২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইয়েমেনের বন্দিশিবিরে সৌদি হামলায় দুই শতাধিক হতাহত

জাতিসঙ্ঘের নিন্দা, দায় অস্বীকার সৌদি জোটের
হামলার প্রতিবাদে ইয়েমেনের রাজপথে হাউছি বিদ্রোহীদের বিক্ষোভ। ইনসেটে সৌদি হামলায় বিধ্বস্ত বন্দিশিবির : এএফপি -

ইয়েমেনের একটি বন্দিশিবিরে বিমান হামলা চালিয়েছে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। হামলায় শিশুসহ দুই শতাধিক মানুষ হতাহত হয়েছে। হামলার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসঙ্ঘ। মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘অবিলম্বে ইয়েমেনে হামলা-আগ্রাসন বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।’ পাশাপাশি এ ঘটনার তদন্তে একটি আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিটি গঠনেরও প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। এদিকে হামলার দায় অস্বীকার করেছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট।
গত শুক্রবার সকালে ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ সাদার একটি বন্দিশিবিরে এ হামলা চালায় সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের বিমানবহর। বার্তাসংস্থা এএফপিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা সংস্থা রেড ক্রসের ইয়েমেন শাখা।
সাদা প্রদেশের ওই বন্দিশিবিরটিতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আফ্রিকান অভিবাসনপ্রত্যাশী ছিলেন। তাদের কয়েকজনও হতাহত হয়েছেন বলে রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে সেভ দ্য চিলড্রেন ইয়েমেন শাখা।
ইয়েমেনের হাউছি বিদ্রোহীদের টেলিভিশন চ্যানেল আল মাসিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিমান হামলায় নিহত ও আহতদের সন্ধানে বন্দিশিবিরের ধ্বংসস্তূপে উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে। আহতদের নিকটস্থ আল জামহুরি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। তবে ঠিক কতজন নিহত হয়েছে- সেই সংখ্যা জানাতে পারেনি আল মাসিরা।
ইয়েমেনের হাউছি বিদ্রোহীদের অন্যতম শক্তিশালী ঘাঁটি সাদা প্রদেশ। গত সোমবার সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের অন্যতম অংশীদার সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে ড্রোন হামলা করেছিল ইয়েমেনের হাউছি বিদ্রোহী গোষ্ঠী; তার মাত্র ৪ দিনের মধ্যেই এ হামলা চালাল সৌদি-আমিরাত সামরিক জোট।
সামরিক জোট অবশ্য বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছিল, খুব দ্রুত ইয়েমেনে হামলা চালানো হবে। তবে হামলার পর জোটের কোনো কর্মকর্তা এ ব্যাপারে মুখ খুলতে রাজি হননি।
সাত বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত ও বিপর্যস্ত ইয়েমেনে অস্থিরতার সূত্রপাত হয় ২০১৪ সালে, যখন দেশটির আবদ-রাব্বু মানসুর হাদির নেতৃত্বাধীন সরকারকে হটিয়ে রাজধানী সানা দখল করে নেয় হাউছি বিদ্রোহীরা।
হাদির সরকারকে ফের ক্ষমতাসীন করতে ২০১৫ সালের মার্চ থেকে ইয়েমেনে অভিযান শুরু করে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সৌদি-ইয়েমেন-আমিরাত সামরিক জোট।
কিন্তু এ অভিযানের শুরুর পর ইয়েমেনের রাজনৈতিক সঙ্কটের অবসান হওয়ার পরিবর্তে তা আরো তীব্রতর হয়ে ওঠে। বর্তমানে ইয়েমেনে কার্যত দুই শাসকগোষ্ঠী সক্রিয় আছে। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সামরিক সহযোগিতার ওপর ভর করে দেশটির দক্ষিণাঞ্চল এখনো মনসুর হাদির নেতৃত্বাধীন সরকারের নিয়ন্ত্রণে আছে, অন্য দিকে উত্তরাঞ্চল সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে হাউছি বিদ্রোহীরা।
গৃহযুদ্ধ ও সঙ্ঘাত চলার ফলে প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ এবং একসময়ের সচ্ছল এ দেশটি। জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৭ বছরে অন্তত ১০ হাজার শিশুসহ এক লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে ইয়েমেনে, বাস্তুচ্যুত হয়েছে আরো কয়েক লাখ মানুষ। এ ছাড়া দেশটির অর্ধেকেরও বেশি মানুষ বর্তমানে খাদ্য ও ওষুধের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের গুরুতর সঙ্কটে ভুগছে।
ইয়েমেনের একটি কারাগারে বিমান হামলায় দুই শতাধিক মানুষ নিহত বা আহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। পৃথক আরেকটি বোমা নিক্ষেপের ঘটনায় অন্তত তিন শিশু নিহত হয়েছে। দেশটির দীর্ঘ দিনের সঙ্ঘাত নাটকীয়ভাবে সহিংসতা বৃদ্ধির সময় এসব হামলা হলো।
শুক্রবার হাউছি বিদ্রোহীরা কারাগারে হামলার একটি ভিডিওফুটেজ প্রকাশ করেছে। উত্তরাঞ্চলীয় প্রাণকেন্দ্র সাদা এলাকায় এ কারাগার অবস্থিত। ভিডিওতে দেখা গেছে, ধ্বংসস্তূপে লাশ পড়ে রয়েছে। বিমান হামলায় কারাগারটি মাটির সাথে মিশে গেছে।


আরো সংবাদ



premium cement
‘ফ্রি ভিসার গল্প’ আর শূন্য হাতে ফেরা লাখো শ্রমিক নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের আশুলিয়ায় বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার মিয়ানমারের কর্মকর্তারা ফেরত গেলেন, কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কট কি আরো জটিল হচ্ছে দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, চালক-হেলপার নিহত মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

সকল