দখলকৃত পশ্চিম তীরের বেদুইন গ্রাম খান আল-আহমারের বাসিন্দাদের আগামী ১ অক্টোবরের মধ্যে ওই বসতি সরিয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইল। রবিবার হাতে বিলি করা প্রচারপত্রের মাধ্যমে সেখানকার বাসিন্দাদের ওই নির্দেশ দেয়।
জেরুসালেম থেকে ডেড সি পর্যন্ত চলা ইসরাইলি হাইওয়ের পাশে মরুভূমির পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত খান আল-আহমার গ্রামটি টিন ও কাঠ দিয়ে নির্মিত। ওই গ্রামের প্রায় ১৮০ জন বাসিন্দা ভেড়া ও ছাগল পালন করে জীবীকা নির্বাহ করে থাকে।
ইসরাইল তাদের সেখান থেকে উচ্ছেদ করে ১২ কিলোমিটার দূরে ফিলিস্তিনি গ্রাম আবু দিসের কাছে একটি পতিত জায়গায় আবাস গড়ার অনুমতি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।
ফিলিস্তিনিরাসহ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ ইসরাইলের এমন পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে। তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, এমন পদক্ষেপ ওই সম্প্রদায় ও শান্তি প্রক্রিয়ার ওপর প্রভাব ফেলবে।
ফিলিস্তিনিদের সাথে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী লিয়াজো সংস্থার একজন মুখপাত্র বলেছেন, উচ্ছেদ অভিযানের কোনো তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। সময় সীমার পরও বাড়িগুলো সেখানে থাকতে পারে। তবে রবিবার সকালে ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনী সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে প্রচারপত্র বিলি করেছে। তাতে আগামী ১ অক্টোবরের মধ্যে তাদের স্বেচ্ছায় সেখান থেকে চলে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদের নির্দেশনা জারি করবে বলেও এতে জানানো হয়েছে।
গ্রামের বাসিন্দা ফয়সাল আবু দাহুক বলেন, ‘আমরা স্বেচ্ছায় এই জায়গা খালি করে দেবো না। দখলদারি শক্তির সেনাবাহিনী ও অস্ত্র আমাদের এখান থেকে জোর করে তুলে দিতে পারে। কিন্তু আমাদের আর কোনো যাওয়ার জায়গা নেই আর আমরা অন্য কোথাও যেতে চাই না।’
ইসরাইলি সুপ্রিম কোর্ট এই উচ্ছেদ অভিযান ঠেকাতে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। আদালত ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের পক্ষ নিয়ে বলেছে, গ্রামটি প্রয়োজনীয় অনুমোদন ছাড়াই গড়ে তোলা হয়েছে। ফিলিস্তিনিরা বলেছে, এই ধরনের কোনো অনুমোদনের দলিল যোগাড় করা অসম্ভব।
ফিলিস্তিনিরা বলেছে, এই উচ্ছেদ অভিযান ইসরাইলি দখলদারিত্বের একটি অংশ। এর মাধ্যমে তারা পশ্চিম তীর থেকে পূর্ব জেরুসালেমকে কার্যকরভাবে বিচ্ছিন্ন করতে চায়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা