২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

লিবিয়া সরকারের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে তুরস্ক

-

লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী ফায়েজ আল সাররাজ আগামী মাসে পদত্যাগ করবেন বলে ঘোষণা দেয়ার পরও দেশটির জাতীয় সরকারের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে তুরস্ক। গত সোমবার তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের মুখপাত্র ইবরাহিম কালিন এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় স্বীকৃত লিবিয়ার জাতীয় সরকারকে সমর্থন দেয়া এবং গত বছর ত্রিপোলির সাথে সই হওয়া নিরাপত্তা চুক্তিসহ সব দ্বিপক্ষীয় চুক্তি বহাল রাখবে আঙ্কারা।
ইবরাহিম কালিন বলেন, লিবিয়ার রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ এসব চুক্তির ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না কারণ এই সব সিদ্ধান্ত দুই দেশের সরকারের মধ্যে হয়েছে, কোনো ব্যক্তির সাথে নয়। লিবিয়ার ঘটনাবলি নিয়ে আলোচনা করার জন্য তুরস্কের সরকারি কর্মকর্তারা আগামী দিনগুলোতে ত্রিপোলি সফর করতে পারেন বলে তুর্কি প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র জানান। গত বৃহস্পতিবার ফাইয়াজ আল সারাজ জানান, তিনি আগামী মাসের শেষ দিকে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন। দেশটির দীর্ঘদিনের ঝুলে থাকা রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধানের জন্য তিনি এ পরিকল্পনা নিয়েছেন বলে জানান।
তুরস্কে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা পক্ষপাতমূলক
লিবিয়ার ওপর আরোপিত জাতিসঙ্ঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গের অভিযোগে তুরস্কের একটি প্রতিষ্ঠানের ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার নিন্দা জানিয়েছে আঙ্কারা। তুরস্ক বলছে, এই পদক্ষেপ ইউরোপীয় জোটটির দ্বৈতনীতি এবং পক্ষপাতমূলক অবস্থান।
গত জুনে সমুদ্র এলাকায় বিরোধপূর্ণ একটি ঘটনায় জড়ায় দুই ন্যাটো মিত্র ফ্রান্স ও তুরস্ক। ওই ঘটনায় যুক্ত ছিল তুরস্কের আভরাসিয়া শিপিং কোম্পানির মালিকানাধীন পরিবহন জাহাজ সিরকিন। সোমবার ওই কোম্পানিটির সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইইউ’র অভিযোগ, ওই জাহাজ ব্যবহার করে লিবিয়ায় অস্ত্র পাচার করছিল কোম্পানিটি। তবে অস্ত্র পাচারের অভিযোগ অস্বীকার করে আঙ্কারা বলছে, জাহাজটি মানবিক ত্রাণ পরিবহন করছিল। সোমবার রাতে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইইউ’র আইআরআইএনআই অপারেশন (লিবিয়ার যুদ্ধরত পক্ষগুলোর কাছে অস্ত্র পৌঁছানো ঠেকাতে ভূমধ্যসাগরে নিয়োজিত ইউরোপীয় মিশন) হাফতারকে পুরস্কৃত করছে আর জাতিসঙ্ঘ স্বীকৃত লিবিয়ার সরকারকে শাস্তি দিচ্ছে।’
লিবিয়ার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে সমর্থন দিয়ে আসছে আঙ্কারা। রাজধানী ত্রিপোলি থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছে গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল অ্যাকর্ড (জিএনএ) নামের লিবিয়ার এই সরকারটি। আর অন্য দিকে লিবিয়ার পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণাঞ্চলের বিস্তৃত এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে বিদ্রোহী সামরিক নেতা খলিফা হাফতারের স্বঘোষিত লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এলএনএ)। হাফতার বাহিনীকে সমর্থন দিচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর ও রাশিয়া।


আরো সংবাদ



premium cement
খালেদা জিয়ার সাথে মির্জা ফখরুলের ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত পাবনায় ১০ কোটি টাকার অনিয়মে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা আটক জীবন্ত মানুষকে গণকবর আগ্রাসন ও যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃষ্টির জন্য সারা দেশে ইসতিস্কার নামাজ আদায় আরো ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট তাপপ্রবাহ মে পর্যন্ত গড়াবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঢাকার ভূমিকা চায় যুক্তরাষ্ট্র বিদ্যুৎ গ্যাসের ছাড়পত্র ছাড়া নতুন শিল্পে ঋণ বিতরণ করা যাবে না মিয়ানমারে ফিরল সেনাসহ আশ্রিত ২৮৮ জন

সকল