২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

করপোরেট দাস হতে নারাজ ভারতের কৃষকরা

দিল্লি প্রবেশের সব রাস্তা বন্ধ
-

পানিকামান, টিয়ারগ্যাস ও পুলিশি বাধার মুখেও নিজেদের প্রতিবাদ চালিয়েই যাচ্ছে ভারতের কৃষকরা। কৃষি আইন বাতিল চেয়ে গতকাল সোমবার দিল্লির ভেতরে ও বাইরে অবস্থান করা কৃষকরা হুমকি দিয়ে বলেছে, দাবি না মানলে দিল্লির পাঁচটি প্রবেশপথ-সোনিপত, রোহতাক, জয়পুর, গাজিয়াবাদ-হাপুর এবং মথুরা বন্ধ করে দেয়া হবে। পার্শ্ববর্তী হরিয়ানার সীমান্ত বন্ধ থাকায় সোমবার সকালে দিল্লির পুলিশ সফরকারীদের বিকল্প পথ ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছে।
মোদি সরকারের কৃষিনীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনরত এই কৃষকরা কার্যত দিল্লি ঘিরে ফেলেছে। রাজধানীতে ঢোকার যে পাঁচটি প্রধান রাস্তা আছে; তার মধ্যে দু’টি পুরোপুরি এবং একটি আংশিকভাবে বন্ধ করে দিতে হয়েছে। বাকি দুই রাস্তাতেও কৃষক জমায়েত হয়েছে। গত পাঁচ দিন ধরে তারা দিল্লিতে আসার চেষ্টা করছে। পুলিশের অবরোধ, লাঠি, কাঁদানে গ্যাস, পানিকামান অগ্রাহ্য করে তারা দিল্লির সীমান্তে চলে এসেছে। কৃষকরা বলছে, এই কৃষিনীতি তাদের করপোরেট দাসে রূপান্তরিত করবে।
কীভাবে কৃষকদের আন্দোলন সামাল দেয়া হবে, তা নিয়ে রোববার গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরসহ চার-পাঁচজন মন্ত্রী। সকালে আবার অমিত শাহের সাথে বৈঠক করেছেন তোমর। তারপর সরকার জানিয়েছেন, তারা কৃষকদের সাথে আলোচনা করতে রাজি। তবে কৃষকদের দিল্লিতে ঢোকা চলবে না। তাদের চলে যেতে হবে দিল্লির সীমান্ত থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরের বুরারিতে।
কৃষকরা সরকারের দেয়া প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। হাজার হাজার কৃষক হরিয়ানার টিকরি ও সিংঘু সীমানা বন্ধ করে দিয়েছে। উত্তর প্রদেশের গাজিপুর সীমানাও আংশিকভাবে বন্ধ। পুলিশের পক্ষ থেকে মানুষকে বিকল্প পথে দিল্লিতে ঢুকতে বলা হয়েছে। এই শীতের মধ্যেও কৃষকদের লক্ষ্য করে পানিকামান ছোড়া হচ্ছে। খোদ শিবসেনা বলেছে, এই শীতে কৃষকদের বিক্ষোভে পানিকামান ব্যবহার খুবই নিষ্ঠুর একটা ব্যাপার। ইতোমধ্যে একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। একজন কৃষক পানিকামানের ওপরে চড়ে তা বন্ধ করে লাফিয়ে আবার নিজের ট্র্যাক্টরে ফিরছেন।
কৃষকরা দিল্লির অভ্যন্তরে বিক্ষোভ ও সরকারের সাথে আলোচনা করতে চায়। ৫০০টির মতো কৃষক সংগঠন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ করছে। তার মধ্যে বামপন্থী সংগঠনও আছে। হাজার হাজার কৃষক ট্র্যাক্টরে করে মাস দুয়েকের খাবার সাথে নিয়ে বিক্ষোভে সামিল হয়েছে। তারা এসেছেন মূলত ছয়টি রাজ্য থেকেÑ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখ-, কেরালা ও রাজস্থান থেকে।
কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে কৃষকরা। মোদি সরকার সম্প্রতি কৃষি আইনে বদল করে করপোরেট চাষ ও কৃষকদের কাছ থেকে যত খুশি ফসল কেনার অনমুতি দিয়েছে। করপোরেশনগুলো কৃষকদের আগাম টাকা দিয়ে কী চাষ করতে হবে সেটাও বলে দিতে পারবে। এই ছয় রাজ্যের কৃষকদের ধারণা, এর ফলে তাদের স্বার্থ ক্ষুণœ হবে। তারা শেষ পর্যন্ত করপোরেশনের দাসে পরিণত হবেন। সুবিধা হবে বড় সংস্থাগুলোর। কয়েক বছরের মধ্যে কৃষিতে তাদের মনোপলি প্রতিষ্ঠা হবে। সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য বারবার দাবি করা হচ্ছে, এতে আদতে কৃষকদের লাভ হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের আশুলিয়ায় বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার মিয়ানমারের কর্মকর্তারা ফেরত গেলেন, কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কট কি আরো জটিল হচ্ছে দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, চালক-হেলপার নিহত মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ট্রাম্পের বিচার নিয়ে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট

সকল