২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


হোটেল-রেস্তোরাঁয় অভিযান

গ্রেফতার শ্রমিকদের তালিকা চাইলেন হাইকোর্ট

- ছবি : ইউএনবি

বেইলি রোডের আগুনের ঘটনার পরে রাজধানীর বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে মোট কতজন শ্রমিককে গ্রেফতার করা হয়েছে তার তালিকা পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) কাছে হাইকোর্ট চেয়েছেন।

আগামী ৩০ দিনের মধ্যে এই তালিকা দাখিলের নির্দশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার এক রিটের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো: আতাবুল্লাহ’র সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

একইসাথে কেন এসব শ্রমিকদের গ্রেফতার করা বেআইনি হবে না তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেন হাইকোর্ট। স্বরাষ্ট্র সচিব, শ্রম ও কর্ম সংস্থান সচিব, আইন সচিব, আইজিপিকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাসুদ আর সোবহান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

এর আগে সোমবার ব্যারিস্টার মাসুদ আর সোবহান ও তার স্ত্রী ব্যারিস্টার ফাতেমা এস চৌধুরী এই রিট করেন।

রিটের ব্যাপারে ব্যারিস্টার ফাতেমা এস চৌধুরী বলেন,‘বেইলী রোডে অগ্নিকাণ্ডের পর বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁয় অভিযান পরিচালনা করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গণমাধ্যমের তথ্যানুযায়ী তারা অন্তত ৮০০ শ্রমিককে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু এসব শ্রমিক কোনো ভবনের বা রেঁস্তরার মালিক নয়। তারা কর্মচারী। মাসে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা বেতন পেত। বিনিময়ে কাজ করতো। তারা নির্দোষ ব্যক্তি।’

তিনি আরো বলেন,‘তাদেরকে বেআইনিভাবে ধরে নিয়ে কারাগারে কয়েদিদের সাথে রাখা হয়েছে। এজন্য তাদের গ্রেফতারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করি। হাইকোর্ট প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুল দিয়েছেন। একই সাথে ৩০ দিনের মধ্যে আইজিপিকে গ্রেফতার শ্রমিকদের তালিকা দাখিল করতে বলা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এসব অভিযানে ৮৭২ জনকে গ্রেফতার এবং ২০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

৮৮৭টি ক্ষেত্রে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অভিযান চালাচ্ছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষও (রাজউক)। কয়েকটি রেস্টুরেন্ট সিলগালাও করেছে তারা। অভিযানে আবাসিক ভবনে নিয়মের বাইরে গিয়ে বানানো রোস্তোরাঁগুলো বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে।

কোথাও কোথাও গ্রেফতার ও জরিমানাও করা হচ্ছে। রাস্তার পাশে ছোট খাবারের দোকান থেকেও অনেককে আটক করছে পুলিশ। ঢাকার বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় সরকারি সংস্থাগুলোর চালানো এসব অভিযানের সমালোচনা করে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি একে ‘হয়রানিমূলক’ দাবি করছে।

এর আগে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির করা এক রিটের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার হাইকোর্টের একই বেঞ্চ রুল জারি করেছেন। রুলে রাজধানীর হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলোতে অভিযানের নামে হয়রানি করা কেন অবৈধ নয় তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement
টুকুর সাজার প্রতিবাদে ফেনীতে যুবদলের বিক্ষোভ জামালপুরের ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র সাময়িক বরখাস্ত পেকুয়ায় হিট স্ট্রোকে একজনেরর মৃত্যু স্কটল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হুমজা ইউসুফের পদত্যাগ মঙ্গলবারও বাড়বে তাপমাত্রা, অসহনীয় হবে গরম ইতিহাসের উষ্ণতম এপ্রিল দেখল মিয়ানমার আইসিসির সম্ভাব্য গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে উদ্বিগ্ন ইসরাইলি কর্মকর্তারা নোয়াখালীতে হিট স্ট্রোকে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যু ভূমি সেক্টরে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে ভূমিমন্ত্রীর নির্দেশ বাইপাস সার্জারির জন্য কৃত্রিম রক্তনালী তৈরির চেষ্টা হামাসকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরাইলি প্রস্তাব বিবেচনার আহ্বান যুক্তরাজ্যের

সকল