১৮ মে ২০২৪, ০৪ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫
`


হাসপাতালে ডাক্তারের অনুপস্থিতি দুর্নীতি : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক - ফাইল ছবি

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, হাসপাতালে ডাক্তারের অনুপস্থিতিতে দুর্নীতি হিসেবে ধরে নেয়া হচ্ছে। বেশিরভাগ অভিযোগ হলো বিশেষকরে উপজেলায় ডাক্তার থাকে না। সে জন্য আমরা যথেষ্ট ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা প্রতিটি উপজেলায় ৬জন করে ডাক্তার থাকার নির্দেশনা দিয়েছি। তিনি আরো জানান, ১০হাজার নতুন ডাক্তার নিয়োগের কার্যক্রম চলমান আছে। নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হলে তাদের সকলকেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পদায়ন করা হবে।

সংসদে প্রশ্নোত্তরে বৃহস্পতিবার পৃথক লিখিত ও সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমামের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হাসাপাতালে ডাক্তাররা যদি অনুপস্থিত থাকেন সেটাকে দুর্নীতি হিসেবে ধরে নেয়া হচ্ছে। দুদক চেয়ারম্যান হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তিনি এসে কিছু সাজেশন দিয়ে গেছেন। সেই সাজেশন আমরা রেখেছি। আমাদের নিজস্ব নীতিমালা পলিসি আছে দেশে। আমরা সেই নীতিামালা পলিসি অনুযায়ী কাজ করবো। যাতে এই মন্ত্রণালয়ে কোনো পর্যায়ে দুর্নীতি না হয়। এখানে বেশির ভাগ অভিযোগটাই হলো বিশেষ করে উপজেলায় ডাক্তার থাকে না। সে বিষয়ে আমরা যথেষ্ট ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমার প্রতিটি উপজেলায় ৬জন করে ডাক্তার থাকার নির্দেশনা ইতোমধ্যেই দিয়েছি। আপনারা অচিরেই সেটা পাবেন। যাতে উপস্থিতি নিশ্চিত করা যায় সেই বিষয়ে মনিটরিং সেল তৈরি করেছি। মন্ত্রণালয়ে, ডিজি অফিসে প্রতিটি ডিভিশনাল অফিসে আছে। ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়ে গেছে। আমরা যদি মনিটরিং সুন্দর ভাবে করতে পারি তাহলে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে পারবো। আমাদের হাসপাতালে ইকুইপমেন্ট আছে, আমাদের ঔষধ আছে অবকাঠামো ভালো আছে, শুধু এই ডাক্তারের উপস্থিতিটাই করতে পারলেই আর কোনো অভিযোগ আশা করি থাকবে না। সেখানে যে সমস্যাটা আছে আমরা দেখছি, সেটা আমরা সমাধান করবো। ২৩জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কিছু যে অভিযোগ আছে আমরা তদন্ত করছি। নিম্নস্তরের যে কর্মকর্তা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে দুদক বলেছে। আমরা সেই দোষী হলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

১০ হাজার ডাক্তার উপজেলা ও ইউনিয়নে পদায়ন : মোঃ মোজাফফর হোসেনের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ১০ হাজার নতুন ডাক্তার নিয়োগ কার্যক্রম চলমান আছে। নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হলে সরকারি বিধি-বিধানের আলোকে তাদের সকলকেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পদায়ন করা হবে। তিনি আরো বলেন, শূন্যপদ দ্রুত পূরণের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। সেই আলোকে অতি শীগগিরই নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

প্রতি দশ হাজারে ১২ ডাক্তারের মধ্যে আছে ৪ জন : শাহে আলমের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি ১০ হাজার লোকের জন্য ১২ জন ডাক্তার থাকা দরকার। আমাদের আছে মাত্র ৪ জন। এজন্য ১০হাজার ডাক্তার নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। এই ডাক্তার নিয়োগ সম্পন্ন হলে এই ব্যবধান অনেক কমে যাবে।

ডাক্তারের ফি নির্ধারণে নীতিমালা : মাহমুদ উম সামাদ চৌধুরীর ( সিলেট-৩) এক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেন, রোগীর নিকট থেকে চিকিৎসকগণের ফি নির্ধারণের বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনপূর্বক একটি নীতিমালা প্রণয়ণের চিন্তা-ভাবনা সরকারের রয়েছে।

কিছু বেসরকারি মেডিকেল কলেজ মান অর্জন করতে সক্ষম হয়নি : দিদারুল আলমের (চট্টগ্রাম-৪) এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, প্রয়োজনীয় দক্ষ চিকিৎসক তৈরি করার জন্য সরকার প্রতি জেলায় অন্ততঃ ১টি মেডিকেল কলেজ এবং প্রতি বিভাগে ১টি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। বর্তমানে ৩৬টি সরকারি মেডিকেল কলেজের মাধ্যমে প্রতি বছর ৪০৬৮জন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা সম্ভব যা প্রয়োজনের তুলনায় কম। এছাড়া সরকার মেডিকেল শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রতিযোগিতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকারি মেডিকেল কলেজের পাশাপাশি বেসরকারি মেডিকের কলেজ অনুমোদন দিয়েছে। বেসরকারি পর্যায়ে মোট ৭৫টি মেডিকেল কলেজ (সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত ৬টি সহ) রয়েছে। বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর মধ্যে কিছু কিছু মেডিকেল কলেজ মান অর্জন করতে সক্ষম হয়নি। সে কারণে মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং টিমের মাধ্যমে তদন্ত করে নির্ধারিত মান অর্জনে ব্যর্থ মেডিকেল কলেজগুলোর ভর্তি কার্যক্রম ইতোমধ্যই বন্ধ করা হয়েছে।

৪৩ জেলায় আর্সেনিক রোগী ১৮ হাজার ৮৬২জন : মশিউর রহমান রাঙ্গার এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ২০১২ সালের পর খানাতল্লাসির মাধ্যমে আর্সেনিক রোগ নির্ণয়ের কোনো কার্যক্রম পরিচালিত হয়নি। ফলে সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ তথ্য যা যাছে তা ২০১২ সালের হিসাব। সর্বশেষ ২০১৭ সালে ৪৩টি জেলার অন্তর্গত উপজেলা সমূহের আর্সেনিক রোগীর রেজিস্টার হতে প্রাপ্ত তথ্য অনুয়ায়ী মোট রোগী ১৮ হাজার ৮৬২ জন।


আরো সংবাদ



premium cement
যে কারণে ডিবিতে গিয়েছিলেন মাওলানা মামুনুল হক? ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ডুসেন সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশ সাফল্য পেয়েছে : আইজিপি বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় রেলস্টেশন নির্মাণ করা হবে : রেলপথমন্ত্রী বাংলাদেশের আসছেন ‘ওসমান বে’ ধর্ষণ মামলা থেকে মুক্তি মেলার পর বিশ্বকাপে খেলার অনুমতি পেলেন লামিচানে গাজীপুরে বজ্রপাতে গৃহবধূর মৃত্যু নারায়ণগঞ্জে ৫৭টি চোরাই মোবাইলসহ ৭ জন গ্রেফতার আশুলিয়ায় তুচ্ছ ঘটনায় বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন ফায়ার সার্ভিস ও আবহাওয়া অধিদফতরকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ গাজীপুরে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা

সকল