২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সু চির বিরুদ্ধে প্রথম রায় আগামীকাল

-

আদালতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আছে নিষেধাজ্ঞা। আইনজীবীরা মিডিয়ার সাথে কোনো কথা বলতে পারবেন না। এমন এক দম বন্ধ করা পরিবেশে মিয়ানমারের বেসামরিক নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রথম রায় ঘোষণা করার কথা আগামীকাল মঙ্গলবার। সেই রায় শুনতে উদগ্রীব হয়ে আছেন সু চি। যদি এতে তাকে অভিযুক্ত প্রমাণ করা হয় তাহলে জীবনের বাকি সময় তাকে জেলেই কাটাতে হতে পারে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে আটক করেছে সামরিক জান্তা। তারপর তার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ আনতে থাকে। এর মধ্যে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উসকানি দেয়ার অভিযোগের বিচারের রায় ঘোষণার দিন ধার্য হয়েছে মঙ্গলবার। এ দিন কী রায় দেয় সেনাবাহিনীর আদালত সেদিকে তাকিয়ে আছে বিশ্ব। সু চিকে ক্ষমতাচ্যুত করে গ্রেফতারের পর পুরো দেশ ক্ষোভে, প্রতিবাদে জ্বলে ওঠে। তার বিরুদ্ধে নৃশংস দমনপীড়ন চালায় সামরিক জান্তা। স্থানীয় মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপের মতে, এতে কমপক্ষে ১২০০ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। ১০ হাজারের বেশি ভিন্ন মতাবলম্বীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবারের রায়ে সু চিকে যদি দোষী প্রমাণ করা হয়, তাহলে তাকে তিন বছরের জেল দেয়া হতে পারে। তার বিরুদ্ধে অনেক মামলার এটি একটি। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এর মধ্য দিয়ে রাজনীতি থেকে চিরদিনের জন্য মিয়ানমারের উচ্চপর্যায়ের এই ব্যক্তিকে সরিয়ে দেয়া হতে পারে। সু চির বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে উসকানি দেয়ার অভিযোগের সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। এই অভিযোগকে কখনো কখনো রাষ্ট্রদোহিতা হিসেবে দেখা হয়। জনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার জন্য মিথ্যা তথ্য অথবা উসকানি সৃষ্টির মতো তথ্য ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগকে এর আওতায় ফেলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত অং সান সু চি কোথায় তা জানায়নি সামরিক বাহিনী।


আরো সংবাদ



premium cement