৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ঈদে সড়কে মৃত্যুর মিছিল

প্রধান কারণ বেপরোয়া মোটরসাইকেল
-

ঈদের ছুটিতে সড়কে বেপরোয়া ছিল যানবাহন। বাসের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে সড়কে ছুটে চলেছে মোটরসাইকেল। ঈদে প্রতিবারই সড়ক দুর্ঘটনার পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। এবারো এর ব্যতিক্রম হয়নি। ঈদের দিনসহ গত কয়েক দিনে সড়কে প্রাণহানির পরিমাণ অর্ধশত ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় ৫০০ জন।
এবারে সড়কে বেশির ভাগই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। ফাঁকা রাস্তা পেয়ে উঠতি বয়সী তরুণ এবং যুবকরা ঈদের ছুটিতে বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোর কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষজ্ঞরা।
পুলিশ বলছে, ঈদের ছুটিতে মোটরসাইকেলে ঘোরাঘুরির প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়ে যায়। ঈদের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার, তৃতীয় দিন শনিবার ও রোববারও সারা দেশে বেশ কয়েকটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা।
এসব দুর্ঘটনায় শুধু নিহতই নয়, আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করার সংখ্যাটিও বেশ উদ্বেগজনক। ১৩ এপ্রিল শনিবার দুপুর পর্যন্ত মোট তিন দিনে শুধু জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানেই (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসা নিয়েছেন মোট ৪৫৪ জন। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার সংখ্যাও অনেক। এদের মধ্যে বেশির ভাগই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত তরুণ-যুবক।
জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের আবাসিক চিকিৎসক তপন দেবনাথ গণমাধ্যমকে বলেন, সাধারণত ঈদ ও ঈদপরবর্তী সময়ে এই হাসপাতালে রোগীর চাপ বেশি থাকে। এখন পর্যন্ত হাসপাতালে আসা রোগীদের বেশির ভাগই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত। জরুরি ওয়ার্ডে জায়গা না হওয়ায় অনেককে বারান্দায় চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।

পঙ্গু হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, ঈদের দিন জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে এসেছেন ২৫৬ জন। যাদের মধ্যে ৭৬ জন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। আর শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অন্তত ১৪০ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে ৫০ জন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত। বেশির ভাগই ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগী জানান, ঈদের দিন বৃহস্পতিবার মোটরসাইকেল থেকে পড়ে তার হাত ভেঙে যায়। মাথায়ও আঘাত পেয়েছেন। এভাবে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে এই হাসপাতালে যারা চিকিৎসা নিতে এসেছেন, তাদের অধিকাংশই গুরুতর আহত। অর্থাৎ তাদের বেশিরভাগই পঙ্গুত্ব বরণ করতে হচ্ছে।
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বেশির ভাগই তরুণ জানিয়ে পঙ্গু হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলেন, এদের বয়স ১৮ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হলে আজীবন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যেমন দুই তরুণ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে এসেছে। তাদের পা কেটে ফেলতে হচ্ছে আমাদের। গুরুতর আহত হয়ে আরো অনেকে ভর্তি হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement