জালিয়াতির মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিআরটিএর সহকারী পরিচালক আলী আহসান মিলনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ডিএমপির শ্যামপুর থানার অফিসার ইনচার্জকে ওয়ারেন্ট তামিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রাজধানীর জুরাইন এলাকার বাসিন্দা প্রবাসী খালেদ ইবনে এরশাদের জমি জাল জালিয়াতির মাধ্যমে দখলে নেন আলী আহসান মিলন। এ ঘটনায় খালেদ ইবনে এরশাদ গত ১৮ অক্টেবর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ঢাকার অধীনে একটি সিআর মামলা দায়ের করলে আদালত এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার বাদি খালেদ ইবনে এরশাদ বলেন, আমি ছোট বেলা থেকেই দেশের বাইরে ছিলাম। ২০২০ সালে দেশে এসে আমার জায়গা জমি বুঝে নেয়ার চেষ্টা করি। এ সময় জানতে পারি আমার জুরাইন কমিশনার রোডের চেয়ারম্যান বাড়ি মোড়ের জমি দখলে আছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিআরটিএর সহকারী পরিচালক আলী আহসান মিলন। তার কাছে জমি দখলের কারণ জানতে চাইলে তিনি ২০০৫ সালে এই জমি কিনে নিয়েছেন বলে দাবি করেন!
খালেদ আরো বলেন, ২০০৪ সালে আমার মা লন্ডনে আমার কাছে ছিলেন এবং সেখানেই তিনি মারা যান। আলী আহসান মিলন যেদিন জমি রেজিস্ট্রেশনের তারিখ দেখিয়েছেন, সেই দিন আমার মা লন্ডনের এক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি ছিলেন। ওই দলিলে আমার মায়ের স্বাক্ষর কিভাবে এলো? এই দলিলটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন ও জাল জালিয়াতিমূলক। এ কারণে আমি আদালতের কাছে সুবিচার প্রার্থনা করেছি।
শ্যামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মফিজুল আলম বলেন, ওয়ারেন্টের কপি হাতে পেলে আদালতের নির্দেশ তামিল করা হবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।