চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের দাবি, কোভিড-১৯ অতিমারির বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হয়েছে তাঁর দেশ। মঙ্গলবার, চীনের করোনা যোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘‘করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় অসাধারণ ও ঐতিহাসিক পরীক্ষায় আমরা সসম্মানে উত্তীর্ণ হয়েছি।’’
করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীন যে ভাবে মহামারির মোকাবিলা করেছে, তা বিশ্বজুড়ে ‘দৃষ্টান্ত’ বলে সে দেশের সরকারের দাবি। আজ বেইজিংয়ের ‘গ্রেট হল অফ দ্য পিপল’-এ আয়োজিত অনুষ্ঠানে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলায় কৃতিত্বের নজির স্থাপন করা চার জন চিকিৎসাকর্মীকে ‘দ্য পিপলস হিরো’ স্বর্ণপদক দিয়ে সম্মাননা জানান শি জিন পিং।
তিনি বলেন, ‘‘আমরা এখন অর্থনীতির পুনরুজ্জীবন এবং করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছি।’’
অনুষ্ঠান শুরুর আগে করোনায় মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে নিরবতা পালন করেন শি জিন পিং-সহ উপস্থিত সকলে।
নিউমোনিয়ার মতো শ্বাসজনিত রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাসটি প্রথম ধরা পড়ে গত ডিসেম্বরে, চীনের উহান শহরে। তাই প্রথমে একে ‘উহান ভাইরাস’ নামে চিহ্নিত করেছিলেন চিকিৎসকদের অনেকেই। পাশাপাশি, কমিউনিস্ট পার্টি পরিচালিত একদলীয় চীনে ‘সরকারি উদ্যোগে’ করোনাভাইরাস সৃষ্টি হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে বিশ্বজুড়ে।
যদিও চীন বরাবরই সেই অভিযোগ খারিজ করে এসেছে। সরকারিভাবে চীনে কোভিড-১৯-এ মৃতের সংখ্যা ৪,৬৩৪ হলেও কমিউনিস্ট পার্টি পরিচালিত চীন সরকার তথ্য গোপন করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
সম্মাননাপ্রাপ্ত চার চিকিৎসাকর্মীর মধ্যে অন্যতম, ৮৩ বছরের চিকিৎসক ঝং নানশান। ইতোমধ্যেই চীনের সরকার পরিচালিত সংবাদমাধ্যম তাকে করোনা-বিরোধী লড়াইয়ের ‘মুখ’ হিসেবে তুলে ধরেছে।
নানশান আজ বলেন, ‘‘বিশ্বজুড়ে করোনা প্রতিরোধ যুদ্ধে আমরা সামিল হতে প্রস্তুত।’’
আর এক পুরস্কার প্রাপক, উহানের জৈব-রসায়নবিদ চেন ওয়েই। ৭২ বছরের চেনের দাবি, ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন চীনা চিকিৎসাবিদ্যায় করোনা ঠেকানোর ফর্মুলা রয়েছে।
করোনার বিপদ প্রথম সামনে আনা ‘হুইস্লব্লোয়ার’ চিকিৎসক লি ওয়েনলিয়ংকেও আজ ‘দ্য পিপলস হিরো’ সম্মাননা দিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট। আনন্দবাজার
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা