২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

হংকংয়ে পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘর্ষে পেট্রল বোমা-জলকামান

হংকংয়ে পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করার পরে গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীরা আত্মরক্ষার চেষ্টা করছেন : এএফপি -

হংকংয়ের সরকারি দফতরগুলোর কাছে বিক্ষোভকারীদের পেট্রল বোমা ও ইট নিক্ষেপের জবাবে জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করেছে পুলিশ। গত রোববার পুলিশি অনুমতি ছাড়াই হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী মিছিল বের করে, পরে তারা পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
পার্লামেন্টে প্রস্তাবিত একটি বহিঃসমর্পণ বিলকে কেন্দ্র করে হংকংয়ে অস্থিরতা শুরু হয়েছিল। ওই বিলে বিচারের জন্য হংকংবাসীদের চীনের মূলভূখণ্ডে পাঠানোর সুযোগ রাখা হয়েছিল। এতে তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন হংকংয়ের সমালোচকেরা। প্রস্তাবিত এই বিলের প্রতিবাদেই জুনে হংকংজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। প্রতিবাদের মুখে বিলটি স্থগিত করা হলেও প্রতিবাদ অব্যাহত থাকে। পরে চলতি মাসের প্রথম দিকে বিলটি পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু এতেও প্রতিবাদকারীদের ক্ষোভ কমেনি। পূর্ণ গণতন্ত্রের দাবিতে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে তারা। পাশাপাশি পুলিশের নিষ্ঠুরতা ও অন্যান্য অভিযোগেরও তদন্ত দাবি করছে।
পুলিশ মিছিল করার অনুমতি না দিলেও কয়েক হাজার লোক জড়ো হয়ে ব্যবসায়িক কেন্দ্র কসওয়ে বে থেকে মিছিল নিয়ে বাণিজ্যিক এলাকা সেন্ট্রালের দিকে এগিয়ে যায়। দ্বিতীয় সপ্তাহের মতো কিছু বিক্ষোভকারী মার্কিন পতাকা নিয়ে হংকংকে ‘স্বাধীন’ করার জন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানায়। কয়েক শ’ বিক্ষোভকারী ব্রিটিশ কন্স্যুলেটের বাইরে জড়ো হয়ে ১৯৯৭ সালে হংকং হস্তান্তরের সময় দেয়া গণতান্ত্রিক স্বাধীনতার প্রতিশ্রুতি বজায় রাখতে চীনের ওপর চাপ প্রয়োগ করার জন্য যুক্তরাজ্যের প্রতি দাবি জানায়।
এসব সমাবেশ শেষ হওয়ার পর কট্টর প্রতিবাদকারীরা পার্লামেন্ট ও সরকারি দফতরগুলোর আশপাশে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়ায়। পুলিশের দিকে পেট্রল বোমা ও ইট ছুড়ে মারে তারা। কিছু প্রতিবাদকারী নগরীর কেন্দ্রীয় এলাকায় চীনা সামরিক ঘাঁটির কাছে পুলিশের দিকে ইট ছুড়তে থাকে। তারা গণচীনের আসন্ন ৭০তম বার্ষিকীকে স্বাগত জানিয়ে টাঙানো একটি ব্যানারও পুড়িয়ে দেয়।
এই মারমুখি প্রতিবাদকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে। একটি জলকামান থেকে নীল পানি ছিটানো হয়। এর আগে বিশ্বের কোথাও কোথাও পরে প্রতিবাদকারীদের শনাক্ত করার জন্য এ ধরনের ‘নীলপানি’ কৌশল ব্যবহার করা হয়েছিল। পেট্রল বোমা পড়ে একটি জলকামানে আগুন ধরে গিয়েছিল; কিন্তু অল্প সময় পরই তা নিভিয়ে ফেলা হয়। রাতেও শহরের কোথাও কোথাও ছোটখাটো কিছু সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এ সময় কালো পোশাক পরা সরকারবিরোধী প্রতিবাদকারীদের সাদা পোশাক পরা বেইজিংপন্থীদের সাথে সংঘর্ষে জড়াতে দেখা যায়। রাতের এসব সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ সময় কয়েকজন সাংবাদিকও হামলার শিকার হয়েছেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড ইন্দোনেশিয়ার নারী ক্রিকেটার রোহমালিয়ার ‘এখন আমি কী নিয়ে বাঁচব’ যদি বন্ধু হও, সীমান্তে অহরহ গুলি কেন : ভারতকে ফারুক সাহারা মরুভূমির গরমের মতো অনুভূত হচ্ছে : সরকারকে দায়ী করে রিজভী মধুখালীর পঞ্চপল্লীতে ২ ভাইকে হত্যার প্রতিবাদে সমাবেশ শ্রীলঙ্কাভিত্তিক এয়ারলাইন্স ফিটসএয়ারের ঢাকা-কলম্বো সরাসরি ফ্লাইট চালু রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসাথে কাজ করবে ঢাকা-ব্যাংকক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইলি হামলায় আহত শিশুর মুখে ২০০ সেলাই বিষখালীতে মৎস্য বিভাগের অভিযান : জেলে নিখোঁজ, আহত ২ দক্ষিণ এশিয়ার যে শহরগুলোর তাপমাত্রা এখন সর্বোচ্চ গাজীপুরে দাঁড়িয়ে থাকা কাভার্ডভ্যানে অটোরিকশার ধাক্কায় হতাহত ৫

সকল