১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলকদ ১৪৪৫
`


সিজন-২-এর দাবিটাই আমার কাছে আশীর্বাদ : আশফাক নিপুন

সিজন-২-এর দাবিটাই আমার কাছে আশীর্বাদ : আশফাক নিপুন - ছবি : সংগৃহীত

আশফাক নিপুন। মেধাবী নাট্যনির্মাতা হিসেবে পরিচিত প্রায় ১৫ বছর ধরে। সম্প্রতি ওটিটি প্লাটফর্ম হইচইতে মুক্তি পেয়েছে তার প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘মহানগর’। দর্শকদের মনে এটি শিহরণ জাগিয়েছে। ব্যাপক প্রশংসা কুঁড়িয়েছে আট পর্বের এ সিরিজটি। প্রতিটি পর্বই ছিল টান টান উত্তেজনায় ভরপুর। তাই জোর দাবি উঠেছে ওয়েব সিরিজটির সিজন-২ নির্মাণের। কিন্তু নির্মাতা আশফাক নিপুন এ বিষয়ে কী ভাবছেন? তিনি কি জনপ্রিয় এ সিরিজের পরের ধাপ নিয়ে কাজ করবেন? নাকি ওয়েব সিরিজে সফলতার পথ ধরে সিনেমা নির্মাণে মনোযোগী হবেন? এমন আরো অনেক প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন মনখুলে। সাক্ষাতকার নিয়েছেন আলমগীর কবির

প্রশ্ন : মহানগরের প্রেক্ষাপট এরই মধ্যে অনেকে জেনে গেছেন। এর নেপথ্যটা কী একটু বলবেন। ওসি হারুন চরিত্রে মোশাররফ করিমকে কেন নিলেন?
আশফাক নিপুন : পরিচালনার পাশাপাশি মহানগরের লেখকও আমি। স্বভাবতই ওসি হারুন নিয়ে যখন লিখছিলাম আর ওসির যে কালারফুল ক্যারেক্টার দাঁড়াচ্ছিল তখন মনে হয়েছিল এটি প্লে করার জন্য মোশাররফ করিমই বেস্ট। শুধু মোশাররফ করিম না, এখানে যে যেই চরিত্রগুলোতে কাজ করেছেন সবাই আমার ফাস্ট চয়েজ ছিল। মলয়ের ক্যারেক্টার করেছে ইমরান নুর বলি, শাহানের ক্যারেক্টারে মম, খাইরুল বাশার, নাসির উদ্দিন খান, নায়িকার যে ক্যারেক্টার করেছে প্রিয়াঙ্কা, চমক, শ্যামল, সবাই আমার ফাস্ট চয়েজই ছিল। রাইটার, ডিরেক্টর একই মানুষ হলে যেটা হয় একই সাথে দুটি কাজই মাথায় চলতে থাকে।

শ্যামলের সাথে ছয় মাস আগে করা একটা কাজ ‘কষ্টনীড়’ আর মোশাররফ করিমের সাথে ১৪ বছর আগে একটা ফিকশন বাদ দিলে সব অভিনেতাদের সাথে এটা আমার প্রথম কাজ। এখানে সিনিয়র থেকে জুনিয়র সবার সাথে আমি প্রথম কাজ করলাম। সাধারণত কেউ যখন বড় কাজ করতে যায় তখন এমন সেসব শিল্পীদের সাথে কাজ করে যাদের সাথে পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে। তাহলে কাজটা করতে সুবিধা হয়, যেহেতু লম্বা সময় শুটিং। আমি করলাম তার উল্টোটা। নিজের কমফোর্ট জোনের বাইরে থেকে কাজটা করলাম এক্সপেরিমেন্ট হিসেবে।

প্রশ্ন : সবাই তো মহানগরের প্রশংসা করছেন। পাশাপাশি কিছু প্রশ্নও উঠেছে। এই যেমন, অপরাধী জয়নালকে তাড়া করা, ধরা আবারে ছেড়ে দেয়া। আবির ও তার বান্ধবীকে নিয়ে যে দৃশ্যগুলো দেখানো হয়েছে। এগুলো কি খুব জরুরি ছিল?
আশফাক নিপুন : অফকোর্স দরকার ছিল। কারণ আপনি ১৮৭ মিনিটের একটি সিরিজ দেখছেন। প্রত্যেকটা ক্যারেক্টারের ব্যাক স্টোরি দরকার হয়। প্রত্যেকটা ক্যারেক্টারের একটা স্টার্টিং পয়েন্ট এবং এন্ড পয়েন্ট থাকে। এ কারণেই আমার মনে হয়েছে এই চরিত্র আর ঘটনাগুলো অবশ্যই থাকা দরকার ছিল। তা না হলে তো আমি ছয়জনকে শুরু থেকেই থানার ভেতরে এনে শুরু করতে পারতাম...সেভাবে করতে চাইনি।

প্রশ্ন : ওয়েব সিরিজের একেবারে শেষ দিকে এসে ওসি হারুন যে ডায়লগটি দিয়েছেন, সিস্টেমের ভেতরে এত ভূত। তাদের সাথে লড়তে গেলে নিজেদেরও মাঝে মাঝে ভূত হতে হয়। এর মাধ্যমে আসলে কী বার্তা দিতে চেয়েছেন?
আশফাক নিপুন : আর্টিস্ট বা ফিল্ম মেকারের দায়িত্ব হচ্ছে কাজের মাধ্যমে তার বার্তা দেয়া। এখন কাজ শেষ করার পর যদি আবার খুলে বলতে যাই, তখন আর আমার ফিল্ম মেকিংয়ের সৌন্দর্য থাকে না। একজন কবিকে যদি বলা হয়, আপনি এই কবিতার লাইন দিয়ে কী বলছেন একটু বুঝিয়ে বলেন, তখন আর কবিতার সৌন্দর্যটা থাকে না। সিমিলারলি আমি যখন একটা গল্প বলছি তখন গল্প শেষে একেকজনের ইন্টারপ্রিটেশন একেক রকম হবে। একেক দর্শক একেকভাবে চিন্তা করবেন। ওসি হারুনের ক্যারেক্টারটা কিন্তু এমনভাবে শেষ হয়েছে, কারো মনে হবে তিনি নায়ক, কেউ ভাববেন খলনায়ক, খেলোয়াড়, অনেকে ভাববে সে আসলে খেলার শিকার। যে যেভাবে খুশি চিন্তা করবে। আমার কাজ হচ্ছে বিতর্কটাকে উস্কে দেয়া, যেন মানুষজন নিজেদের মতো করে একটা সমাধানে পৌঁছাতে পারে।

প্রশ্ন : গল্পটা লেখার ক্ষেত্রে আমাদের দেশের বাস্তব কোনো ঘটনা অবলম্বন করা হয়েছে?
আশফাক নিপুন : এমন হলে শুরুতেই লেখা থাকত সত্য ঘটনা অবলম্বনে বা সত্য ঘটনার ছায়া অবলম্বনে। এটা সত্য ঘটনা না, পুরোটাই কাল্পনিক। তবে আমরা চারপাশের অনেক ঘটনা শুনি, দেখি বা পড়ি ওইগুলোর ছাপ তো রয়েই যায়। তাছাড়া সময়কে ধারণ করতে গেলে চারপাশের অনেক ঘটনার ছায়া আমার কাজে চলে আসে, এখানেও তাই হয়েছে।

প্রশ্ন : মহানগরের দ্বিতীয় সিজন আসলে কবে থেকে শুরু করছেন?
আশফাক নিপুন : আমি যখন ‘মহানগর’-এর গল্পটা নিয়ে হইচইয়ের সাথে কথা বলি, তখন উনারা বলেছিলেন গল্পটার মধ্যে দ্বিতীয় সিজনের একটা আভাস রেখে দিতে। তবে করবই, বা করতে হবে এমন না। এটা আমার প্রথম ওয়েব সিরিজ। এটাই ঠিকমতো বানাতে পারব কি-না তা নিয়ে নিজেই সন্ধিহান ছিলাম। দর্শক কিভাবে নেবে সেটাও জানতাম না। তাছাড়া ওয়েব সিরিজ বানানোর জন্য নিজস্ব কিছু টেকনিক আছে। এটা সিনেমা বা টিভি ফিকশন থেকে আলাদা। তাই ‘মহানগর’ করার সময় সম্পূর্ণ মনোযোগ ওইদিকেই ছিল। তবে রিলিজ হওয়ার পর যে সাড়া পাচ্ছি, অনেকেই বলছেন এটা সাম্প্রতিককালের সেরা বাংলা ওয়েব সিরিজ। শুধু দর্শকরা নয়, আমাদের মিডিয়াতে যারা কাজ করেন, অ্যাক্টর, ডিরেক্টর তারাও প্রশংসা করেছেন। তাদের অনেকেই বলেছেন ‘তাকদির’-এর পরে ‘মহানগর’ এ ওয়েব সিরিজে এর যে ফ্লেভার সেটা উঠে এসেছে, দর্শক একটানা বসে শেষ করেছে। দর্শক এখন আমাকে বলছে ‘মহানগর’ এখন আর আপনার নেই, এটা আমাদের হয়ে গেছে। সিজন-২ লাগবেই আমাদের। দর্শকদের এই দাবিটা আমার কাছে আশীর্বাদ। যেহেতু দাবিটা এত জোড়ালোভাবে আসছে। তাই আমি এখন চিন্তা করছি, ‘সিজন-২’ কতটা ভালো করতে হবে, কতটা ডিফারেন্ট করতে হবে, যাতে এটা মহানগরের জনপ্রিয়তাকে আর নির্মাণশৈলীকে ছাড়িয়ে যায়। যদি সিজন-২ দর্শকদের প্রত্যাশার জায়গা না পৌঁছায় তারা আশাহত হবেন। আর যে সম্ভাবনাটা তৈরি হয়েছে, সেটা সুতরাং সিজন-২ কবে আসবে সেটা আমি এখনো সিউর না। তবে করতে হলে আমাকে আরো অনেক বেশি ক্রিয়েটিভ ওয়েতে করতে হবে। সেটা নিয়েই আমরা বেশি ভাবছি এখন।

প্রশ্ন : বাংলাদেশে ওয়েবসিরিজ নিয়ে বিতর্ক ছিল। সেই জায়গাটায় প্রথম ‘তাকদির’ তারপর ‘মহানগর’ দিয়ে আপনি বুঝিয়ে দিলেন ওয়েব সিরিজে গল্পটাই আসলে প্রধান। এই যে ভিন্ন একটা ধারণার জন্ম দিলেন। এরপর কি সিনেমায় আপনার এই ভিন্নধর্মী চিন্তা পাব?
আশফাক নিপুন : ওয়েব সিরিজ নিয়ে একটি অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। সরকারকেও হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল এই বিষয়ে যেটা অনভিপ্রেত। আমাদের এখানে একটি ধারণা প্রতিষ্ঠা হয়ে গিয়েছিল যে ওয়েবে সিরিজ মানেই অশ্লীল কিছু। এটা ঠিক নয়। আমি তো প্রথমেই বলেছি, ওয়েব সিরিজের গ্রামার আলাদা। এটাকে টেলিভিশন বা ফ্রি ইউটিউব কন্টেন্টের সাথে মিলিয়ে লাভ নেই। এখানে দর্শক যখন কোনো কাজ দেখতে বসেন সম্পূর্ণ নিজের সম্মতিতেই দেখতে বসেন। যদি গল্পের কোনো অংশ তার পছন্দ না হয় তাহলে তিনি নিজেই সেটা দেখা আর কন্টিনিউ করবেন না। এর জন্য আলাদা খবরদারির দরকার নেই। আমার মহানগরে কিন্তু সব এলিমেন্টই ছিল। পার্টি, ড্রিংক করা, সিগারেট খাওয়া ছিল কিন্তু দর্শকরা তো এটা নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুলেননি। সবাই কিন্তু কন্টিনিউয়াস সিগারেট খেয়েছে, পার্টিতে মেয়েরা যে ধরনের পোশাক পরে সেটাই কিন্তু এখানেও দেখানো হয়েছে। এ ছাড়াও আরো অনেক কিছুই ছিল এখানে গল্পের প্রয়োজনে। কই এটা নিয়ে একটা কোথাও কিন্তু আপত্তি উঠেনি যে ওয়েব সিরিজে উপস্থাপনটা এভাবে না হলে ভালো হতো। এই জিনিসটাই প্রমাণ করে দর্শক যখন গল্পে মজে যায় তখন থার্ড আই হয়ে পুরো গল্পটাই দেখে নির্মোহভাবে। দর্শককে যদি আপনি একটি প্রপারলি গল্প দেন তাহলে আর অন্য কিছু প্রয়োজন হয় না।

