ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ অব্যাহত
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৪ অক্টোবর ২০২০, ১৭:৫২
রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় আসামি মজনুর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ অব্যাহত রয়েছে। পরবর্তী গ্রহণের জন্য ২১ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার এদিন ধার্য করেন। এদিন আদালতে মামলার জব্দ তালিকার দু’জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়। এরপর তাদের জেরা করেন মজনুর আইনজীবী রবিউল ইসলাম।
মামলার ২১ জনের মধ্যে এ নিয়ে ১৩ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁশলি আফরোজা ফারহানা আহম্মেদ অরেঞ্জ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে রওনা দেন ঢাবির ওই ছাত্রী। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি রাজধানীর কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে নামেন। এরপর অজ্ঞাত এক ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে সড়কের পেছনে নির্জন স্থানে নিয়ে যান। সেখানে ধর্ষণের পাশাপাশি তাকে নির্যাতনও করা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতচিহ্ন পাওয়া যায়। ধর্ষণের এক পর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। রাত ১০টার দিকে নিজেকে একটি নির্জন জায়গায় আবিষ্কার করেন ওই ছাত্রী। পওে তিনি সিএনজি নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে যান। রাত ১২টার দিকে ওই ছাত্রীকে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করান তার সহপাঠীরা।
পরের দিন সকালে ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলাটি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি উত্তর) তদন্ত করছে। এরআগে ৮ জানুয়ারি মজনুকে গ্রেফতার করে র্যাব। ৯ জানুয়ারি সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ১৬ জানুয়ারি ঘটনার দায় স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন মজনু।
১৬ মার্চ ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মজনুর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবু বক্কর।
২৬ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার ভার্চুয়াল আদালতে মজনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।
সূত্র : বাসস
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা