২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ আসন্ন, সঙ্কট নজিরবিহীন : জাতিসঙ্ঘ

উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ আসন্ন, সঙ্কট নজিরবিহীন : জাতিসঙ্ঘ - সংগৃহীত

গাজার অর্ধেক বাসিন্দাই ভয়াবহ ক্ষুধায় জর্জরিত। জরুরি হস্তক্ষেপ না করলে মে মাস নাগাদ উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে। জাতিসঙ্ঘ-সমর্থিত খাদ্য নিরাপত্তা মূল্যায়নবিষয়ক আইপিসি সোমবার এ বিষয়ে হুঁশিয়ার করেছে।

জাতিসঙ্ঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির প্রধান কিন্ডি ম্যাককেইন বলেছেন, এ মুহূর্তে গাজায় লোকজন অনাহারে মারা যাচ্ছে। গাজায় ক্ষুধা ও অপুষ্টির সঙ্কট ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।

দ্য ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেইজ ক্লাসিফিকেশনের (আইপিসি) হিসেবে গাজার মোট জনসংখ্যার অর্ধেক ১১ লাখ লোক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে।

জাতিসঙ্ঘের ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার অর্গনাইজেশনের (ফাও) ডেপুটি ডাইরেক্টর জেনারেল বেথ বেচডল বলেন, মোট জনসংখ্যার ৫০ শতাংশই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে রয়েছে। তারা দুর্ভিক্ষের কাছাকাছি পর্যায়ে আছে। পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়ঙ্কর উত্তর গাজায়। সেখানে মধ্য মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়তে পারে।

জাতিসঙ্ঘের মানবিকবিষয়ক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ত্রাণের অবাধ প্রবেশের সুযোগ দিতে ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সময় নষ্ট করার মতো সময় নেই।

গ্রিফিথস আরো বলেন, দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধের ব্যর্থতার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের লজ্জায় মাথা নত করা উচিত।

গতবছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলে আকস্মিক বড় ধরনের হামলা চালায়। পরে ইসরাইল গাজায় ভয়াবহ অভিযান ও হামলা শুরু করে এবং তা অব্যাহত রেখেছে।

গত পাঁচ মাস ধরে চলা এ হামলায় গাজার পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। প্রয়োজনীয় ত্রাণ সরবরাহ করাও সম্ভব হচ্ছে না।
সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement