০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`


জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে রোগীর উপচে পড়া ভিড়

জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে রোগীর উপচে পড়া ভিড় - ছবি : নয়া দিগন্ত

জামালপুরে তীব্র তাবপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া ও হিটস্ট্রোকসহ নানা রোগবালাই। প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ অধিক রোগী।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ৭০৭ জন এবং শনিবার (২০ এপ্রিল) ৬৬৯ জন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে ২৫০ শয্যার জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শনিবার পর্যন্ত কাগজে কলমে দুই হাজারের অধিক রোগী ভর্তি রয়েছে।

সূত্র জানায়, গত ১৮ এপ্রিল ৬৭৮ জন, ১৯ এপ্রিল ৬৭৯ জন ও ২০ এপ্রিল ৭০৭ জন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। যা শয্যার বিপরীতে ভর্তির সংখ্যা চারগুণের বেশি। ২৫৯ শয্যার এই হাসপাতালে মেডিসিন, ডায়রিয়া, গাইনি ও শিশু ওয়ার্ডসহ ১২টি ওয়ার্ড রয়েছে। প্রতি ওয়ার্ডে শয্যার সংখ্যা ২৪টি। এই ১২টি ওয়ার্ডের ২৫০ শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি রয়েছে তিন সহস্রাধিক।

হাসপাতালের তথ্যানুযায়ী গত ছয় দিনে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে তিন হাজার ১৪৫ জন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জেলার প্রায় ২৬ লাখ মানুষের চিকিৎসার প্রধান ভরসা জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল। কিন্তু শয্যাসহ নানা সমস্যায় কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্য সেব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে যমুনা-ব্রহ্মপুত্র নদ-নদী বিধৌত জামালপুর জেলার মানুষ।

শনিবার দুপুরে সরেজমিনে জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের ওয়ার্ডে মেজে, বারান্দার মেজেসহ যেখানে সেখানে বিছানা পেতে পড়ে আছেন শত শত রোগী। দেখে মনে হয় এটা কোনো হাসপাতাল নয়। যেন কোনো এক রেলস্টেশনের প্লাটফর্ম। মন হয় ছিন্নমূল মানুষরা যে যেখানে পারেন শুয়ে বসে রাত কাটাচ্ছেন।

মেলান্দহ উপজেলার দুরমুঠ ইউনিয়নের আশরাফুল ইসলাম নামে এক রোগীর স্বজন জানান, পাঁচ দিন ধরে তার বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। এই কয় দিন বারান্দার গলিতে ছিল। পাঁচ দিন পর ওয়ার্ডে ভেতরে জায়গা পেয়েছি। তাও আবার মেজেতে। তিনি বলেন বারান্দা বা ওয়ার্ডের মেজে পা ফেলার স্থানও নেই।

সদর উপজেলার কালিবাড়ি এলাকার শফিকুল আলম বলেন, আমার ভাইকে তিন দিন ধরে ভর্তি করেছি। সিট পাবো বলে মনে হয় না। যারা কয়েক দিন আগে ভর্তি হয়েছেন তারাই ওয়ার্ডে জায়গা পায় নাই। তিনি আরো বলেন, অসুস্থ রোগীরা বারান্দা ও ওয়ার্ডের ফ্লোরে গাদাগাদি করে পড়ে থেকে প্রচণ্ড গরমে আরো অসুস্থ হচ্ছেন।

বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা আব্দুল মজিদ বলেন, ‘উপজেলা হাসপাতালগুলোতে কোনো চিকিৎসক হয় না। একটা কিছু হলেই রেফাড করেন। তাই জেলা হাসপাতালে মানুষের উপচে পড়া ভিড় হয়। তিনি বলেন, জেলার ২৬ লাখ মানুষের শেষ ভরসা জামালপুরের এই জেনারেল হাসপাতালে নাকি মাত্র ২৫০ সিট। এতো মানুষের জন্য মাত্র এই কয়ডা সিট! তাইলে মাটি থাকপনা কই থাকপ।’

জামালপুর পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি মানবাধিকার কর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, জেলার লোক সংখ্যানুযায়ী হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি জরুরি হয়ে পড়েছে।

হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাফুজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তীব্র দাবদাহের কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। হাসপাতালে রোগীর ভিড় বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা সেবা প্রদানে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।


আরো সংবাদ



premium cement
গফরগাঁওয়ে লরিচাকায় পিষ্ট হয়ে নারী নিহত রোহিঙ্গা গণহত্যা : মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলার দ্রুত নিরসনে আশাবাদী বাংলাদেশ-গাম্বিয়া দোয়ারাবাজারে মইন হত্যাকারীদের গ্রেফতার দাবিতে বিক্ষোভ সাংবাদিকদের সুরক্ষায় প্রতিটি দেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান জলবায়ু সঙ্কট মোকাবেলায় অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন জোরদারের আহ্বান এডিবি প্রেসিডেন্টের কেজরিওয়ালের জামিনের সম্ভাবনায় আশা দেখছে বিরোধী জোট ব্যাটে-বলে দারুণ নৈপুণ্যে সহজ জয় বাংলাদেশের কারামুক্ত মামুনুল হকের মামলা সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে চাকরি জাতীয়করণসহ ২ দাবি গ্রাম পুলিশের টেকনাফে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমাবেশ লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ আবারো বৃষ্টিতে বন্ধ খেলা

সকল