০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


কোভিড-১৯ চিকিৎসায় চট্টগ্রামবাসীর পাশে থাকবে বন্দর : নৌ প্রতিমন্ত্রী

- সংগৃহীত

নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের লাইফ লাইন। চট্টগ্রামের মানুষের প্রতি যে দায়বদ্ধতা আছে, কোভিড-১৯ চিকিৎসায়ও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে চট্টগ্রামবাসীর পাশে থাকবে চট্টগ্রাম বন্দর। তিনি আজ দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রামের কর্মীদের করোনা চিকিৎসার জন্য ৬০ শয্যার বিশেষায়িত ইউনিট ও নতুন হাসপাতাল ভবনের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের আওতায় মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর, বে টার্মিনাল, পিসিটিসহ অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তাই বন্দরের জন্য শুধু উদ্ধারকারী জাহাজ নয়, হেলিকপ্টার কেনারও পরিকল্পনা রয়েছে।

তিনি বলেন, “১০ বছরে চট্টগ্রাম বন্দর বিশ্বের সেরা ১০০ কনটেইনার হ্যান্ডলিং বন্দরের তালিকায় ৬৪তম অবস্থানে এসেছে। আমরা চাই ৩০-৫০ তম অবস্থানের মধ্যে চলে আসতে”।

নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বন্দরের সঙ্গে জড়িতদের সাহসী পদক্ষেপের কারণে করোনাকালে অপারেশন এক মুহূর্তের জন্যও বন্ধ হয়নি। পৃথিবীর কোনো দেশ প্রস্তুত ছিলো না কোভিড-১৯ এর জন্য। উন্নত দেশেও স্বাস্থ্যসেবা থমকে গেছে। বাংলাদেশের মানুষের সাহসিকতা ও সরকারের সাহসী ব্যবস্থাপনা ছিলো। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নির্মিত একটি হাসপাতাল ভবনের উদ্বোধন করা হয়েছে। এক লাখ বর্গফুটের ৬ তলা ভিত্তির ৪ তলা করে ৫টি ব্লকের ১৫০ শয্যার হাসপাতাল করা হয়েছে। প্রতি ব্লকের জন্য আলাদা গেট তৈরি করা হয়েছে। হাসপাতালটিতে চিকিৎসকের আলাদা কক্ষ, রোগীদের আলাদা ওয়ার্ড ও অপারেশন থিয়েটার করা হয়েছে।

উদ্বোধনকালে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম আবুল কালাম আজাদ বলেন, বন্দরে হাজারো লোকের আনাগোনা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বন্দরের লোকজন স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করেছেন। কিছু সহকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছেন তারা। একমুহূর্তও বন্ধ ছিল না অপারেশন কাজ। স্টেকহোল্ডাররা সহযোগিতা করেছেন। দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি, আমরা লক্ষ্য থেকে একচুলও পিছপা হবো না।

উল্লেখ্য, বন্দর হাসপাতাল ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে। সম্প্রতি কাজ সম্পন্ন হয়। সি ও ই ব্লকে করোনা ইউনিট ও আইসোলেশন সেন্টার করা হয়েছে। ২৫ শয্যায় হাই-ফ্লো অক্সিজেন সিস্টেম রাখা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আইসিইউ ওয়ার্ড চালুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ৬০ শয্যার করোনা ইউনিটে ১৩ জন চিকিৎসক, ৩৬ জন নার্সসহ ১৫৯ জন জনবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম, পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম, বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক, প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তাসহ বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বাসস


আরো সংবাদ



premium cement