এখন আপনার প্রশ্নে আসি, সিনেমায় কবে যাব? সিনেমার বাস্তবতা পেন্ডেমিকের কারণে ডিফরেন্ট হয়ে গেছে। এমনিতেই আমাদের সিনেমা হলের অবস্থা খারাপ ছিল আগে থেকে। কিছু ভালো ছবি যেমন ‘ঢাকা অ্যাটাক’, ‘দেবী’, ‘আয়নাবাজি’ ‘কাঠবিড়ালি’ দর্শকদের হলমুখী করেছিল গত কয়েক বছরে। এর মাঝে করোনা আসার ফলে হলে যাচ্ছে না মানুষ। আর গেলেও আপনাকে সামাজিক দূরত্ব মেনটেইন করতে হবে। কাজেই আগে হাউজফুল বলতে যে শব্দ ছিল এখন আর সেই শব্দ থাকবে না। আমি যদি একটি সিনেমা বানাই এটা যদি কোনো কারণে প্রথম সপ্তাহে দর্শক টানতে না পারে হলমালিক কিন্তু পরের সপ্তাহে ওটা নামিয়ে দেবে। ধরেন, কেউ একজন মনে করল এই সপ্তাহে সিনেমাটা দেখতে যেতে পারব না সামনের সপ্তাহে গিয়ে দেখল ছবিটা নেমে গেছে। সো আমাদের দেশে বড় পর্দার জন্য ছবি বানানো দিনকে দিন খুবই রিস্কি হয়ে যাচ্ছে। সেই তুলনায় আমি দেখছি, ওটিটি হচ্ছে একটি সেফ জোন। এখানে যদি একটি কনটেন্ট আপনি বানান, সেটা থেকে যায়। এটা কেউ নামিয়ে দেয় না। সো যারা যখন সেই সময় ইচ্ছে তখন এটা দেখতে পারবে। কেউ যদি ছয় মাস পরেও ‘মহানগর’ দেখতে চান তো দেখা যাবে। আর ইন্টারন্যাশনাল ওটিটি প্লাটফর্মের সাথে যদি যুক্ত হতে পারেন তবে একসাথে ১৮০টি দেশে দেখতে পারবেন। যেমন ‘মহানগর’ নিয়ে প্রশংসা কিন্তু ইন্ডিয়া থেকেও আসছে। আমি যদি বাংলাদেশে একটি সিনেমা বানাতাম তাহলে আমার পাশের দেশ ইন্ডিয়াতেও সেই সিনেমা মুক্তি দেয়ার সুযোগ নেই। ‘মহানগর’ হইচইতে মুক্তি পাওয়ার কারণে আমি ওখান থেকে প্রশংসা পাচ্ছি। সুতরাং করোনা এবং ওটিটির উত্থানে বাংলাদেশে সিনেমা বানানোর বাস্তবতায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। ‘শনিবার বিকেল’ বানিয়ে মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী দুই বছর ধরে অপেক্ষা করছেন মুক্তি দিতে পারছেন না। কিন্তু ওটা যদি নেটফ্লিক্সের জন্য বানাতেন তবে কিন্তু সেটা এতদিনে প্রচার হয়ে যেত। চলচ্চিত্র নির্মাণ করা তো আমাদের সবার স্বপ্ন। কিন্তু নানান ধরনের বাস্তবতা তার সাথে ওটিটি প্লাটফর্মের যে উত্থান তাতে আসলে এই মুহূর্তে বড় পর্দার জন্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করব নাকি ওটিটির জন্য একটা কিছু নির্মাণ করব- এমন প্রশ্ন উঠলে বাংলাদেশের বেশির ভাগ ফিল্ম মেকারই ওটিটিকে বেছে নেবেন।

প্রশ্ন : আপনার নাটকগুলো অনেক প্রশংসিত হয়। সব নাটকেই চরিত্র বেশি থাকে। অন্যরা চরিত্র কম রাখার যুক্তি দেন স্বল্প বাজেট । আপনি কি নাটক নির্মাণে বাজেট বেশি পান?
আশফাক নিপুন : আমি বাজেট পাই না, গল্পের প্রয়োজনে বাজেট আদায় করে নেই। বাজেট নির্ভর করে আপনার গল্পের উপরে আর সেই গল্পকে বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য আপনার কতটুকু দরকার তার উপরে। এই ব্যাপারে আমি কোনো কম্প্রোমাইজ করি না। আমার কাজে প্রচুর ক্যারেক্টার থাকে অন্যদের কাজে হয়তো এত ক্যারেক্টার থাকে না। এই জিনিসটা আমি অ্যাস্টব্লিস্ট করতে পারি বলেই বাজেটটা বেশি নিতে পারি। আমার বাজেট অন্যদের চেয়ে বেশি থাকে। সেটা এমন না যে আমি চাইলাম আর দিয়ে দিলো। প্রয়োজন দেখিয়ে বাজেট আদায় করে নিই আমি। আমার প্রয়োজনটা গল্পে ফুটে উঠে দেখেই পরবর্তী কাজগুলোতেও আমাকে বেশি বাজেট দেয়া হয়। ফাঁকিবাজি করলে হয়তো প্রথমবার দিত কিন্তু পরে আর দিত না।

প্রশ্ন : আপনার লেখার ক্ষেত্রে কী ধরনের গল্প বেশি প্রাধ্যন্য পায়?
আশফাক নিপুন : আমি যখন কোনো গল্প চিন্তা করি সোশ্যাল পলিটিক্যাল (সামাজিক রাজনৈতিক গল্প) অ্যাঙ্গেলটা সারাক্ষণ আসতে থাকে। আবার আমার দর্শকদের বড় একটি অংশ মনে করে যে আমি পারিবারিক গল্প খুব ভালো করতে পারি। সেটা আমার ‘মিস শিউলি’, ‘খুটিনাটি খুনশুটি’ এ ধরনের কাজ দেখলে বোঝা যায়। আমি পারিবারিক গল্পগুলো খুব স্বাচ্ছন্দে বানাতে পারি। গত কয়েক বছর ধরে আামি সোসো পলিটিক্যাল ড্রামা বানানোর চেষ্টা করছি। যেমন আমার ‘মহানগর’ ক্রাইম থ্রিলারের চেয়ে বেশি হচ্ছে ক্রাইম ড্রামা।

প্রশ্ন : তার মানে আমরা মহানগর সিজন-২ তে আরো প্রাণবন্ত গল্প উপহার পাচ্ছি।
আশফাক নিপুন : হ্যাঁ, এখন যেহেতু প্রত্যাশাটা বেশি। আর প্রত্যাশা বেশি এই কারণে আলহামদুলিল্লøাহ। আমি এবং আমার টিম গত পাঁচ মাস যে পরিশ্রমটা করছি টানা, আমি গত রোজার ঈদেও কাজ করিনি। আমি ইচ্ছে করলেই করতে পারতাম কিন্তু যেহেতু আমার পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ চলছিল, আমি চাইলেই শুটিং করতে পারতাম। কিন্তু আমি করিনি।

প্রশ্ন : মহানগরের শুটিং কোথায় হয়েছিল?
আশফাক নিপুন : শুটিংটা হয়েছিল ঢাকার বাইরে চলতি বছরের মার্চ মাসে। পুরাটাই কিন্তু সেট করে করা। দুটি বাতিল ভবনকে একসাথে করে এটা করা। আমার সব কিছু মিলিয়ে ২০ দিন শুটিং করতে হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement