০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


এবার ভারত থেকে ফেরা বাংলাদেশীদেরও করোনা সনদ লাগবে

-

সংক্রমণ প্রতিরোধের দ্বিতীয় ধাপে এবার ভারত থেকে ফেরত বাংলাদেশীদেরও করোনা নেগেটিভ সনদ লাগবে। এ ধরনের নির্দেশনা দিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ ধরনের একটি নির্দেশনা গত বুধবার বিকেলে বেনাপোল ইমিগ্রেশন এসেছে। এ নির্দেশনা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কার্যকর হবে বলে ইমিগ্রেশন সূত্র জানিয়েছেন। এ সিদ্ধান্ত স্থলপথের পাশাপাশি রেল ও বিমান পথেও কার্যকর হচ্ছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার সুজন সেন বলেন, সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রথম ধাপে বাংলাদেশীদের ভারতে ভ্রমণ এবং ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণে করোনা নেগেটিভ সনদ প্রয়োজন ছিল।
দ্বিতীয় ধাপে সংক্রমণ প্রতিরোধে এবার বাংলাদেশী পাসপোর্টধারী যাত্রীদের ভারত থেকে ফেরার সময় করোনার নেগেটিভ সনদ লাগবে। ভারতীয় নাগরিকদের কেউ বাংলাদেশ থেকে ফিরে যেতে হলে তাকেও করোনা নেগেটিভ সনদ গ্রহণ করতে হবে। তবে ভারতীয় নাগরিকদের আসা-যাওয়ার সময় করোনা নেগেটিভ সনদ গ্রহণের কার্যক্রম শুরু করছেন বেনাপোল ইমিগ্রেশন । এক সপ্তাহের মধ্যে ভারত থেকে ফিরে আসা বাংলাদেশীদের কাছ থেকেও নেগেটিভ সনদ গ্রহণ করা হবে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহসান হাবিব জানান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি নির্দেশনা পেয়েছি।
এখন থেকে বাংলাদেশীরা ভারত থেকে ফিরে আসার সময় ও ভারতীয়রা বাংলাদেশ থেকে ফিরে যাওয়ার সময় সব যাত্রীর কাছ থেকে করোনার নেগেটিভ সনদ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। বর্তমানে আগের নিয়মে কার্যক্রম চলছে, তবে খুব শিগগিরই মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পালন করা হবে। ভারত থেকে ফিরে আসা যাত্রীরা জানান, ভারত ভ্রমণের আগে বাংলাদেশ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনার নেগেটিভ সনদ গ্রহণ করতে অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। অনেকে সময় মতো করোনার সনদ না পাওয়ায় চিকিৎসা করতে যাওয়া অনেক রোগী সময় মতো যেতে পারছে না ভারতে। এখন যদি আবার ভারত থেকে ফেরার সময় ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনা নেগেটিভ সনদ গ্রহণ করতে হয় তাহলে আর ভোগান্তির শেষ থাকবে না। বেশি দুর্ভোগের শিকার হবেন ভারতে চিকিৎসা করতে যাওয়া রোগীরা। দুর্ভোগ কমাতে সরকারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।
বেনাপোল থেকে কলকাতার দূরত্ব ৮৪ কিলোমিটার। যোগাযোগব্যবস্থা ভালো এবং সময় কম লাগায় চিকিৎসা ব্যবসা ও ভ্রমণে এ পথে বেশির ভাগ বাংলাদেশী যাত্রীরা ভারতে যায়। বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে প্রতি বছর প্রায় ৩০ লাখ দেশী-বিদেশী যাত্রী যাতায়াত করে থাকেন। প্রতি বছর এসব যাত্রীর কাছ থেকে ভ্রমণ কর বাবদ প্রায় ১০০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়ে থাকে সরকারের।
গত ১৩ মার্চ ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায় দু’দেশের মধ্যে পাসপোর্ট যাত্রীদের চলাচল বন্ধ হয়ে যায় । এ সময় ভারতে কয়েক হাজার বাংলাদেশী আটকা পড়ে যায় একইভাবে বাংলাদেশেও বেশ কিছু ভারতীয় নাগরিক আটকা পড়েন। পাঁচ মাস পর বাংলাদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফিরে যাওয়ার অনুমোদন হয়। মেডিক্যাল আর বিজনেস ভিসায় যাত্রী চলাচলের সুযোগ করে দেয় ভারত সরকার।


আরো সংবাদ



premium cement
গ্রিড লাইনের ত্রুটিতে সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ভুক্তভোগী নারী ও তার পাশে দাঁড়ানো ব্যক্তিদের হয়রানির প্রতিবাদ বাড্ডায় নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার কথিত স্বামী পলাতক গ্রেফতারকৃতদের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করবে খতমে নবুওয়ত ঝিনাইদহ-১ আসনে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নায়েব আলী জাতীয় গ্রিডে ত্রু‌টি, সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাবিতে নিয়মিত ২০ আসন বরাদ্দ রেকর্ড গড়ে সাদিক খান আবারো লন্ডনের মেয়র আগামী ২ মাসের মধ্যে ভাঙ্গা-খুলনা-যশোর পর্যন্ত ট্রেন চালু হবে : জিল্লুল হাকিম ফতুল্লায় ব্যবসায়ী অপহরণ, গ্রেফতার ৭ তাপদাহের কারণে গোসল করতে গিয়ে কলেজছাত্রের মৃত্যু

সকল