গত শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে ভাষণ দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেই ভাষণে জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাসবাদ, ইসলাম ফোবিয়া (ইসলাম ভীতি) ইস্যুতে কথা বলার পাশাপাশি ভারতশাসিত কাশ্মিরে ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘন করাসহ সেখানকার বিদ্যমান পরিস্থিতি বিশ্ব নেতাদের সামনে গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেন ইমরান খান।
‘পৃথিবীর স্বর্গ’ খ্যাত কাশ্মির উপত্যকাকে অবরুদ্ধ করে ভারত সরকারের নির্মম অত্যাচারের বিষয়টি বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, গত ৫৫ দিন ধরে ৮০ লাখ কাশ্মিরিকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। ৯ লাখের বেশি সেনা মোতায়েন করে সেখানকার নাগরিকদের সঙ্গে পশুসুলভ আচরণ করছে আরএসএস মতাদর্শী মোদি সরকার।
জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রতিটি দেশের সরকারপ্রধানের বক্তব্য দেয়ার জন্য নির্ধারিত থাকে ১৫ মিনিট সময়। তবে শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান প্রায় ৫১ মিনিট ভাষণ দেন। এরমধ্যে টানা আধাঘণ্টারও বেশি সময় ভারতশাসিত কাশ্মিরের বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন ইমরান খান। ভাষণ সমাপ্ত হওয়ার পরপরই তা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
এদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের এই ভাষণের ভূয়সী প্রশংসা করে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।
নয়া দিগন্ত অনলাইনের পাঠকদের জন্য ড. আসিফ নজরুলের ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘জাতিসংঘে ইমরানের অবিস্মরণীয় ভাষণ শুনলাম। শুনে অভিভূত হলাম। কেবলমাত্র প্রখর আত্মসম্মানবোধ, নিখাদ দেশপ্রেম আর সৎসাহস থাকলেই এমন বক্তব্য দেয়া সম্ভব।
আমাদের নেতাদের মধ্যে এসবের অভাব আছে। না হলে ইমরানের মতো বুকের পাটা আমাদের নেই কেন? রোহিঙ্গা, কাটাতারের বেড়া, সীমান্তে হত্যা, পশ্চিমাদের অফ-শোর ব্যাংক, আর ইসলাম ফোবিয়ার রাজনীতি নিয়ে আমরা কেন কথা বলতে পারি না?
ইমরান তার ভাষণে শুধু মোদি, আর পশ্চিমাদের না, তথাকথিত মুসলিম নেতাদের মুখোশও উন্মোচন করেছেন। জানি না এতো সত্য কথা বলে কতোদিন টিকে থাকতে পারবেন তিনি। কিন্তু যা বলেছেন আপাতত তা যথেষ্ট। ধন্যবাদ ইমরান খান!’
উল্লেখ্য, জাতিসঙ্ঘে সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের এমন তেজদীপ্ত বক্তব্যের পর শুক্রবার রাতে ভারতশাসিত কাশ্মিরের শ্রীনগরজুড়ে ভারতবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভে ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে ৩ কাশ্মিরি স্বাধীনতাকামী যুবক নিহত ও পাল্টা হামলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক জওয়ান নিহত হয়। ইমরান খানের ওই ভাষণের পর রাতেই কাশ্মিরের স্বাধীনতার ডাক দিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে আসেন শত শত কাশ্মিরি। এসময় তারা ইমরান খান ও পাকিস্তানের পক্ষে স্লোগান দেয় বলে জানায় বিভিন্ন গণমাধ্যম।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা