জমি দখলের চেষ্টা ও চাঁদা দাবির অভিযোগে আশুলিয়া থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও স্বনির্ভর ধামসোনা ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মঈনুল ইসলাম ভুইয়াকে (৩২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত সোমবার রাত ১১টায় আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল সড়কের আশুলিয়ার বাইপাইল বসুন্ধরা হাউজিংয়ের বিপরীতে একটি মার্কেট থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মইনুল ইসলাম আশুলিয়ার গাজিরচট আলিয়া মাদরাসাসংলগ্ন এলাকার মৃত মমতাজ উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে। সে স্বনির্ভর ধামসোনা ইউপির পরপর দু’বার নির্বাচিত ইউপি সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। সে এর আগে আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ছিল। বর্তমানে সে থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।
এ ব্যাপারে বাদি মাকসুদা বেগম (৩৮) তার লিখিত অভিযোগে বলেন, বাইপাইল মৌজাস্থিত সিএস ও এসএ খতিয়ান ৯৫, আরএস খতিয়ান ৮৩২ ও ২২০। সিএস ও এসএ দাগ ৩২৩, আরএস ২২০ দাগের ১২০ শতাংশ জমি পৈতৃক ও ওয়ারিশ সূত্রে আমমোক্তার দলিল মূলে মালিক হয়ে ওই জমির কিছু অংশে মার্কেট নির্মাণ করি এবং বাকি অংশ পতিত রয়েছে। বিবাদি মইনুল ইসলাম ও তার কতিপয় সহযোগী তার কাছে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি চাঁদার টাকা না দিলে আমাকে মার্কেট থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দেয়। গত সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় আমার মার্কেটের সিকিউরিটি গার্ডরা ডিউটিরত থাকাকালে মইনুল ইসলামের নেতৃত্বে কতিপয় অজ্ঞাত ব্যক্তি তার সিকিউরিটি গার্ডদের এলোপাতাড়ি মারধর করে মার্কেট থেকে বের করে দেয়। আমাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়।
গ্রেফতারকৃত যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মইনুল ইসলামের পরিবার ও দলীয় সূত্র জানায়, যুবলীগের আসন্ন কাউন্সিলকে সামনে রেখে তাকে দল থেকে দূরে সরিয়ে রাখার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইউপি সদস্য মইনুলের জনপ্রিয়তায় চির ধরানোর উদ্দেশ্যে এবং পারিবারিক ঐতিহ্য ক্ষুণেœর জন্য এবং যুবলীগের থানা কমিটি থেকে দূরে সরানোর জন্য তার এ গ্রেফতারের উদ্দেশ্য বলেও জানান তারা।
আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ রিজাউল হক দিপু বলেন, মাকসুদা বেগম নামে এক নারী বাইপাইল এলাকায় তার মার্কেটের জমি দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগ করেন ইউপি সদস্য মঈনুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই রাতে তাকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা