২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আদানির অব্যাহত পতনের প্রভাব পড়ছে ভারতীয় অর্থনীতিতে

-

গৌতম আদানির কোম্পানির শেয়ারের দরের পতন এখনো অব্যাহত রয়েছে। এভাবে কোম্পানিটির শেয়ারের দরে পতনের কারণে ভারতীয় অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাখা টাকা কতখানি সুরক্ষিত? জাগছে প্রশ্ন। এবার সাধারণ মানুষের কৌতূহল দূর করতে মুখ খুলেছে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া। একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, ভারতের ব্যাংকগুলো নিরাপদ ও সুরক্ষিত রয়েছে।
যাবতীয় আশঙ্কা আর সংশয়ের মধ্যে আদানি পোর্টস, এন্টারপ্রাইজেসসহ গোষ্ঠীর চারটি সংস্থার শেয়ার দর শুক্রবার কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায়। তবে বাকিগুলোর বিপর্যয় আটকানো গেল না সূচকের বিপুল উত্থান সত্ত্বেও। এ দিন সেনসেক্স ৯০৯.৬৪ পয়েন্ট উঠে পৌঁছে যায় ৬০,৮৪১.৮৮ অঙ্কে। নিফটি ২৪৩.৬৫ পয়েন্ট এগিয়ে হয় ১৭,৮৫৪.০৫। আর তার মধ্যে দাঁড়িয়েই আদানি ট্রান্সমিশন, আদানি গ্রিন এনার্জি, আদানি পাওয়ার, আদানি টোটাল গ্যাস, আদানি উইলমার, এনডিটিভির শেয়ারের দাম আরো মুখ থুবড়ে পড়তে থাকে।
আদানি শিল্প গোষ্ঠীর দর অবশ্য শেষে ১.২৫% বেড়েছে। তবে বিএসইতে এক সময় তা ৩৫% পড়ে নেমেছিল ১০১৭.১০ রুপিতে, যা এক বছরে সব থেকে কম। সকালের লেনদেনে অনেক পড়তে পড়তে পতনের ন্যূনতম সীমায় ঠেকে আদানি কোম্পানি। বিশেষজ্ঞদের দাবি, আমেরিকার ডাও জোন্সের ‘সাসটেনেবিলিটি সূচক’ (আর্থিক, সামাজিক বা পরিবেশগত স্থিতিশীলতার বিচারে বিশ্বের সেরা সংস্থাগুলোকে নিয়ে তৈরি শেয়ার সূচক) থেকে আদানি এন্টারপ্রাইজেসকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত ভারতে শেয়ার বাজার খোলার পরে অস্থির করে তোলে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে।


এসঅ্যান্ডপি ডাও জোন্স সূচক বিবৃতিতে জানায়, আদানিদের সরানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহল এবং সংবাদমাধ্যমের বিশ্লেষণ খতিয়ে দেখেই এমনটা করা হয়। এ মাসের ৭ তারিখে সূচকটি খোলার আগে তা কার্যকর হবে।
অনেকের দাবি, পরে ফ্রান্সের টোটাল এনার্জিস আদানি গোষ্ঠীর কিছু সংস্থায় তাদের লগ্নি ধরে রাখা নিয়ে জোরালো বার্তা দিলে বাজারের পরিস্থিতি বদলায়। তবে প্রমাদ গুনছেন গৌতম আদানির বিভিন্ন সংস্থায় লগ্নিকারীরা। গত ছয় দিনের লেনদেনে মোট ৮.৭৬ লাখ কোটি ভারতীয় রুপির শেয়ার সম্পদ হারিয়েছেন তারা।
উল্লেখ্য, হু হু করে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের দর পড়তেই তার প্রভাব দেখা দিয়েছে ভারতীয় অর্থনীতিতেও। বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির তকমা খোওয়াতে হয়েছে ভারতকে। এই পরিস্থিতিতে ভারতকে টপকে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে উঠে এসেছে ফ্রান্স। এক ধাক্কায় ৩.২ ট্রিলিয়ন ডলার কমে গিয়েছে ভারতের বাজার মূলধন। মাত্র ১০ কোটি ডলারের ব্যবধানে ভারতের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে ব্রিটেন। যদিও আদানিদের দাবি, একাধিক সংস্থায় ১০০ শতাংশ মালিকানা রয়েছে তাদের হাতে। সেই সংস্থাগুলোর ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না। তাই আচমকা তাদের সম্পত্তি কমে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। কিন্তু তাদের আশ্বাস সত্ত্বেও তৈরি হচ্ছে নানা আশঙ্কা।


আরো সংবাদ



premium cement
বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ট্রাম্পের বিচার নিয়ে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট চুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত আমদানি ব্যয় কমাতে দক্ষিণাঞ্চলের সূর্যমুখী তেলের আবাদ পাকুন্দিয়ায় গানের আসরে মারামারি, কলেজছাত্র নিহত আবারো হার পাকিস্তানের, শেষ সিরিজ জয়ের স্বপ্ন পাটকেলঘাটায় অগ্নিকাণ্ডে ৩ দোকান পুড়ে ছাই ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু দোয়ারাবাজারে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা : স্বামীর আমৃত্যু কারাদণ্ড গাজীপুরে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার ভারতে দ্বিতীয় পর্বে ৮৮ আসনে ভোট

সকল