০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


গাজায় জ্বালানি ও নির্মাণ উপকরণ সহায়তায় মিসর-কাতার চুক্তি

গাজায় জ্বালানি ও নির্মাণ উপকরণ সহায়তায় মিসর-কাতার চুক্তি-ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড-ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড
গাজায় ধ্বংসস্তুপ - ছবি : আলজাজিরা

অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় জ্বালানি ও মৌলিক নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহের মাধ্যমে সহায়তা করতে এক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে মিসর ও কাতার।

বুধবার কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানায়।

নরওয়ের অসলোতে ফিলিস্তিনিদের সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক দাতা গোষ্ঠী অ্যাড হক লিয়াসন কমিটির (এএইচএলসি) মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক চলাকালে দুইপক্ষের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল-মুরাইখি ‘এই অঞ্চলে পরিস্থিতি শান্ত রাখতে চলমান চুক্তির গুরুত্ব, রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে ভ্রমণকারীদের চলাফেরায় সুবিধা দেয়া এবং সকল পক্ষের মধ্যে যোগাযোগের ওপর জোর দেন।’

মিসর ও কাতারের মধ্যে এই চুক্তি এমন সময় স্বাক্ষরিত হলো, যখন চলতি বছরের মে মাসে টানা ১১ দিনের ইসরাইলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় পুনর্নির্মাণের প্রচেষ্টা চলছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তথ্য অনুসারে, ইসরাইলি আগ্রাসনে গাজায় দুই হাজার দুই শ’ ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস ও ৩৭ হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

গাজায় ইসরাইলের টানা ১১ দিনের বিমান হামলায় অন্তত ২৫৩ ফিলিস্তিনি নিহত হন। অপরদিকে গাজা থেকে স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলোর নিক্ষিপ্ত রকেটে ইসরাইলে ১৩ জন নিহত হন।

১০ মে থেকে ২১ মে পর্যন্ত চলা এই সংঘর্ষ পরে মিসরের মধ্যস্থতায় ইসরাইলি সামরিক বাহিনী ও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলো বন্ধ করতে সম্মত হয়।

গাজার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মে মাসের সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্ত গাজার অবকাঠামো গড়ে তুলতে আনুমানিক ৪৭ কোটি ৯০ লাখ ডলার প্রয়োজন হবে। মিসর ও কাতার উভয়েই গাজায় পুনর্নির্মাণে ৫০ কোটি ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

১৯৬৭ সালের দ্বিতীয় আরব-ইসরাইল যুদ্ধে ওই সময় মিসরের নিয়ন্ত্রণে থাকা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজা উপত্যকা প্রথম দখল করে ইসরাইল।

১৯৮৭ সালে প্রথম ইন্তেফাদায় ফিলিস্তিনিদের গণজাগরণের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতিতে সম্মত হয় ইসরাইল। ১৯৯৩ সালে ইসরাইলি সরকার ও প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের মধ্যে জর্দান সংলগ্ন পূর্ব জেরুসালেমসহ পশ্চিম তীর ও মিসর সংলগ্ন গাজা উপত্যকায় স্বাধীন ফিলিস্তিন গঠনে অসলো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

কিন্তু চুক্তি বাস্তবায়নে ইসরাইলের উপেক্ষা ও চুক্তির অধীন ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলি বসতি সম্প্রসারের ফলে ২০০০ সালে দ্বিতীয় ইন্তেফাদার মাধ্যমে আবার বিক্ষোভ শুরু করে ফিলিস্তিনিরা।

গাজায় এই বিক্ষোভ তীব্র আকার ধারণ করায় ২০০৫ সালে এই উপত্যকা থেকে সম্পূর্ণভাবে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয় ইসরাইল।

২০০৬ সালে ফিলিস্তিনি সাধারণ নির্বাচনে স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস জয় লাভ করে। নির্বাচনে হামাসের জয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীদের সাথে বিতর্কের জেরে ইসরাইল নিয়ন্ত্রিত পশ্চিম তীর থেকে হামাসকে বহিস্কারের পর গাজার নিয়ন্ত্রণ নেয় সংগঠনটি। হামাসের গাজা নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর ২০০৭ থেকে এই ভূখণ্ডের ওপর কঠোর অবরোধ শুরু করে ইসরাইল।

সূত্র : আলজাজিরা


আরো সংবাদ



premium cement
হিলি বন্দর দিয়ে ১৪ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর ওপর : মন্ত্রী রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় ওআইসি’র সহযোগিতা চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী টর্চার সেলে শিশু-বৃদ্ধদের পেটাতেন মিল্টন : হারুন গাজা ত্যাগ করবে না ইউএনআরডব্লিউএ শৈলকুপায় সাংবাদিক মফিজুলের ওপর হামলা : প্রেসক্লাবের উদ্যোগে মানববন্ধন বিএনপির ভাবনায় ক্লান্ত ওবায়দুল কাদের : রিজভী অনলাইন জুয়ায় ২০ লাখ টাকা হেরে যুবকের আত্মহত্যা আল-জাজিরার অফিসে ইসরাইলি পুলিশের হানা মালয়েশিয়ায় কাল বৃহত্তম আন্তর্জাতিক ধর্মীয় সম্মেলন রাস্তা প্রশস্ত করতে কাটা হবে ৮৫৬টি গাছ

সকল