৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


কৃষি মন্ত্রণালয়ের এডিপি বাস্তবায়নের হার ৭৬ শতাংশ

কৃষি মন্ত্রণালয়ের এডিপি বাস্তবায়নের হার ৭৬ শতাংশ - ছবি : সংগৃহীত

  • ৮৫ প্রকল্পে মোট বরাদ্দ ২ হাজার ৩২২ কোটি টাকা; মে পর্যন্ত ব্যয় ১ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা; এক মাসের মধ্যে বাকি কাজের বাস্তবায়ন


চলতি অর্থবছরের (২০২০-২১) মে মাস পর্যন্ত দেশে গড়ে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের হার ৫৮ শতাংশ। তবে কৃষি মন্ত্রণালয় এডিপি বাস্তবায়নের দিক দিয়ে জাতীয় গড়ের চেয়ে ১৮ শতাংশ বেশি অগ্রগতি হয়েছে। মহামারী করোনাভাইরাসের প্রকোপকালে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পসগুলো মে মাস পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে ৭৬ শতাংশ। অবশিষ্ট এক মাসের মধ্যে প্রায় শতভাগ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি।

সভায় আরো জানানো হয়, বাস্তবায়ন অগ্রগতির এই হার গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ শতাংশ বেশি। গত বছরের মে মাস পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতির হার ছিল ৫৯ শতাংশ, মোট বরাদ্দ ১ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকার মধ্যে ব্যয় হয়েছিল ১ হাজার ৪২ কোটি টাকা। অথচ, সেখানে চলমান ২০২০-২১ অর্থবছরের ৮৫টি প্রকল্পের অনুকূলে মোট বরাদ্দ ২ হাজার ৩২২ কোটি টাকার মধ্যে ১ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা ইতোমধ্যে ব্যয় হয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, চলমান করোনা মহামারী ও ঘূর্ণিঝড়, বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে এডিপি বাস্তবায়নে এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব আমাদের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মীদের নিরলস পরিশ্রমের ফলে। করোনাকালে জীবনের ঝুঁকি নিয়েও সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের মতো সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

এ সময় কৃষিমন্ত্রী দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত জমিতে অতিদ্রুত লবণাক্তসহিষ্ণু ধানের জাত সম্প্রসারণের জন্য সকলকে নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ব্রিধান ৬৭, ব্রিধান ৯৭, ব্রিধান ৯৯, বিনা-১০সহ অনেকগুলো লবণাক্তসহিষ্ণু জাতের ধান উদ্ভাবিত হয়েছে। এগুলোর পর্যাপ্ত বীজ উৎপাদন করে কৃষকের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের চাষের জমি কমছে, মানুষ বাড়ছে, খাদ্যের চাহিদা বাড়ছে। এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে খাদ্যের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতাকে টেকসই করতে হলে আরো নতুন জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে। সভাটি সঞ্চালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম।

এ সময় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) ড. মো: আব্দুর রৌফ, অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) মো: রুহুল আমিন তালুকদার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ওয়াহিদা আক্তার, অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) হাসানুজ্জামান কল্লোল, অতিরিক্ত সচিব (সার ও উপকরণ) মো: মাহবুবুল ইসলাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো: আসাদুল্লাহহ অন্যান্য সংস্থাপ্রধান ও প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

এডিপি মিটিংয়ের আগে কৃষিমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০২০-২১ প্রদান করেন। এ বছর কৃষি মন্ত্রণালয়ের ও দফতর/সংস্থার মধ্যে তিনজনকে এ পুরস্কার দেয়া হয়। দফতর/সংস্থার প্রধানদের মধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো: আসাদুল্লাহ, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে উপ-সচিব এস এম ইমরুল হাসান ও কম্পিউটার অপারেটর আব্দুল বাতেন সিরাজী পুরস্কার পান।


আরো সংবাদ



premium cement