ঈদুল ফেতরের চাঁদ দেখা নিয়ে সংসদে বিরোধী দলীয় সদস্যদের সমালোচনার জবাবে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন বলেছেন, চাঁদ দেখার ঘোষণা ফেকাহ ও ইসলামের মাসালা-মাসায়েল অনুযায়ীই হয়েছে। এখানে অপরাধের কী আছে?
সংসদে গতকাল বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে এই সংসদ সদস্য চাঁদ দেখার ঘোষণা নিয়ে সমালোচনার জবাব দেন। এ সময় ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া বৈঠকে সভাপতিত্ব করছিলেন।
আবু রেজা নদবী বলেন, হাদিসে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে রোজা রাখতে বলা হয়েছে, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে রোজা ভাঙতে বলেছে। ওই দিন আমিও গ্রামের বাড়িতে ছিলাম। সে সময় সচিব (ধর্ম মন্ত্রণালয়), ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালকবৃন্দ, হাটহাজারী মাদরাসার আলেম-মুফতি, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর ও মাদারীপুরের আলেমদের সাথে আমার যোগাযোগ হয়েছে। ফেকাহর মাসালা-মাসায়েল মোতাবেক প্রথমে যে চাঁদ দেখা যায়নি সেটা ঘোষণা করা হয়েছে। দ্বিতীয়বার যে চাঁদ দেখা গেছে এবং শরিয়তের মাসালা মোতাবেক যতটুকু দরকার ততটুকু পাওয়া গেছে। সে কারণে চাঁদ দেখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এখানে অপরাধের কী আছে?
যারা তারাবি পড়েছেন তারা তো অপরাধ করেননি। তাদের তারাবিগুলো নফল হয়ে যাবে। আরো সওয়াব বেড়ে যাবে। সে কারণে এটাতো কোনো সমস্যা না। অনেকে বলেছেন, মেশিনের মাধ্যমে চাঁদ দেখা দরকার। মেশিনের কী দরকার? অরজিনালিই তো চাঁদ দেখা গেছে। চোখে দেখার পর ঘোষণা হয়েছে। মেশিনে দেখলেও কোনো অসুবিধা নেই।
বিএনপি এমপির সংসদে দেয়া রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম প্রসঙ্গে আবু রেজা নদবী বলেন, আমি মনে করি আওয়ামী লীগের লোকেরাই ধর্মকর্ম বেশি করেন, বেশি নামাজ পড়েন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা