০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মহামারিতে খাদ্য সংকটের ঝুঁকিতে ১৩ কোটি ২০ লাখ মানুষ : জাতিসঙ্ঘ

- সংগৃহীত

করোনাভাইরাস মহামারিতে এ বছরের শেষ নাগাদ বিশ্বব্যাপী ক্ষুধার কষ্টে যুক্ত হতে যাচ্ছে আরো ১৩ কোটি ২০ লাখ মানুষ। জাতিসঙ্ঘ সোমবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়ে সতর্ক করেছে বিশ্ববাসীকে। পাশাপাশি এই আসন্ন সমস্যা মোকাবেলায় সকল দেশের সরকারকে নিজ জনগণের জন্য মানসম্পন্ন, পুষ্টিকর খাদ্য যোগানের নীতিমালা গঠনের আহ্বানও জানিয়েছে সংস্থাটি।

জাতিসঙ্ঘের খাদ্য সুরক্ষা ও পুষ্টি বিষয়ক ২০২০ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর বিশ্বব্যাপী ২০ কোটি মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেছে এবং প্রায় ৭৪ কোটি ৬০ লাখ মানুষ মারাত্মক খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মুখোমুখি হয়েছেন। এ বছর সংখ্যাটি দ্রুত বাড়ছে।

সংস্থাটি বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ক্ষুধা নিরসন প্রকল্প মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। বিশ্বব্যাপী বেশিরভাগ দরিদ্র মানুষ পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করতে পারে না। করোনাভাইরাস মহামারি আঘাত হানার আগে থেকেই সাম্প্রতিক বছরগুলোতে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার বিরুদ্ধে লড়াই চলছে।

২০১৪ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার দিক থেকে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চল। এই অঞ্চলগুলোতে মারাত্মক হারে বেড়ে চলেছে খাদ্য সমস্যা। ২০১৪ সালে ক্ষুধার্তের হার ২২ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে ২০১৮ সালে ৩১ দশমিক সাত শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও এই মহামারিতে শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের স্থুলতা বাড়িয়ে তুলেছে।

জাতিসঙ্ঘ বলছে , খাদ্য ও কৃষি উৎপাদনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এমন প্রত্যক্ষ ও অপ্রত্যক্ষ করের নীতিমালা এড়াতে হবে। খাদ্য ও কৃষি খাতে ভর্তুকি পুর্নবিবেচনার জন্য বিশেষত নিম্ন-আয়ের দেশগুলোকে অনুরোধ করছে সংস্থাটি। সংস্থাটি বলছে, নগদ কর্মসূচী, শিক্ষার বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচী এবং পুষ্টিকর খাবারের ভর্তুকির নীতি করোনভাইরাসের সময়েও চালিয়ে নেয়া প্রয়োজন। সূত্রঃ আল জাজিরা


আরো সংবাদ



premium cement