০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ফিলিস্তিনকে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি

ফিলিস্তিনকে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি - সংগৃহীত

কলম্বিয়া একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট ইভান দুক দায়িত্ব নেয়ার কয়েকদিন আগে এ স্বীকৃতি দেয়া হলো। সম্প্রতি প্রকাশিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি চিঠি থেকে একথা জানা যায়। সান্তোসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিয়া অ্যাঙ্গেলা হলগুইন এ চিঠিতে স্বাক্ষর করেন।

আগস্ট মাসের ৩ তারিখের ওই চিঠিতে বলা হয়, আমি আনন্দের সাথে আপনাদের জানাচ্ছি যে কলম্বিয়া সরকারের পক্ষে প্রেসিডেন্ট জুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোস একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এদিকে নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্লোস হলমেস বলেন, আন্তর্জাতিক আইন ও কূটনৈতিক নিয়ম অনুযায়ী আগের সরকারের সিদ্ধান্তের ‘তাৎপর্য’ তিনি পর্যালোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘এ সরকারের অগ্রাধিকার হচ্ছে তাদের মিত্র ও বন্ধু দেশের সাথে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অবদান রাখা।

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কলম্বিয়া সফরের কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করে তিনি বলেন, গাজা উপত্যকার সাথে তার দেশের সীমান্ত বরাবর বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পদক্ষেপের বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। 

স্বীকৃতি পাচ্ছে ফিলিস্তিন!

দ্য ডেইলি স্টার, টাইমস অব ইসরাইল ও ইন্ডিপেনডেন্ট, ২৯ জুন ২০১৮

প্রিন্স উইলিয়াম ফিলিস্তিনী অঞ্চলকে ‘দেশ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। রামাল্লায় মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংঘাতের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি আব্বাসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আমাকে এখানে স্বাগত জানানোর জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি অত্যন্ত আনন্দিত এই ভেবে যে, আমরা দুটি দেশ একত্রে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি এবং অতীতে শিক্ষায় ও ত্রাণের কাজে আমাদের দু দেশের মধ্যে সফলতার গল্প রচিত হয়েছে।’

পশ্চিমা দেশগুলো সাধারণত ফিলিস্তিনীকে একটি দেশ বা রাষ্ট্র হিসেবে উল্লেখ না করে বরং ভবিষ্যতে- তথা কথিত দুই রাষ্ট্র সমাধানে কেবল ফিলিস্তিনের সার্বভৌমত্বের পক্ষে নিজেদের সমর্থন দেয়। জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনের পর্যবেক্ষক মর্যাদা থাকলেও এটি সেখানে সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃত নয়।


প্রিন্স উইলিয়াম প্রথমবারের মতো ফিলিস্তিনী অঞ্চলে শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি ফিলিস্তিনীদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমাদের ভুলে যাইনি।’ সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অধিকৃত জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণার পর এই স্পর্শকাতর সময়ে ব্রিটিশ রাজপরিবারের এই সিনিয়র সদস্যের আগমন ঘটল এ অঞ্চলে।

ইসরাইলের উপকূলীয় শহর তেল আবিব থেকে অভ্যর্থনা দিয়ে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনী প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের হিলটপ অফিসে নিয়ে আসা হয় প্রিন্সকে। ফিলিস্তিনীরা আব্বাসের হেড কোয়ার্টার্সে ব্রিটিশ সিংহাসনের দ্বিতীয় উত্তরাধিকারী উইলিয়ামকে লাল গালিচা সংবর্ধনাসহ গার্ড অব অনার দিয়ে সম্মান জানায়। 

এ দিকে মঙ্গলবার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাত করেন উইলিয়াম। সে সময় নেতানিয়াহু ইসরাইলের অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনীদের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়টি প্রত্যাখান করেন এবং সেখানে ইহুদী বসতির পক্ষে তার সমর্থন পুনরায় ব্যক্ত করেন। এই পশ্চিম তীরেই আব্বাস কর্তৃপক্ষের ঘাঁটি রয়েছে।

তবে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র অফিসের তরফ থেকে প্রিন্সের বক্তব্যের বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য না করে বলা হয়, ‘ব্রিটিশ সরকার সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও টেকসই ফিলিস্তিনী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাকে সমর্থন করে, যেখানে শান্তি ও নিরাপত্তার সাথে তারা ইসরাইলের পাশাপাশি বসবাস করতে পারবে।’ এতে আরও বলা হয়, ‘যুক্তরাজ্য এক সময় ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে।’

পরে রামাল্লায় শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে যান প্রিন্স এবং ফিলিস্তিনের একটি ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক নৃত্যানুষ্ঠানে অংশ নেন। এ সময় ফিলিস্তিনের সশস্ত্র নিরাপত্তা সদস্যদের বেশ কিছু ভবনের ওপরে ও নিচে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। শরণার্থী এ শিবিরটিতে ৯ হাজারেরও বেশি মানুষ গাদা-গাদি করে বাস করছে।

ফিলিস্তিনী শিশুদের সঙ্গে ফুটবল খেলায় অংশ নেয়ার আগে প্রিন্স কফি ও সেখানকার ঐতিহ্যবহী খাবার খান। জিন্স প্যান্টের সঙ্গে নীল শার্ট ও উজ্জ্বল রঙ্গের জ্যাকেট পরিহিত প্রিন্স এ সময় ৪ বার গোল পোস্টে বল কিক করেন। তবে শিশু গোলকিপার ৩ বার বল ঠেকাতে সক্ষম হলেও চতুর্থবার পারেনি।

রামাল্লার মেয়র মুসা হাদেল জানান, তিনি প্রিন্সকে ফিলিস্তিনীদের ইতিহাস জানাতে সহায়তা করতে চেয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের বার্তা ছিল- ফিলিস্তিনীদের বেঁচে থাকার জন্য আমাদের দেশে শান্তি দরকার।’ ফিলিস্তিনীদের উদ্দেশে প্রিন্স বলেন, ‘আপনাদের মতো আমিও চাই, এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক।’

ফিলিস্তিন আমার হৃদয়ে : ম্যারাডোনা
মিডল ইস্ট মনিটর ও টাইমস অব ইসরাইল, ১৬ জুলাই ২০১৮

আর্জেন্টিনার তারকা ফুটবলার ডিয়াগো ম্যারাডোনা রাশিয়ায় ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সাথে সাক্ষাত করেছেন। এসময় ম্যারাডোনা বলেন, ‘ফিলিস্তিন আমার হৃদয়ে, আমিও ফিলিস্তিনি’। ফুটবল আইকন রোববার মস্কোতে প্যালেস্টাইনী রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে।

ম্যারাডোনা তার ইনস্টাগ্রাম পেজে মাহমুদ আব্বাসের সাথে সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। এটি আরব ও ইসরায়েলি মিডিয়ায় তুমুল আলোচনার ঝড় তোলেছে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা সমালোচনা চলছে।


ফুটবলবোদ্ধারা মনে করেন, ম্যারাডোনা ফিলিস্তিনের আন্দোলনের ব্যাপারে পূর্ণ সহনুভুতিশীল। ম্যারাডোনা মাহমুদ আব্বাসের সাথে কোলাকুলি করে বলেন, এই মানুষটি ফিলিস্তিনে শান্তি চায়। প্রেসিডেন্ট আব্বাসের একটি দেশ রয়েছে , তার কিছু অধিকারও রয়েছে।

ম্যারাডোন ফিলিস্তিনকে অতি দ্রুত দেশ হিসেবে স্বাধীনতা দেয়ার আহবান জানান।

মাহমুদ আব্বাস ম্যারাডোনাকে ধন্যবাদ জানান এবং তাকে একটি পেইন্টিং উপহার দেন। যেখানে শান্তির প্রতীক কবুতর ফিলিস্তিনের জলপাই ডালে বসে আছে।

এর আগে ২০১২ সালে ম্যারাডোন বলেছিলেন, আমি ফিলিস্তিনের এক নম্বর সমর্থক। আমি তাদের সম্মান করি, তাদের প্রতি সহানুভূতি জানাই।

২০১৪ সালে গাজা ইসরাইল যুদ্ধের সময় ম্যারাডোন বলেছিলেন, ইসরাইল ফিলিস্তিনের সাথে যা করছে তা লজ্জাজনক।

এ বছরের গোড়ার দিকে শোনা গিয়েছিল এ আর্জেন্টাইন তারকা ফিলিস্তিন ফুটবল টিমের সাথে কোচ হিসেবে যোগ দিবেন। যদিও পরবর্তিতে আর হয়নি।

এই ফুটবল তারকা বিশ্বের একজন সর্বশ্রেষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে পরিচিত। তিনি ১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন। এছাড়া তার একটি গোল ‘হ্যান্ড অব গড’ নামে বিখ্যাত হয়ে আছে।

এবছর ইসরাইলের সাথে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহুর্তে সেই ম্যাচ খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল আর্জেন্টিনা।

রোনালদোর ভক্ত এরদোগান, ফিলিস্তিন ইস্যুতে অবস্থানের জন্য প্রশংসা
আনাদুলো এজেন্সি, ২২ জুন ২০১৮

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান সম্প্রতি আঙ্কারায় এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, আমি সত্যিই রোনালদোর একজন ভক্ত। যদি জিজ্ঞেস করেন, রোনালদো না মেসি? তাহলে আমার কাছে রোনালদোকে অনেক বেশি আলাদা মনে হয়। বিশেষ করে বিশ্বকাপের ম্যাচে (স্পেনের বিরুদ্ধে) হ্যাটট্রিক করা খুবই বড় বিষয়।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, বিশেষ করে তার পারফরমেন্স, আত্মবিশ্বাস এবং সব কিছুর ওপরে ফিলিস্তিন ইস্যুতে তার অবস্থানের জন্য আমি তার প্রশংসা করি।

চলতি বিশ্বকাপে তার ফেভারিট দলেরও নাম জানান এক সময়ের পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড় এরদোগান। তিনি বলেন, প্রথমে বলেছিলাম জার্মানিই চ্যাম্পিয়ন হবে। কিন্তু এটা ভুল বলে মনে হচ্ছে। ওরা প্রথম ম্যাচেই হেরে গেল। এখন ওদের কাজটা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। অবশ্য এবার সব বড় বড় দলই হারছে। জার্মানি হারলো। ব্রাজিলও আশানুরূপ খেলতে পারেনি। মেক্সিকো বেশ ভালো করছে। জানি  না তারা শেষ পর্যন্ত এভাবে চালিয়ে যেতে পারবে কিনা।’


আরো সংবাদ



premium cement
হিলি বন্দর দিয়ে ১৪ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর ওপর : মন্ত্রী রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় ওআইসি’র সহযোগিতা চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী টর্চার সেলে শিশু-বৃদ্ধদের পেটাতেন মিল্টন : হারুন গাজা ত্যাগ করবে না ইউএনআরডব্লিউএ শৈলকুপায় সাংবাদিক মফিজুলের ওপর হামলা : প্রেসক্লাবের উদ্যোগে মানববন্ধন বিএনপির ভাবনায় ক্লান্ত ওবায়দুল কাদের : রিজভী অনলাইন জুয়ায় ২০ লাখ টাকা হেরে যুবকের আত্মহত্যা আল-জাজিরার অফিসে ইসরাইলি পুলিশের হানা মালয়েশিয়ায় কাল বৃহত্তম আন্তর্জাতিক ধর্মীয় সম্মেলন রাস্তা প্রশস্ত করতে কাটা হবে ৮৫৬টি গাছ

সকল