তালেবানের সাথে আলোচনা স্থগিত যুক্তরাষ্ট্রের

তালেবানের সাথে আলোচনা সাময়িকভাবে স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আফগানিস্তানে মার্কিন বিমানঘাঁটিতে হামলার পর বৃহস্পতিবার তারা এ ঘোষণা দেয়। আফগানিস্তানবিষয়ক মার্কিন বিশেষ দূত জালমে খালিজাদ টুইটারে বলেন, ‘বাগরামে হামলার ঘটনায় আমি আজ তালেবানের সাথে সাক্ষাতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছি। নির্বিচার এই হামলায় দু’জন নিহত হয়েছেন। বহু আহত।’
হ্যাশট্যাগ তালেবান লিখে টুইটে তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তানে শান্তি কামনায় তালবানের অবশ্যই দেখানো উচিত যে, তাদের ইচ্ছা রয়েছে এবং তারা এ ব্যাপারে সাড়া দিতে সক্ষম।’ গত বুধবার ভোরে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানোর দায় স্বীকার করেছে তালেবান। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজধানী কাবুলের উত্তরে পারওয়ান প্রদেশে বাগরাম সামরিক ঘাঁটির কাছে একটি হাসপাতাল ভবনের বাইরে হামলা চালানো হয়। বিস্ফোরকভর্তি গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালান এক ব্যক্তি।
কাতারে তালেবানের সাথে পুনরায় আলোচনা শুরুর কিছু দিনের মধ্যে এই হামলা চালানো হলো। সহিংসতা হ্রাস বা যুদ্ধবিরতির মতো পর্যায়ে পৌঁছানোর উপায় খুঁজতে আলোচনাটি শুরু হয়েছিল। আফগানিস্তান থেকে পর্যায়ক্রমে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টিও ছিল আলোচনায়। এ ব্যাপারে সমঝোতা শুরু হয় এ বছরের শুরুতে। যদিও এক হামলায় একজন মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেপ্টেম্বরে আকস্মিকভাবে আলোচনা স্থগিতের ঘোষণা করেছিলেন। ওই সময় পক্ষগুলো একটি চুক্তিতে প্রায় পৌঁছতে যাচ্ছিল। তবে গত মাসে ট্রাম্প আবারো আলোচনা শুরু করতে বলেন। তিনি যুদ্ধবিরতির ওপর জোর দেন।
ট্রাম্প ২৮ নভেম্বর মার্কিন সেনাদের সাথে থ্যাংকস গিভিং উদযাপনে আকস্মিকভাবে বাগরাম সফর করেন। তিনি ওই সময় আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির সাথেও সাক্ষাৎ করেন।
সেপ্টেম্বরের চুক্তি অনুযায়ী, তালেবান নিরাপত্তাবিষয়ক সুনির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপ নিতে অঙ্গীকার করবে, আফগান সরকারের সাথে আলোচনায় বসবে এবং মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বিনিময়ে সহিংসতা কমানোর ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি পালন করবে।