২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পেপায়া ক্যাপসুল ক্যান্সার, ডেঙ্গু রোগীদের প্লাটিলেট বৃদ্ধি করে

-

পেপায়া ক্যাপসুল ক্যান্সার, ডেঙ্গু রোগীদের প্লাটিলেট বৃদ্ধি করে। ক্যান্সার আক্রান্ত যেসব রোগী কেমোথেরাপি নিয়ে থাকেন তাদের শরীরে খুব দ্রুত প্লাটিলেট কমে যায় এবং ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীদেরও একই রকম প্লাটিলেট কমে যায় দ্রুততার সাথে। ইবনে সিনার ন্যাচারাল মেডিসিন (হারবাল) বিভাগের উৎপাদিত পেঁপে পাতার নির্যাস থেকে তৈরি পেপায়া ক্যাপসুল দেয়া হলে রোগীর দেহে খুব দ্রুত প্লাটিলেট তৈরি হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, পেঁপে পাতা থেকে তৈরি এই ক্যাপসুলের কারণে রোগীর দেহে পাঁচ দিনের মধ্যেই প্লাটিলেটের পরিমাণ স্বাভাবিক হয়ে আসে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিউটিক্যাল কেমেস্ট্রি বিভাগ, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) বা সায়েন্স ল্যাব এবং সিলেটের নর্থ ইস্ট মেডিক্যাল কলেজে এ গবেষণাটি করা হয়।
ক্যান্সার আক্রান্ত কেমোথেরাপি নেয়া ২৮ থেকে ৮০ বছরের ৬০ জন পুরুষ-মহিলা রোগীর (৩০ জন স্টাডি ও ৩০ জন প্লাসিবো কনট্রোল) উপর চালানো গবেষণায় দেখা গেছে, পাঁচ দিনের মধ্যে ৮২.১৪ শতাংশ রোগীর প্লাটিলেট কাউন্ট স্বাভাবিক হয়ে গেছে। এই রোগীদের গড় প্লাটিলেট কাউন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে ৭০.৪৬ শতাংশ। গবেষণায় দেখা গেছে, চিকিৎসাসংক্রান্ত কোনো প্রতিকূল প্রতিক্রিয়া কারো মধ্যে ছিল না। কেমোথেরাপি নেয়া রোগীদের প্লাটিলেট বৃদ্ধিতে পেপায়া ক্যাপসুল অধিতর নিরাপদ ও কার্যকর বলে গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে।
মাল্টিসেন্ট্রিক, ডাবল ব্লাইন্ড, প্লাসিবো কনট্রোলড, রেন্ডোমাইজড, প্রসপেক্টিভ পদ্ধতিতে ৩০০ ডেঙ্গু রোগীর উপর পেপায়া ক্যাপসুল প্রয়োগে আরেকটি গবেষণা করা হয়। এই ৩০০ জনের মধ্যে দেড় শ’ জন ছিলেন প্লাসিবো কনট্রোল্ড। অবশিষ্ট দেড় শ’ জনকে স্টাডির আওতায় রাখা হয়। তারা সবাই ছিলেন ১৮ থেকে ৬৫ বছরের পুরুষ ও মহিলা। দেখা গেছে, পেপায়া ক্যাপসুল দেয়া হয়েছে এমন ৯৮ শতাংশ রোগীদের প্লাটিলেট কাউন্ট পাঁচ দিনের মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে আসে। পাঁচ দিনের মধ্যে প্লাটিলেট ৫২ হাজার ৫৪৩ থেকে এক লাখ ৫৫ হাজার ৮৮৬ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
পেপায়া ক্যাপসুল প্রয়োগে রোগীর ডব্লিউবিসি (হোয়াইট ব্লাড কাউন্ট) ৮৪ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।
কিভাবে পেঁপে পাতা থেকে ওষুধ তৈরি করা হয়? এ প্রশ্নের জবাবে ইবনে সিনার সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মো: নুরউল্যাহ নয়া দিগন্ত জানিয়েছেন, প্রথমে সতেজ পেঁপে পাতা ধুয়ে পরিষ্কার করে নেয়া হয়। এরপর মেশিনে ব্লেন্ডিং করে এর উপাদান সংবলিত নির্যাসটুকু নেয়া হয়। এই নির্যাসকে শুকিয়ে গ্র্যানুলেশন করে ক্যাপসুলে রূপ দেয়া হয়। তিনি বলেন, শুধু পেঁপে পাতার রস পান করলে একই রেজাল্ট পাওয়া যায় না। আমরা মেশিনের মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক উপায়ে নির্যাসটুকু সংগ্রহ করি। এটাকে বলা হয় নন থার্মাল অ্যাক্সট্রাকশন পদ্ধতি। এভাবে পাতার উপাদানের প্রাকৃতিক গুণাগুণ অক্ষুণœ থাকে।
মো: নুরউল্যাহ জানান, নন থার্মাল অ্যাক্সট্রাকশন পদ্ধতিতে ওষুধ উৎপাদন করা হলে এটা হজমে সহায়তা করে। পাকস্থলী ও কোলনের জ্বলা-পোড়া বন্ধ করে, পেপায়া ক্যাপসুলের আঁশ (ফাইবার) কোষ্ঠ্য কাঠিন্য প্রতিরোধ করে এবং কোলন পরিষ্কার রাখে। এই ওষুধ যকৃতের ক্লিনজিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। এ কারণে সিরোসিস ও জন্ডিস রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং এই ওষুধটি ক্ষুধামন্দা দূর করে। মো: নুরউল্যাহ বলেন, পেঁপে পাতায় রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ। এতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকায় ত্বককে উজ্জ্বল করে ও ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এমনকি এ পাতা ঋতুস্রাবের ব্যথাও কমিয়ে দেয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement
চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রির কাছে আচরণবিধি লঙ্ঘন ও উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদানে অধ্যক্ষ এবং চেয়ারম্যান গ্রেফতার আবারো পিএমএল-এনের সভাপতি হচ্ছেন নওয়াজ শরিফ বিষখালী নদী থেকে ২২ ঘণ্টা পর নিখোঁজ জেলের লাশ উদ্ধার ৩ জেলায় বয়ে যাচ্ছে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ ছত্তিশগড়ে ২৯ জন মাওবাদী নিহত হওয়ার পর এলাকায় যে ভয়ের পরিবেশ নেতানিয়াহুকে গাজার কসাই বললেন এরদোগান রাশিয়া ইউক্রেনের ৬৮টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে গুচ্ছ পরীক্ষা দিতে এসে জবি কেন্দ্রে অসুস্থ এক শিক্ষার্থী থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান কক্সবাজার সৈকতে নেমে হৃদরোগে পর্যটকের মৃত্যু

সকল