রাষ্ট্রদূতকে গ্রহণ না করায় জাতিসঙ্ঘের সমালোচনা তালেবানের
- আলজাজিরা
- ০৪ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০
আফগান রাষ্ট্রদূতকে স্থান না দেয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতিসঙ্ঘ, তার কড়া সমালোচনা করেছে দেশটির অন্তর্র্বর্তী তালেবান সরকার। বৃহস্পতিবার ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে অন্তর্র্বর্তী সরকারের মনোনীত দূত সুহেল শাহিন বলেন, এই সিদ্ধান্ত কোনো আইন ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে নেয়া হয়নি। এতে তারা আফগান জনগণকে তাদের বৈধ অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
এর আগে গত বুধবার সাধারণ পরিষদের নয় সদস্যের ক্রেডেনশিয়াল কমিটি আফগানিস্তানে তালেবান নেতৃত্বাধীন সরকারের দূতকে জাতিসঙ্ঘে প্রতিস্থাপনের আবেদন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারের দূতের ব্যাপারেও তারা একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জাতিসঙ্ঘের ওই কমিটির সভাপতিত্ব করেন সুইডেনে জাতিসঙ্ঘের রাষ্ট্রদূত আনা এনস্ট্রোম। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, কমিটি উভয় দেশের ক্ষেত্রেই অনুমোদন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর অর্থ হলো সাধারণ পরিষদের পরবর্তী অধিবেশন না হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ আগামী বছরের বেশির ভাগ সময় জাতিসঙ্ঘে আফগানিস্তান ও মিয়ানমারের প্রতিনিধিত্ব করা হবে না।
শিগগিরই এই অধিকার আফগানিস্তানের সরকারের প্রতিনিধির কাছে হস্তান্তর করা হবে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করে সুহেল শাহিন এক টুইটে বলেন, এর মাধ্যমে আমরা আফগানিস্তানের জনগণের সমস্যাগুলো কার্যকরভাবে ও দক্ষতার সাথে সমাধান করতে পারব। সেই সাথে বিশ্বের সাথে ইতিবাচক ধারায় যোগাযোগ বজায় রাখতে সক্ষম হবো।
আফগানিস্তানে নতুন সরকার আসার পর যুক্তরাষ্ট্র দেশটির বৈদেশিক রিজার্ভ আটকে রাখে। এর ফলে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে মানবিক সঙ্কট তৈরি হয়। এর মধ্যেই জাতিসঙ্ঘে আফগানদের প্রতিনিধিত্ব প্রত্যাখ্যান করার সিদ্ধান্তটি এলো। একাধিক বৈশ্বিক সংস্থা এরই মধ্যে আফগানিস্তানে আসন্ন মানবিক বিপর্যয় সম্পর্কে সতর্ক করেছে এবং এর মোকাবেলায় দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। গত আগস্টে তালেবান কাবুলের দখল নেয়ার পর তারা জাতিসঙ্ঘে নিযুক্ত আগের সরকারের দূতকে অপসারণ করে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই স্থানে তারা নিজেদের দূতকে প্রতিস্থাপন করতে পারেনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা