৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মালয়েশিয়ার প্রবাসীর লাশ নিতে চায় না পরিবার!

-

মালয়েশিয়ায় গিয়ে হার্ট অ্যাটাকে প্রাণ হারান বাংলাদেশী রেমিট্যান্সযোদ্ধা মো: আবদুস সোবহান (৪৯)। গত ১৭ মার্চ হসপিটালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে মৃত সোবহানের পরিবারের সাথে দফায় দফায় যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া মিলছে না। এ ঘটনায় মালয়েশিয়া বাংলাদেশ কমিউনিটিতে তুমুল সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই কমেন্ট করছেন টাকার মেশিন এখন অচল! তাই এই অচল পরিবারের প্রয়োজন নেই।
জানা গেছে, মালয়েশিয়ার পেরাক রাজ্যের ইপোহ শহরের রাজা মনজিৎ সিং ইপোহ হাসপাতাল মর্গে প্রায় দুই মাস ধরে পড়ে আছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ হাইকমিশনকে জানালে হাসপাতালে গিয়ে খোঁজ নেয় বাংলাদেশ হাইকমিশন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাতে লেখা একটি পাসপোর্ট ছাড়া নিহতের পরিচিত কোনো তথ্য দিতে পারেনি। পাসপোর্ট অনুযায়ী, ওই বাংলাদেশীর নাম মো: আবদুস সোবহান (৪৯)। তিনি কুমিল্লা জেলার নুরের জামানের ছেলে।
হাইকমিশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, স্ট্রোকজনিত কারণে মো: আবদুস সোবহানকে অপরিচিত এক ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন। মৃতের হাতে লেখা পাসপোর্টে বিস্তারিত তথ্য না থাকায় এবং তার পরিবার ও স্বজনদের খুঁজে না পাওয়ায় লাশ দেশে পাঠানো যাচ্ছে না।
প্রবাসী ওই বাংলাদেশীর বিস্তারিত পরিচয় নিশ্চিতে চেষ্টা চালায় বাংলাদেশ হাইকমিশন। লাশ শনাক্তে স্বজন বা অন্য পরিচিতজনদের হাইকমিশনে যোগাযোগ করতেও বলা হয়। এ বিষয়ে গত সোমবার হাইকমিশনের প্রথম সচিব (শ্রম) সুমন চন্দ্র দাস বলেন, আব্দুস সোবহানের পারিবারের খোঁজ পাওয়া গেছে। কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলায় তার বাড়ি। কিন্তু পরিবার আব্দুস সোবহানের লাশ দেশে নিতে চাচ্ছে না। হাইকমিশন থেকে বারবার তার মেয়ের সাথে যোগাযোগ করার পরও কোনো উওর মিলছে না, এটা খুব দু:খজনক। তাদের ফোন দেয়া হলেও এখন ফোন রিসিভ করছে না। কারো পরিবার যদি লাশ দেশে দাফন করতে চান সেক্ষেত্রে অফিসিয়ালি আবেদন করলে হাই কমিশন সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও গুরুত্ব দিয়ে লাশ দেশে প্রেরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে। অন্যথায় মালয়েশিয়ার বিদ্যমান আইন ও বিধি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ লাশ স্থানীয়ভাবে দাফনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
সুমন চন্দ্র দাসের কাছ থেকে তার পরিবারের ০১৯৫০৯৩১৫১৩ নাম্বার নিয়ে ফোন করলে প্রথমে ফোন রিসিভ করলে জানতে চাইলে তখনই ভুল নাম্বার বলে লাইন কেটে দেয়া হয়। এরপর বারবার ফোন করলেও অপর প্রান্ত থেকে আর কেউ ফোন রিসিভ করেনি।


আরো সংবাদ



premium cement