রক্ষণশীলতা থেকে বের হয়ে মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে কিউবার সরকার। কিউবার টেলিযোগাযোগ সংস্থা ইটিইসিএসএ জানায়, আগামী কয়েকমাসের মধ্যে প্রায় ৫০ লাখ মোবাইল ব্যবহারকারী ইন্টারনেট সুবিধার আওতায় আসবেন। আর ২০২০ সালের মধ্যে দেশটির জনসংখ্যার অর্ধেক নাগরিক এই সেবা পাবে বলেও দাবি ইটিইসিএস ‘র।
দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ফিদেল ও রাউল কাস্ত্রোর সরকার মনে করতেন অবাধ ইন্টারনেট ব্যবহার প্রশাসনিক কাজকর্মে প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়াবে। আর তাই ইন্টারনেট নিষিদ্ধ ছিল দেশটিতে। তবে কিছু কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে অনুমতি নিয়ে ব্যবহার করা যেত ইন্টারনেট।
কিউবার জাতীয় সংবাদ সংস্থার কর্মী ইউরি নরিদো বলেন, এটি অনেকদিনের চাওয়া ছিল। চালু হওয়ায় সংবাদকর্মীদের কাজ করার ধরণ বদলে যাবে আমূল। বলতে গেলে এই প্রথম আধুনিক যুগে ঢুকলাম আমরা।
দেশটিতে বিশেষ করে তরুণদের পক্ষ থেকে ইন্টারনেট সেবা অবাধ করে দেওয়ার বিষয়ে জোর দাবি ছিল। আর সেই দাবি মেনেই বর্তমান প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ ক্যানেল রক্ষণশীল মনোভাব থেকে বেরিয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ওপরই বেশি জোর দিচ্ছেন। আর্থিক এবং বাণিজ্যিক পরিসর বৃদ্ধির জন্য এই অবাধ ইন্টারনেট সেবা বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে ২০১৩ সাল থেকে দেশটির আন্তর্জাতিক হোটেল, পর্যটন কেন্দ্র, রেস্তোরায় ইন্টারনেট সেবা চালু ছিল। এরপর দাবির মুখে গতবছরে কিছু নির্দিষ্ট সাইবারক্যাফে ও ১১ হাজার বাড়িতে ব্রডব্যান্ড সেবা চালু করেছিল সরকার। হাতেগোনা কিছু ধনী কিউবান এই সুবিধা পেতেন। আর ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্যও পরিশোধ করতে হতো চড়া দাম।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা