ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। কিছু ছবি প্রকাশ করে ইসরাইলি মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, বাশার আসাদ যেখানে থাকেন সেখানকার ছবি তারা পেয়েছে। এছাড়া সিরিয়ার ট্যাঙ্কবহরের অবস্থানের ছবিও তাদের কাছে রয়েছে বলে দাবি করেছে তেল আবিব।
'টাইমস অব ইসরাইল' জানিয়েছে, 'ওফেক-১১' নামের নতুন গোয়েন্দা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তারা এসব ছবি সংগ্রহ করেছে। ইসরাইলের দাবিকে প্রচার যুদ্ধ হিসেবে দাবি করেছে বিশেষজ্ঞরা।
ইসরাইলি সেনারা এর আগেও বাশার আসাদকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের সমর্থনপুষ্ট সন্ত্রাসীরা সিরিয়ায় পরাজিত হওয়ার পর নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে মাঝে মধ্যেই এ ধরণের ঘোষণা দেয় ইসরাইলের কর্মকর্তারা।
২০১১ সালে সিরিয়ায় বিদেশি মদদে ব্যাপক সহিংসতা উসকে দেওয়া হয়। ইসরাইলের বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার থাকার কারণে প্রতিশোধ হিসেবে বাশার আসাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে দীর্ঘ দিন ধরে। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সেখানে সহিংসতা ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
ইসরাইল এখনো সিরিয়ায় তৎপর সন্ত্রাসীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। সন্ত্রাসীদের হাতে অত্যাধুনিক অস্ত্র তুলে দিয়েও সিরিয়ার সরকার ও জনগণের প্রতিরোধ ভাঙতে পারেনি দেশটির শত্রুরা।
রুশ বিমান ভূপাতিত, ইসরাইলকে দায়ী করল রাশিয়া
সিরিয়ায় রুশ বিমান ভূপাতিত হয়ে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছে। ইসরাইলি বিমান হামলার সময় এ ঘটনা ঘটে। সিরিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিট ইসরাইলি যুদ্ধবিমান লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করলেও সেটি গিয়ে রুশ বিমানকে আঘাত করে। কারণ ইসরাইলের যুদ্ধবিমানগুলো এমন এক অবস্থান থেকে সিরিয়ায় হামলা করছিল যাতে যেকোনো পাল্টা আঘাতে প্রথমে রুশ বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
রাশিয়া বলেছে, ইসরাইল ইচ্ছাকৃতভাবে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে এবং রাশিয়া এর জবাব দেওয়ার অধিকার রাখে।
প্রথমে সিরিয়ার আকাশসীমা থেকে একটি আইএল-২০ সামরিক বিমান নিখোঁজ হওয়ার খবর দেয় রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। রুশ বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, সোমবার রাতে ইসরাইলের চারটি বিমান যখন সিরিয়ার লাতাকিয়ায় অবস্থিত রাষ্ট্রীয় কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা চালাচ্ছিল তখন রুশ বিমানটি রাডার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এরপর অনুসন্ধানের মাধ্যমে রাশিয়া নিশ্চিত হয়েছে, বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। এ বিষয়ে আজ রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরাইল ইচ্ছাকৃতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সোমবার রাতে চারটি ইসরাইলি এফ-সিক্সটিন যুদ্ধবিমান ভূমধ্যসাগর থেকে সিরিয়ার লাতাকিয়ায় হামলা চালায়। বিমানগুলো খুব নিচে নেমে এসে ওই অঞ্চলের বিমান ও জাহাজগুলোর জন্য বিপদজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। ইসরাইলি হামলার সময় ওই অঞ্চলে ফ্রান্সের একটি ফ্রিগেটও ছিল বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
রাশিয়া বলেছে, রুশ বিমান ধ্বংস এবং রুশ সামরিক ব্যক্তিত্বদের মৃত্যুর জন্য ইসরাইল দায়ী। কারণ ইচ্ছাকৃতভাবে রাশিয়ার বড় আকারের এই বিমানটিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে ইসরাইলি যুদ্ধবিমান। এছাড়া ওই এলাকায় বিমান হামলা চালানোর কথা আগেভাগে রাশিয়াকে জানায় নি ইসরাইল।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা