আফগান মহাপরিষদ লয়া জিরগা রোববার ৪০০ তালেবান বন্দীকে মুক্তির যে অনুমোদন দিয়েছে, সেটাকে স্বাগত জানিয়েছে পাকিস্তান। ১৯ বছরের যুদ্ধ অবসানে আফগান সরকারের এ উদ্যোগ শান্তি আলোচনার যেকোনো বাধা অপসারণ, শান্তি প্রক্রিয়া শুরু এবং রক্তপাতের অবসান ঘটাবে বলে লয়া জিরগার প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আমরা আশা করি যে মার্কিন-তালেবান শান্তিচুক্তি অনুসারে বন্দীদের মুক্তি সম্পর্কিত এ পদক্ষেপ বাস্তবায়নের মাধ্যমে তালেবান-আফগান সরকারের আলোচনার কাজটি শিগগিরই শুরু হবে। আফগান নেতাদের ঐতিহাসিক সুযোগটি কাজে লাগানোর ব্যাপারে পাকিস্তান বারবার জোর দিয়েছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্যই অবশ্যই গঠনমূলকভাবে তালেবান-আফগান সরকারের আলোচনা হতে হবে। আফগানিস্তানের টেকসই উন্নয়ন, শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্যই আন্তঃআফগান আলোচনার সামনে এগিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন জোরদার করতে হবে।’
‘একটি আফগান নেতৃত্বাধীন এবং আফগান মালিকানাধীন শান্তি ও সমঝোতা প্রক্রিয়াকে বরাবরই সমর্থন করে আসছে পাকিস্তান। শান্তি আলোচনা প্রক্রিয়ায় পাকিস্তানের ইতিবাচক অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল, সংযুক্ত, গণতান্ত্রিক, সার্বভৌম ও সমৃদ্ধ আফগানিস্তানের জন্য, নিজের সাথে এবং প্রতিবেশীদের সাথে শান্তি বজায় রাখতে সমর্থনকে নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান।’
তালেবানের পক্ষ থেকে শান্তি আলোচনার শর্ত হিসেবে তাদের বন্দীদের মুক্তির ওপর জোর দেয়া হয়েছিল। এ ৪০০ জনের মুক্তির মধ্য দিয়ে তালেবানের দাবি অনুযায়ী তাদের পাঁচ হাজার বন্দীর সবাইকে মুক্তি দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
২৯ ফেব্রুয়ারি কাতারের দোহায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবান একটি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। এ চুক্তিতে আফগান সরকারকে তালেবানের হাতে আটক থাকা এক হাজার সরকারি সৈন্যের বিনিময়ে ৫ হাজার তালেবান বন্দীকে মুক্তি দেয়ার কথা বলা হয়েছিল। তবে আফগান সরকার হত্যা, অপহরণ ও মাদক চোরাচালানসহ গুরুতর অপরাধে জড়িত ৪০০ জন তালেবানকে মুক্তি দিতে অস্বীকৃতি জানালে এই আলোচনা ভেঙে যায়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা