২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


কারাকোরাম :

ট্রেকারদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু

কারাকোরাম : ট্রেকারদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু - ফাইল ছবি

পর্বতারোহণ বা ট্রেকিং যাদের প্রিয় পেশা- এমন অভিযাত্রীদের জন্য আকর্ষণীয় গন্তব্য হচ্ছে পাকিস্তানের কারাকোরাম পর্বতমালা। এটি হচ্ছে হিমালয় পর্বতমালার পর দ্বিতীয় উচ্চতম শৈলচূড়া।

এশিয়ার হিমবাহবিশিষ্ট এ পর্বতমালার অপরূপ সৌন্দর্য অবলোকন, ক্যাম্পে অবস্থান করে রাত আর দিনের হিম উপভোগ করা আর ধাপে ধাপে কষ্টকর ঊর্ধ্বমুখি অভিযাত্রা পরিচালনা- এ সব হচ্ছে বিশ্বের পর্বতারোহীদের জন্য উন্মাদনাপূর্ণ আকর্ষণ। তাই তো, দুঃসাহসী এ অভিযাত্রায় যোগ দিতে কারাকোরাম অঞ্চলে ছুটে আসেন দেশ-বিদেশের শত শত পর্বতপ্রেমী।

হিমালয় পর্বতমালা এশিয়ার মধ্য অঞ্চল থেকে দক্ষিণাঞ্চলকে আলাদা করে রেখেছে। হিমালয়ের গিরিসারি পশ্চিমে বিস্তৃত হয়ে কাশ্মির ও পাকিস্তানের উত্তর অংশে ২০০ মাইল জুড়ে অবস্থান করছে। এ পর্বতমালা থেকে উৎসারিত হয়েছে ঝিলাম, সিন্ধু ও শায়ক নদী।

আর এই কারাকোরাম পর্বতমালার দূর উত্তর শাখা গিয়ে ঠেকেছে চীনের ঝিংজায়াং প্রদেশের উইঘুর অঞ্চলে। এ পর্বতমালা ভেদ করে নির্মিত হয়েছে পাকিস্তানের গিলগিট থেকে চীনের কাশগর পর্যন্ত কারাকোরাম মহাসড়ক। চীনের সাথে পাকিস্তানের আর্থনৈতিক সম্পর্কের করিডোর।

কারাকোরাম রেঞ্জের পর্বতারোহীদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ হচ্ছে কে-টু পর্বত। এর শৃঙ্গের উচ্চতা আট হাজার ছয় শ' এগারো মিটার। বরফ জমা শৃঙ্গে শীতকালে আরোহণ করা সম্ভব না হলেও পাদদেশে বেজ ক্যাম্পে জড়ো হতে শুরু করে হিম শিহরিত পর্বতারোহীরা।

এবার অভিযাত্রীদের জন্য কারাকোরাম পর্বতমালার প্রবেশদ্বার বলে পরিচিত স্কারডু থেকে একটি রাস্তা তৈরী করা হয়েছে বেস ক্যাম্পে যাবার জন্য।

আসলে পর্বতারোহীদের জন্য কারাকোরামে রয়েছে উন্মাদনাপূর্ণ আকর্ষণ। এখানে বেস ক্যাম্পে বরফজমা ঠাণ্ডায় কয়েক রাত আতিবাহিত করার শিহরণটাই আন্য রকম। কে-টু পর্বতের বালতোড়া হিমবাহ ছাড়াও রয়েছে আরো কয়েকটি ট্রেকিং সাইট। রয়েছে আরো বেশি অভিযাত্রীর জন্য অবস্থান করার সুবিধা। রয়েছে এক তাঁবু থেকে ওপরের তাঁবুতে চলাচলের পথ এবং দিনব্যাপী পর্বতারোহণের পাগল করা আকর্ষণ।

২০১৮ সালে ইমরান খান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হবার পর প্রথম ১০০ দিনের কর্মসূচিতে দেশের নিরাপত্তা ও পর্যটনকে বিশেষ গুরুত্ব দেবার কথা ঘোষণা দেন। সে আনুযায়ী আরো বেশি টুরিষ্ট ভিসা প্রদান, ই-ভিসা প্রবর্তন, ব্রিটিশ রাজপরিবারকে আতিথেয়তা প্রদান এবং আন্তর্জাতিক রুটে ইসলামাবাদের সাথে সরাসরি আকাশপথে যোগাযোগ চালু করা হয়। এর মধ্যে করোনা সঙ্কটের কারণে বন্ধ থাকা পাকিস্তানের পর্যটন সেক্টরে আবার গতি আসতে শুরু করেছে বলে মনে করছেন।


আরো সংবাদ



premium cement