চিকিৎসকদের আন্দোলনের হুমকির পর ডা: মামুনের জামিন
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৪ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০
চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে আন্দোলনের হুমকির দেয়ার পরপরই জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের রেজিস্ট্রার ডা: আব্দুল্লাহ আল মামুন জামিন পেয়েছেন। সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুল করিম শিপন হত্যা মামলায় ডা: আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেফতার করা হয়। বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডা: মামুনকে মুক্তি দেয়া না হলে আন্দোলনের হুমকি দেয় রোববার। পরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডল ডা: মামুনের জামিন মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, গত ১৭ নভেম্বর ডা: মামুনকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত। রিমান্ড শেষে গত ২০ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারে থাকা অবস্থায় তার পক্ষে আইনজীবী জামিন আবেদন করেছিলেন। ডা: আব্দুল্লাহ আল মামুনের মুক্তি চেয়ে বিএমএর সভাপতি ডা: মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে জরুরি সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয় এবং পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডা: আব্দুল্লাহ আল মামুনকে মুক্তি না দিলে পরদিন থেকে বিএমএ সারাদেশে তীব্র আন্দেলন গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়ে বিবৃতি দেয়। সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুল করিম শিপনের মৃত্যুর পর তার বাবা বাদি হয়ে রাজধানীর আদাবর থানায় হত্যা মামলা দায়েরের পরিপ্রেক্ষিতে ডা: মামুনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
পারিবারিক ঝামেলার কারণে আনিসুল করিম বেশ কিছুদিন থেকে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। ৯ নভেম্বর দুপুর পৌনে ১২টার দিকে আনিসুলকে মাইন্ড এইড হাসপাতালে ভর্তির কিছুক্ষণ পরই কর্মচারীদের ধাস্তাধস্তি ও মারধরে তার মৃত্যু হয় বলে স্বজনরা অভিযোগ করেন। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করায় কর্মচারীরা তাকে শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু ঘটনার সময় হাসপাতালের অ্যাগ্রেসিভ ম্যানেজমেন্ট রুমে তাকে মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, হাসপাতালে ঢোকার পরই আনিসুল করিমকে ৬ থেকে ৭ জন টেনে-হিঁচড়ে একটি কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে তাকে মাটিতে ফেলে চেপে ধরে একজন কনুই দিয়ে আঘাত করতে থাকেন। হাসাপাতালের ব্যবস্থাপক আরিফ মাহমুদ তখন তাদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় একটি কাপড়ের টুকরা দিয়ে আনিসুল করিমের হাত পেছনে বাঁধা হয়। চার মিনিট পর তাকে যখন উপুড় করা হয়, তখনই ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। এ ঘটনায় সেই দিন রাতেই ছয়জনকে আটক করে পুলিশ। পরে আরো একজনকে আটক করা হয়।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের ৩৩ ব্যাচের ছাত্র আনিসুল করিম ৩১ বিসিএসে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান। এক সন্তানের জনক আনিসুলের বাড়ি গাজীপুরে। সর্বশেষ তিনি বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সহকারী কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা