সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল ও মারামারির ঘটনায় করা মামলার সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক এবং নির্বাচনে সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার মো: রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ছয়জন আইনজীবীকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে ব্যারিস্টার কাজলকে তার পল্টনের চেম্বার থেকে ডিবি পুলিশ আটক করে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো: মাকসুদ উল্লাহ।
এছাড়া এ মামলার প্রধান আসামি আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথীর ধানমন্ডির বাসায় পুলিশ একাধিকবার অভিযান চালালেও তাকে পাওয়া যায়নি বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে। যুথী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী।
এ মামলায় গ্রেফতার অন্য আইনজীবীরা হলেন- অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহমেদ, অ্যাডভোকেট তুষার, অ্যাডভোকেট তরিকুল, অ্যাডভোকেট এনামুল হক সুমন ও ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরী।
এরআগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনার সময়ে মারামারির ঘটনায় শুক্রবার (৮ মার্চ) রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
শুক্রবার রাতে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো: সাইফুর রহমান সিদ্দিকী সাইফ বাদি হয়ে তাকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ শাহবাগ থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথি, বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার মো: রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মো: জাকির হোসেন ওরফে মাসুদ, শাকিলা রৌশন, কাজী বশির আহম্মেদ, ব্যারিস্টার উসমান, অ্যাডভোকেট আরিফ, অ্যাডভোকেট সুমন, অ্যাডভোকেট তুষার, অ্যাডভোকেট রবিউল, ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা), সাইদুর রহমান জুয়েল, অ্যাডভোকেট অলিউর, জয়দেব নন্দী, মাইন উদ্দিন রানা, মশিউর রহমান সুমন, কামাল হোসেন, আসলাম রাইয়ান, অ্যাডভোকেট তরিকুল ও অ্যাডভোকেট সোহাগ। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা ৩০/৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
দুপুর ২টা ৫০ মিনিটের দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক আবুল খায়ের ও সুপ্রিম কোর্ট বার সম্পাদক আবদুন নূর দুলাল সুপ্রিম কোর্ট বার হল রুমে ভোট গণনা শুরু করতে বলেন। এরপর ভোট গণনা শুরু হয়।
তবে সুপ্রিম কোর্ট বার হল রুমে ভোট গণনার স্থানে আওয়ামী লীগ সমর্থিত (সাদা) প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ও এজেন্ট থাকলেও প্রথম দিকে বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের কাউকে দেখা যায়নি। তবে সন্ধ্যা পোনে ৬টার দিকে সভাপতি প্রার্থী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন আসেন এবং তার লোকদের নিয়ে ভোট গণনার স্থানে অবস্থান করেন।