সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, হিজড়াদের জন্য দেশের ১০টি জেলায় স্থায়ীভাবে আবাসন স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এ ছাড়া হিজড়া সম্প্রদায়ের অধিকার সুরক্ষা, স্বাবলম্বী এবং দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সরকার কর্তৃক হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। চলতি অর্থবছরে হিজড়াদের খাতে প্রায় সাড়ে ১১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
সংসদে প্রশ্নোত্তরে গতকাল গোলাম কিবরিয়া টিপুর (বরিশাল-৩) এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রী জানান, ২০১২-১৩ অর্থবছরে দেশের ৭টি জেলায় এই কর্মসূচি শুরু হয়। বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৭২ লাখ ১৭ হাজার টাকা। পরে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে কর্মসূচিটি সম্প্রসারিত করে ৬৪ জেলায় বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়ে ১১ কোটি ৪০ লাখ টাকায় উন্নীত হয়েছে।
তিনি বলেন, এই কার্যক্রমের মাধ্যমে গৃহীত পদক্ষেপগুলো হচ্ছে ৫০ বছর বয়স বা তার বেশি বয়সের ২৫০০ জন অক্ষম ও অসচ্ছল হিজড়াকে বয়স্ক ভাতা/বিশেষ ভাতা দেয়া হয়। তাদের মাসে ৬০০ টাকা করে দেয়া হচ্ছে। হিজড়া সম্প্রদায়ের জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় তাদের সন্তানদের চারটি স্তর (প্রাথমিক স্তর-৭০০, মাধ্যমিক স্তরে-৮০০, উচ্চমাধ্যমিক- ১০০০ এবং উচ্চতর স্তরে ১২০০ টাকা) শিক্ষাবৃত্তি দেয়া হয়। শুরুতে ১৩৫ জন হতে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে মোট ১ হাজার ৩৫০ জনকে শিক্ষা উপবৃত্তি দেয়া হচ্ছে। কর্মক্ষম হিজড়া জনগোষ্ঠীর দক্ষতা বৃদ্ধি ও আয়বর্ধনমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করে সমাজের মূল ¯্রােতধারায় আনার লক্ষ্যে ৫০ দিন করে তাদের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান এবং প্রত্যেকে এক হাজার টাকা করে প্রশিক্ষণের পর আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়। এ পর্যন্ত ৭ হাজার ৬৫০ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া ও প্রশিক্ষণের পর সহায়তা দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়াও ১০ জেলায় হিজড়াদের জন্য আবাসন স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।