কেরোসিন, ডিজেল, পেট্রল, অকটেন ও সারের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণফোরাম আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, এই সরকারকে ভূতে ধরেছে। অতীতে জনগণের পেটে লাথি মারার জবাব আইয়ুব খান পেয়েছে, ইয়াহিয়া খান পেয়েছে, এরশাদ পেয়েছে, তোমাদেরও পাওয়ার সময় হয়ে গেছে। গতকাল সকালে গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টুর সভাপতিত্বে সমাবেশে একাত্মতা প্রকাশ করে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ জাসদ ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টির নেতৃবৃন্দ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, খান সিদ্দিকুর রহমান, আইয়ুব খান ফারুক, লতিফুল বারী হামিম, আব্দুল হামিদ মিয়া, হাবিবুর রহমান বুলু, মো: তাজুল ইসলাম, মো: সানজিদ রহমান শুভ, বাংলাদেশ পিপলস পার্টির বাবুল সর্দার চাখারী, আবদুল কাদের, রানী শেখ, জসিম উদ্দিন, আতিকুর রহমান আতিক, বাংলাদেশ জাসদের নাজমুল হক প্রধান, আনিসুজ্জামানসহ গণফোরাম, বাংলাদেশ পিপলস পার্টি ও বাংলাদেশ জাসদের নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গণফোরামের মুহাম্মদ রওশন ইয়াজদানী। সমাবেশ শেষে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলে নেতাকর্মীরা সরকারের দুঃশাসন, জনগণের পয়সা লুটপাট ও জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে মিছিলে স্লোগান দেয়।
মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, জ্বালানি তেল ও সারের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির ফলে মানুষ আজ বাঁচবে কি বাঁচবে না সেই প্রশ্ন উঠেছে! মানুষ এত ব্যয় বহন করে কিভাবে বাঁচবে? আজকে লোডশেডিং হচ্ছে, শুধু কুইক রেন্টালের নামে ৭০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়া হয়েছে জনগণের টাকা লুট করে। অথচ এই টাকা দিয়ে ৬-৭টি এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র তৈরি করতে পারতাম। বিশ্ববাজারে যখন তেলের দাম কমে তখন জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে দেশের বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে। বিদায়ের আগে শেষবারের মতো লুটপাট চালাচ্ছে মহা লুটপাটের সরকার। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নামার আহ্বান জানান তিনি।
সুব্রত চৌধুরী বলেন, এই সরকার বয়রা সরকার। তারা জনগণের কথা শোনে না। ১৪ বছর ধরে জনগণের বিপক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। জনভোগান্তির উন্নয়ন করেছে। বিনিময়ে আমাদের ব্যাংকগুলো খালি ও জনগণের পকেট কেটেছেন। তারা দ্রুত ক্ষমতা না ছাড়লে ১৮ কোটি মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিদায়ঘণ্টা বাজাবে।
বাংলাদেশ পিপলস পার্টির বাবুল সর্দার চাখারী বলেন, এক রাতের মধ্যে কিভাবে প্রায় শতাংশ জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করেন? মানুষ কিভাবে চলবে? মুক্তিযুদ্ধের সরকার বলে জনগণের চোখে ধুলো দিচ্ছেন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা দিচ্ছেন আর অনেক সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে না খেয়ে মরছেন এটা দুঃখজনক।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা