২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


গণপরিবহনে দুর্নীতি : বিআরটিএ’র প্রতিক্রিয়া বিষয়ে টিআইবি’র অবস্থান

-

গণপরিবহন খাতে দুর্নীতি প্রসঙ্গে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রকাশিত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গে বক্তব্য দিয়েছে টিআইবি।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবি বলেছে, তারা গত ৫ মার্চ ‘ব্যক্তিমালিকানাধীন বাস পরিবহন ব্যবসায় শুদ্ধাচার’ শীর্ষক একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বিআরটিএ’র ভূমিকা সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার ঢালাওভাবে প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেন। বাস্তবতাকে আমলে নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের পরিবর্তে সত্যকে অস্বীকার করার এ দৃষ্টান্ত অনিয়ম-দুর্নীতিকে সুরক্ষা দেয়া এবং সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে ঘোষিত দুর্নীতির প্রতি শূন্য সহশীলতার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ঝুঁকি বিবেচনায় উদ্বেগ প্রকাশ করছে টিআইবি।

দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি বলেছে, ‘টিআইবির গবেষণাটি সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণার প্রতিষ্ঠিত রীতি অনুসরণ করে ব্যক্তিমালিকানাধীন বাস পরিবহন ব্যবসার সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত ব্যক্তি ও এই বিষয়ে অভিজ্ঞ সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি বর্তমান ও সাবেক কর্মীসহ নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, সেবাগ্রহিতা, বিশেষজ্ঞ ও গণমাধ্যমকর্মীদের কাছ থেকে গুণগত ও পরিমাণগত তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে সম্পন্ন করা হয়েছে। গবেষণার অন্তর্ভুক্ত জরিপে বাস মালিক, কর্মী/শ্রমিক ও যাত্রীদের কাছ থেকে কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। সমগ্র বাংলাদেশের ৬৪ জেলা থেকে ৩২টি জেলা প্রতিনিধিত্বশীল নমুনায়নের মাধ্যমে নির্বাচন করে জরিপের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। জরিপটি পরিসংখ্যান বিজ্ঞানের সর্বোচ্চ মানদণ্ড ও চর্চা অনুসারে পরিচালিত হয়েছে এবং এটির বৈজ্ঞানিক মান ও পদ্ধতিগত উৎকর্ষ নিশ্চিতের সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তাছাড়া জরিপে প্রাপ্ত তথ্য বাস মালিক, কর্মী/শ্রমিক ও যাত্রীদের অভিজ্ঞতাভিত্তিক, টিআইবি কেবলমাত্র বিশ্লেষণ করে উপস্থাপন করেছে। এছাড়াও গবেষণা তথ্যের উৎকর্ষ ও গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিতে সকল সুনির্দিষ্ট তথ্য একাধিক উৎস থেকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় যাচাই-বাছাই করে গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’

এই গবেষণা প্রতিবেদনকে সরকারের গণপরিবহন নিয়ন্ত্রক সংস্থা- বিআরটিএ ‘বাস্তবতাবর্জিত, কাল্পনিক, অনুমাননির্ভর, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। বিষয়টিক ‘কাপুরুষোচিত আচরণ ও সমালোচনা সইবার মানসিকতার অভাবের পরিচায়ক’ হিসেবে উল্লেখ করেছে টিআইবি।

বিআরটিএ’র লিখিত বক্তব্যের প্রাসঙ্গিক অংশের যে ব্যাখ্যা টিআইবি দিয়েছে তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো:

মুখ্য তথ্যদাতাদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ প্রসঙ্গে বিআরটিএ’র বক্তব্য : ‘গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্রত্যক্ষভাবে তথ্য সংগ্রহের সময় মুখ্য তথ্যদাতা হিসেবে বিআরটিএ’র নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যা অসত্য। তাছাড়া বিষয়টি প্রকাশের জন্য এ বিষয়ে বিআরটিএ’কে অবহিত করা হয়নি।’

টিআইবির উত্তর : বিআরটিএ চেয়ারম্যান মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছেন। এই গবেষণার তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান অথবা তার মনোনীত প্রতিনিধির সাক্ষাৎকার গ্রহণের জন্য টিআইবির নির্বাহী পরিচালক স্বাক্ষরিত একটি চিঠি (সূত্র: টিআইবি/আরঅ্যান্ডপি/বাপবশু/২০২৩/২৩৪) বিআরটিএ চেয়ারম্যান জনাব নুর মোহাম্মদ মজুমদার বরাবর প্রেরণ করা হয়। পরে ২৩ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান সাক্ষাৎকার দেয়ার জন্য গবেষণা দলকে ডাকলেও তিনি তার কার্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন। ফলে সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সময়ে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের সাথে ফোনে যোগাযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুনরায় ১২ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে সাক্ষাৎকারের জন্য তিনি ৫ মিনিট সময় দেন এবং সে সাক্ষাৎকারে কোনোপ্রকার তথ্য প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করেন। এমনকি, বিআরটিএ চেয়ারম্যানের পরিবর্তে অন্য কোনো কর্মকর্তাকে সাক্ষাৎকারের জন্য মনোনীত করার অনুরোধ করলেও তিনি তা প্রত্যাখান করেন। পরে গবেষণা দল থেকে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও বিআরটিএ’র চেয়ারম্যানের কার্যালয় থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে টিআইবির গবেষণা দল নিজস্ব সূত্রে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত বিআরটিএ’র কার্যালয়ের বেশ কয়েকজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার নিয়েছে।

সেবা পেতে ঘুষ, দুর্নীতি বা হয়রানির শিকার হওয়া ও সেবা পেতে ৩০ দিন সময় ব্যয় প্রসঙ্গে বিআরটিএ’র বক্তব্য : ... অনলাইনে আবেদন দাখিলের পর নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে সংশ্লিষ্ট বিআরটিএ অফিসে মোটরযান সরেজমিনে পরিদর্শনপূর্বক একই দিনে রেজিস্ট্রেশন নম্বর প্রদান করা হচ্ছে। সুতরাং এক্ষেত্রে সেবা পেতে ঘুষ, দুর্নীতি বা হয়রানির শিকার হওয়া এবং সংশ্লিষ্ট সেবা পেতে গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখিত গড় ব্যয়িত সময় ৩০ কর্মদিবসের বিষয়টি অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত।’

টিআইবির উত্তর : টিআইবির গবেষণায় মোট ১৬৮ জন বাস মালিকের কাছ থেকে একটি কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। যানবাহন নিবন্ধন/রেজিস্ট্রেশনে যে সময়ক্ষেপণ ও অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য বাস মালিকদের ওপর পরিচালিত জরিপ থেকে প্রাপ্ত, এক্ষেত্রে টিআইবি নির্মোহভাবে জরিপে অংশগ্রহণকারী মালিকদের দেয়া তথ্য তুলে ধরেছে। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী বিআরটিএ থেকে বাসের নিবন্ধন নেয়ার ক্ষেত্রে প্রতিটি বাসের নিবন্ধন নিতে গড়ে ৩০ কার্যদিবস (সেবা পেতে সরকার নির্ধারিত সময় ১ থেকে ১৪ দিন) সময় লেগেছে, এবং ৪১ দশমিক ৯ শতাংশ বাসের জন্য বাস মালিকরা ঘুষ বা নিয়মবহির্ভূত অর্থ দিয়েছেন বা দিতে বাধ্য হয়েছেন। এ সব তথ্যকে অসত্য বা কল্পনাপ্রসূত বলার কোনো যুক্তি নেই।

ফিটনেস নবায়ন সেবা পেতে ঘুষ, দুর্নীতি বা হয়রানির শিকার হওয়া প্রসঙ্গে বিআরটিএ’র বক্তব্য : ‘১৫ অক্টোবর ২০২০ থেকে ফিটনেস নবায়ন অনলাইনে অ্যাপয়নমেন্ট গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অ্যাপয়নমেন্ট অনুযায়ী নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে মোটরযান সংশ্লিষ্ট সার্কেল অফিসে হাজির করে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় উপযুক্ততা সাপেক্ষে ফিটনেস সার্টিফিকেট একই দিনে প্রদান করা হয়। ফিটনেস নবায়নে ১৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টার মধ্যে সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফিটনেস সনদ প্রদান করা হয়। এক্ষেত্রে যেহেতু স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয়েছে সেহেতু সংশ্লিষ্ট সেবা পেতে ঘুষ, দুর্নীতি বা হয়রানির শিকার হওয়ার বিষয়টি সঠিক নয় এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

টিআইবির উত্তর : টিআইবি’র জরিপে অংশগ্রহণকারী বাস মালিকরা তাদের গত এক বছরে বাসের ফিটনেস সনদ ইস্যু/নবায়নে বাসপ্রতি গড়ে ১৩ দিন সময় লেগেছে বলে জানিয়েছেন। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ফিটনেস সনদ ইস্যু/নবায়নে ৪৬ দশমিক ৩ শতাংশ বাস মালিককে ঘুষ দিতে হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাথে যোগসাজশ ও পরীক্ষা না করে ফিটনেসসহ অন্যান্য সনদ সংগ্রহের কথা উল্লেখ করেন জরিপে অংশগ্রহণকারী বাস মালিকরা। এ ক্ষেত্রে টিআইবির উদ্দেশ্য একটিই- বিআরটিএ-তে যা ঘটছে তা জনস্বার্থে প্রকাশ করা।

রুট পারমিট ইস্যু/নবায়নে সময়ক্ষেপণ প্রসঙ্গে বিআরটিএ’র বক্তব্য : ‘রুট পারমিট সার্টিফিকেট ইস্যু/নবায়নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অধিক্ষেত্রের যাত্রী ও পণ্য পরিবহন কমিটির সুপারিশের আলোকে বিআরটিএ থেকে নির্ধারিত সময়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে রুট পারমিট সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। ক্ষেত্রবিশেষে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন কমিটির সভা অনুষ্ঠানের বিলম্ব হওয়ার কারণে রুট পারমিট ইস্যু/নবায়নে সময়ক্ষেপণ হতে পারে। তবে এই সময় কোনোক্রমেই প্রতিবেদনে উল্লেখিত ৪৫ কর্মদিবস নয়। এক্ষেত্রে সেবা পেতে ঘুষ, দুর্নীতি বা হয়রানির শিকার হওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়।’

টিআইবির উত্তর : জরিপে অংশগ্রহণকারী বাস মালিকদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী বিআরটিএ থেকে রুট পারমিট ইস্যু/নবায়নে গড়ে ৪৫ দিন সময় প্রয়োজন হয়। এছাড়া ৪২.৬ শতাংশ বাস মালিক জানিয়েছেন বাসের রুট পারমিট ইস্যু/নবায়নে তাদের ঘুষ বা নিয়মবহির্ভূত অর্থ দিতে হয়েছে। এখানে টিআইবির কোনো নিজস্ব সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য বা মন্তব্য উপস্থাপিত হয়নি।

মোটরযান নিবন্ধন/রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস সনদ ইস্যু/নবায়ন, রুট পারমিট ইস্যু/নবায়নে ঘুষ প্রসঙ্গে বিআরটিএ’র বক্তব্য : ‘বিআরটিএ সম্পর্কিত মোটরযান নিবন্ধন/রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস সনদ ইস্যু/নবায়ন, রুট পারমিট ইস্যু/নবায়নে ঘুষ প্রদানসহ অন্যান্য বিষয়ে উপস্থাপিত অনুমাননির্ভর, উদ্দেশ্যমূলক তথ্য প্রকাশের বিরুদ্ধে এ অথরিটি তীব্র প্রতিবাদ এবং তা প্রত্যাখান করছে। কারণ, এতে বিআরটিএসহ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে।’

টিআইবির উত্তর : টিআইবির গবেষণাটি সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণার অনুসৃত পদ্ধতি ও মান অনুসারে পরিচালিত। গবেষণা জরিপে একটি প্রতিনিধিত্বশীল নমুনা নির্বাচন করে তিন ধরনের তথ্যদাতার কাছ থেকে কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। কাজেই গবেষণাটিকে অনুমাননির্ভর, উদ্দেশ্যমূলক বলে গণ্য করার সুযোগ নেই। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, দুর্নীতির দায় এড়াতে সরকারকে জড়িয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিআরটিএ। এ গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য ও তার বিশ্লেষণে যে ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে, এতে যদি বিআরটিএ’র ভাবমূর্তি সত্যিই ক্ষুণ্ণ হয়ে থাকে, তবে তা প্রত্যাখান না করে টিআইবি প্রণীত সুপারিশমালা অনুসরণ করে পদক্ষেপ নেয়াই শ্রেয়।

টিআইবি মনে করে, গবেষণাটি সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ নয় বরং দুর্নীতির বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের শূন্য সহনশীলতার দৃঢ় অঙ্গীকারকে সম্পূর্ণ সমর্থন করে এবং এক্ষেত্রে একটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে ব্যক্তিমালিকানাধীন বাস পরিবহন ব্যবসায় শুদ্ধাচার পর্যালোচনা করা হয়েছে। এই খাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন হিসেবে বিআরটিএ যদি সুযোগ দিতে সম্মত হয়, তবে তার শুদ্ধাচার সংক্রান্ত সহায়তা প্রদানের জন্য সবসময় পাশে আছে টিআইবি। বিআরটিএ’র বক্তব্যের শেষে টিআইবির সুপারিশকে গঠনমূলক ও বাস্তবধর্মী বলে স্বীকার করে নেয়ায় বিআরটিএ-কে ধন্যবাদ জানাই। টিআইবি আশা করে, টিআইবির সুপারিশসমূহ আমলে নিয়ে কাজ করার যে অঙ্গীকার করেছে বিআরটিএ, তা অতি দ্রুত বাস্তবায়ন করে ব্যক্তিমালিকানাধীন বাস পরিবহন ব্যবসায় শুদ্ধাচার নিশ্চিত করায় অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।


আরো সংবাদ



premium cement