২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পৃথিবীর উষ্ণতা সীমা ছাড়িয়ে যেতে পারে

জাতিসঙ্ঘের হুঁশিয়ারি
আকাশে মেঘ থাকলেও বৃষ্টি নেই। খরায় চৌচির আফ্রিকার একটি এলাকা : ইন্টারনেট -

আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা প্রাক-শিল্পায়ন যুগের চেয়েও ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি হওয়ার সম্ভাবনা ক্রমাগত বাড়ছে বলে জানিয়েছে জাতিসঙ্ঘের আবহাওয়া সংস্থা বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা বা ডব্লিউএমও। তাদের সাম্প্রতিক মূল্যায়নে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এক বা একাধিক মাসের গড় তাপমাত্রার নির্ধারিত সীমা ছাড়িয়ে যাবে এমন সম্ভাবনাও ৭০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে বিশ্বনেতারা চলতি শতকে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা যেন ১৮৫০ সালের চেয়ে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে না উঠে, সেজন্য চেষ্টা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। অথচ ২০২৪ সালের বছরখানেক আগেই তাপমাত্রা বৈশ্বিক এ লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করতে পারে এমন সম্ভাবনা এখন ২০ শতাংশে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা। বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনকে নিয়ন্ত্রণ করা যে কতটা কঠিন, নতুন এ মূল্যায়ন তাই দেখাচ্ছে। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) জন্য ব্রিটেনের আবহাওয়া দপ্তরের করা এ মূল্যায়নে গবেষকরা বলছেন, পৃথিবীর এখনকার গড় বার্ষিক তাপমাত্রাই ১৮৫০ সালের চেয়ে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। পরবর্তী পাঁচ বছর তাপমাত্রা এর আশপাশেই থাকবে বলেও অনুমান করছেন তারা। স্বল্পসময়ের জন্য বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা প্রাক-শিল্পায়ন যুগের চেয়ে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উপরে থাকবে, আগের বেশ কয়েকটি গবেষণায় এমন সম্ভাবনা ১০ শতাংশ বলা হলেও এখন তা দ্বিগুণ মনে হচ্ছে এবং সময়ের সাথে সাথে তা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের।
গড় তাপমাত্রা বাড়তে থাকায় বিশ্বের কিছু কিছু অঞ্চল অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় বেশি উষ্ণতার দেখা পাবে; সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ায় আসছে পাঁচ বছরে পশ্চিম ইউরোপে ঝড়ের সংখ্যাও বাড়বে বলে পূর্বাভাসে বলছেন তারা। মূল্যায়নে তাপমাত্রা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক বিভিন্ন চলকের পাশাপাশি মানুষের কারণে হওয়া কার্বন নিঃসরণের প্রভাবও বিবেচনা করা হয়েছে। তবে করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে চলতি বছর কার্বন নিঃসরণ কমার বিষয়টি ডব্লিউএমওর এ মডেলে স্থান পায়নি; ২০২০ সালের প্রথমভাগের এ অবস্থা বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রায় তেমন উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে না বলেই মনে করছে এ আবহাওয়া সংস্থা। ডব্লিউএমওর মহাপরিচালক অধ্যাপক পেটেরি টালাস বলেছেন, ‘কোভিড-১৯ এর কারণে অর্থনীতি ও শিল্পে দেখা দেয়া মন্দা যে টেকসই ও সমন্বিত জলবায়ু বিষয়ক কর্মকাণ্ডের বিকল্প নয়, ডব্লিউএমও তা ধারাবাহিকভাবে বলে আসছে। বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডের খুবই দীর্ঘ জীবনকালের কারণে চলতি বছর নিঃসরণ কমলেও তা বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডের ঘনত্ব কমাতে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যাচ্ছে না। বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডের ঘনত্বই বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করছে’ ।


আরো সংবাদ



premium cement
দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে ফ্রান্স, ব্রাজিল ও প্যারাগুয়ে সফরে যাচ্ছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ড সফরকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক বললেন প্রধানমন্ত্রী লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত এখনো শেষ হয়নি বিতর্কিত আউটের রেশ, ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ মুশফিকের ‘ফ্রি ভিসার গল্প’ আর শূন্য হাতে ফেরা লাখো শ্রমিক নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের আশুলিয়ায় বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার মিয়ানমারের কর্মকর্তারা ফেরত গেলেন, কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কট কি আরো জটিল হচ্ছে দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, চালক-হেলপার নিহত

সকল