২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আফগানিস্তানে নারীর সম্মতি ছাড়া বিয়ে নিষিদ্ধ

নারী অধিকার নিয়ে নতুন ডিক্রি জারি করেছে তালেবান সরকার
-

আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন তালেবান নারী অধিকার নিয়ে নতুন এক ডিক্রি জারি করেছে। শুক্রবার জারি করা সেই ডিক্রিতে বলা হয়েছে- নারীদের ‘সম্পত্তি’ ভাবা যাবে না এবং বিয়ের আগে অবশ্যই তাদের অনুমতি নিতে হবে। তালেবান সরকারের অন্যতম মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ শুক্রবার এই ডিক্রির বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নারী কোনো সম্পদ নয়, বরং স্বাধীন ও উন্নত চরিত্রের মানুষ। শান্তির জন্য বা শত্রুতার অবসানের জন্য কেউ কোনো নারীকে অন্য কারো হাতে তুলে দিতে পারে না।’ ‘সরকারের নতুন আদেশ অনুযায়ী, নারীদের বিয়ের জন্য জবরদস্তি করা যাবে না এবং সব বিধবা অবশ্যই তাদের মৃত স্বামীর সম্পত্তির অংশ পাবেন।’ ডিক্রিতে আরো বলা হয়েছে, ‘আদালতেরও সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় এই বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন এবং ধর্ম ও তথ্যবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উচিত হবে এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রচার চালানো।’ গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখলের মধ্যে দিয়ে দেশটির জাতীয় ক্ষমতায় আসীন হয় তালেবান গোষ্ঠী। ক্ষমতার এই পটপরিবর্তনের ফলে আফগান নারীদের অবস্থা কী হবে তা নিয়ে উৎসুক গোটা বিশ্ব।
আফগানিস্তান তালেবান দখলে যাওয়ার পর থেকেই নারীদের শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের অধিকার নিয়ে বিভিন্ন দেশ সরব হয়েছে; কিন্তু নতুন ডিক্রিতে শিক্ষা এবং ঘরের বাইরে কর্মক্ষেত্রে নারীর বিচরণের সুযোগ থাকা নিয়ে কিছু বলা হয়নি বলে অভিযোগ পশ্চিমা মিডিয়া ও অধিকার সংগঠনগুলোর। এ দিকে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা দখলের পরপরই তালেবান নেতারা নারী অধিকার সমুন্নত রাখার আশ্বাস দেন। এরই ধারাবাহিকতায় এই প্রথম ডিক্রির মাধ্যমে নারী অধিকারের ব্যাপারে সুস্পষ্ট বক্তব্য দিলো তালেবান।
ইতোমধ্যে কয়েকটি প্রদেশে মেয়েদের হাইস্কুলও খুলে দেয়া হয়েছে। আফগানিস্তানে ব্যাংকের কোটি কোটি ডলারের তহবিল জব্দ করা এবং উন্নয়ন তহবিল সহায়তা বন্ধ করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ভবিষ্যতে দেশটির তালেবান সরকারের সাথে কাজ করার অন্যতম শর্ত হিসেবে সামনে এনেছে নারী অধিকারের বিষয়টিকে। তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বেশির ভাগ বিদেশী সহায়তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আফগানিস্তান অর্থনৈতিকভাবে ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে আছে।


আরো সংবাদ



premium cement