০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে মতিন খসরুর জানাজা সম্পন্ন

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে মতিন খসরুর জানাজা সম্পন্ন - ছবি - সংগৃহীত

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরুর দ্বিতীয় জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে দ্বিতীয় জানাজা সম্পন্ন হয়।

দ্বিতীয় জানাজায় অন্যদের মধ্যে অংশ নেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ আরো অনেকে।

বুধবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) কুমিল্লা-৫ (ব্রাহ্মণপাড়া-বুড়িচং) আসনের এই সংসদ সদস্য শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুল মতিন খসরু গত ১৫ মার্চ সংসদ সচিবালয়ে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। পরদিন ১৬ মার্চ সকালে তার রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে। ওইদিনই তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। গত ২৮ মার্চ রাত ১২টার দিকে তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেয়া হয়।

এরপর ১ এপ্রিল আবদুল মতিন খসরুর করোনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসে। পরে ৩ এপ্রিল আইসিইউ থেকে তাকে সাধারণ কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। এরপর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত ৬ এপ্রিল তাকে আবার আইসিইউতে নেয়া হয়। পরিস্থিতির আরো অবনতি হলে গত মঙ্গলবার তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। কিন্তু সেখান থেকে আর ফিরে আসতে পারেননি তিনি।

আবদুল মতিন খসরু গত ১৩ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৫০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মিরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মো. আবদুল মালেক ও মা জাহানারা বেগম। তারা চার ভাই ও এক বোন। আবদুল মতিন খসরু ব্যক্তিজীবনে এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক।


আরো সংবাদ



premium cement