম্মাহ গভীরভাবে মর্মাহত ও উদ্বিগ্ন। যারা দাবি করেছেন ‘বাবরি মসজিদের স্থানে মন্দির ছিল’ তাদের এ বক্তব্য সম্পূর্ণ অসত্য ও বিভ্রান্তিকর। ঐ স্থানে খনন কাজ করে মন্দিরের কোনো চিহ্ন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ববীদরা ঐ স্থানে মন্দিরের কোনো নিদর্শন আবিষ্কার করতে পারেননি। বাবরি মসজিদ বিষয়ক মামলায় ভারতের সুপ্রিম কোর্ট তাদের প্রদত্ত রায়ে মেনে নিয়েছেন যে, ‘প্রত্নতত্ত্ববীদদের পর্যক্ষণের রিপোর্টে কোনোভাবেই প্রমাণ হচ্ছে না যে, একটা মন্দিরকে ভেঙে ওখানে মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল।’

সুপ্রিম কোর্টের যে রায়কে ভিত্তি ধরে বাবরি মসজিদের স্থানে মন্দির নির্মাণ করা হচ্ছে, তা একটি বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ রায়। ভারতের একজন সাবেক প্রধান বিচারপতি ও কোলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিসহ একাধিক বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত তাদের বক্তব্যে বলেছেন যে, ‘ইতিহাস পুনর্নির্মাণ করা আদালতের কাজ নয়। আদালত সিদ্ধান্তে পৌঁছায় অকাট্য প্রমাণ ও প্রামাণ্য নথিপত্রের ভিত্তিতে। বাবরি মসজিদ যেখানে ছিল সেই জমিতে মন্দির তৈরির নির্দেশ সুপ্রিম কোর্ট কোনো অকাট্য প্রমাণ ও প্রামাণ্য নথিপত্রের ভিত্তিতে দেয়নি। এই রায় আইন ও সংবিধানের ভিত্তিতে দেয়া হয়নি।’

শুধু ভারত নয়, সারাবিশ্বের বিচার বিভাগের ইতিহাসে একটি ন্যায়ভ্রষ্ট ও প্রশ্নবিদ্ধ রায়কে ব্যবহার করে মন্দির বানানোর এই সিদ্ধান্ত বিশ্ববাসীকে হতবাক করেছে। নিঃসন্দেহে এটি একটি উগ্র-সাম্প্রদায়িক মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। আমরা আশা করি, ভারত সরকার জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত ধর্মীয় ও মানবাধিকার সনদ এবং ভারতীয় মুসলমান ও মুসলিম উম্মাহর অনুভূতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে বাবরি মসজিদের স্থানে মন্দির নির্মাণ করা থেকে বিরত থাকবেন।”

ভারতের কেরালায় বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি গোলাম পরওয়ারের শোক প্রকাশ

ভারতের কেরালায় বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার শনিবার এক শোকবাণী প্রদান করেছেন।

শোকবাণীতে তিনি বলেন, ভারতের কেরালা রাজ্যের উপকূলীয় শহর কোঝিকোড়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় দুবাই থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ অবতরণের সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়। এ দুর্ঘটনায় দুজন পাইলটসহ ২০ জন যাত্রী নিহত হয়েছেন। ১৯০ জন আরোহীর মধ্যে প্রায় সকলেই আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১১২ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ১৫ জনের অবস্থা গুরুতর বলে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় খবর প্রচারিত হয়েছে। এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন, আমরা তাদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করছি। নিহতদের পরিবার ও ভারত সরকারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি


আরো সংবাদ



premium cement
ছেলেদের কারণে বিপাকে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে ফ্রান্স, ব্রাজিল ও প্যারাগুয়ে সফরে যাচ্ছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ড সফরকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক বললেন প্রধানমন্ত্রী লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত এখনো শেষ হয়নি বিতর্কিত আউটের রেশ, ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ মুশফিকের ‘ফ্রি ভিসার গল্প’ আর শূন্য হাতে ফেরা লাখো শ্রমিক নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের আশুলিয়ায় বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার মিয়ানমারের কর্মকর্তারা ফেরত গেলেন, কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কট কি আরো জটিল হচ্ছে

সকল